×

খেলা

ইংল্যান্ডকে বাঁচালেন পিকফর্ড

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০১৮, ১১:০৩ এএম

ইংল্যান্ডকে বাঁচালেন পিকফর্ড
দেখতে দেখতে শেষ হয়ে গেল বিশ্বকাপের শেষ ষোলোর পর্ব। দ্বিতীয় রাউন্ডের শেষ ম্যাচে গতকাল কলম্বিয়াকে টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে ইংল্যান্ড। এদিন হ্যারি কেনের গোলে ম্যাচের ৫৭ মিনিটে এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। তবে ইনজুরি টাইমে ইয়েরি মিনার গোলে কলম্বিয়া সমতায় ফিরলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। এতেও ফল না আসায় টাইব্রেকারে মোকাবেলা করে দুদল। কলম্বিয়ার গোলরক্ষক ডেভিড অস্পিনা ইংল্যান্ডের হেন্ডারসনের পেনাল্টি শট আটকে দিলে আতঙ্ক ছড়ায় ইংল্যান্ড শিবিরে। অন্যদিকে কলম্বিয়ার উরাইবের শট বারে লেগে ফিরে এলে ঘাম দিয়ে জ্বর সারে ইংলিশদের। পরের শটেই কলম্বিয়ার কার্লোস বাক্কাকে ব্যর্থ দিয়ে ম্যাচের নায়ক বনে যান ইংল্যান্ডের গোলরক্ষক জর্ডান পিকফর্ড। ফলে ৪-৩ গোলের জয় নিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে ইংল্যান্ড। শনিবার সুইডেনের মোকাবেলা করবে তারা। এর আগে দিনের প্রথম ম্যাচে সুইজারল্যান্ডকে ১-০ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে সুইডেন। অতক্রিটিয়ে অ্যারেনায় ম্যাচটিতে কোচ গ্যারেথ সাউথগেটের দলের নিয়মিত একাদশের সব খেলোয়াড়রা খেললেও ইনজুরির কারণে এদিন কলম্বিয়ার হয়ে মাঠে নামতে পারেননি দলটির সবচেয়ে বড় তারকা হামেস রদ্রিগেজ। রদ্রিগেজের না থাকাটা প্রভাব ফেলেছে কোচ হোসে পেকারম্যানের শিষ্যদের পারফরমেন্সে। এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই মাঝমাঠ নিজেদের দখলে নিয়ে খেলতে থাকে ইংল্যান্ড। ষষ্ঠ মিনিটে বাঁ-পাশে ডি বক্সের সামান্য বাইরে থেকে ফ্রি-কিক পায় ইংল্যান্ড। তবে অ্যাশলে ইয়ংয়ের শট আটকে দেন কলম্বিয়ার গোলরক্ষক ডেভিড অস্পিনা। এরপর একের পর এক আক্রমণ করে খেলতে থাকে ইংল্যান্ড। ম্যাচের ১৬ মিনিটে গোলের সহজ সুযোগ পায় সাউথগেটের শিষ্যরা। কিন্তু ডিফেন্ডার কেইরন ট্রিপিয়েরারের ক্রসে মাথা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হন ইংলিশ অধিনায়ক হ্যারি কেন। ম্যাচের ৪১ মিনিটে ডি-বক্সের সামান্য বাইরে থেকে ফ্রি-কিক পায় ইংল্যান্ড। কিন্তু ডিফেন্ডার কেইরন ট্রিপিয়েরারের শট চলে যায় গোলপোস্টের বাইরে দিয়ে। বল দখলে ইংল্যান্ড এগিয়ে থাকলেও আক্রমণ করার দিক দিয়ে পিছিয়ে ছিল না কলম্বিয়াও। তবে পাল্টা আক্রমণে বেশ কয়েকবার গোলের সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি রাদামেল ফ্যালকাওরা। ফলে ম্যাচের প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্যভাবে। দ্বিতীয়ার্ধের অষ্টম মিনিটে কর্নার পায় ইংল্যান্ড। এসময় ডি-বক্সের ভেতরে হ্যারি কেনকে অবৈধভাবে বাধা দেন কলম্বিয়ান মিডফিল্ডার কার্লোস সানচেজ। ফলে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। স্পট কিক থেকে গোল করে ইংল্যান্ডকে এগিয়ে নেন হ্যারি কেন। এটি রাশিয়া বিশ^কাপে তার ষষ্ঠ গোল। গোল্ডেন বুট জয়ের দৌঁড়ে এখন সবার চেয়ে এগিয়ে আছেন ইংলিশ অধিনায়ক। ম্যাচটি জমে উঠে শেষ মুহুর্তে গিয়ে। ইংলিশরা যখন ১-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে, তখনই উইঙ্গার হুয়ান কুয়াড্রাদোর কর্নার কিক থেকে হেডে অসাধারণ এক গোল করে ম্যাচের ৯০+৩ মিনিটে কলম্বিয়াকে সমতায় ফেরান ডিফেন্ডার ইয়েরি মিনা। ফলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানে উভয় দল কাক্সিক্ষত গোলের দেখা পেতে ব্যর্থ হলে টাইব্রেকারে গড়ায় ম্যাচ। সুইডেন-সুইজারল্যান্ড : সেন্ট পিটার্সবার্গ স্টেডিয়ামে গতকাল দিনের প্রথম ম্যাচে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেললেও প্রথমার্ধে কাক্সিক্ষত গোলের দেখা পায়নি সুইডেন ও সুইজারল্যান্ড কোনো দলই। এদিন ম্যাচের দশম মিনিটে সুইজারল্যান্ডের গোলপোস্ট লক্ষ্য করে দারুণ এক শট নেন সুইডেনের ফরোয়ার্ড মার্কাস বার্গ। কিন্তু তার শট ঠেকিয়ে দেন সুইস ডিফেন্ডার ম্যানুয়েল আকাঞ্জি। ফিরতি বলে শট নেন আলবিন ইকডাল। এবার বল চলে যায় গোলপোস্টের ওপর দিয়ে। ম্যাচের ৬২ মিনিটে ডি-বক্সের সামান্য বাইরে থেকে ফ্রি-কিক পায় সুইডেন। কিন্তু এমিল ফোর্সবার্গের ফ্রি-কিক শট সুইজারল্যান্ডের গোলপোস্টের ওপর দিয়ে চলে গেলে এবারো হতাশ হতে হয় সুইডেনের সমর্থকদের। তবে এর ৪ মিনিট পরেই কাক্সিক্ষত গোলের দেখা পায় সুইডিশরা। এসময় ডি-বক্সের কিছুটা বাইরে থেকে ফোর্সবার্গের শট সুইজারল্যান্ডের এক খেলোয়াড়ের পায়ে লেগে জালে প্রবেশ করলে এগিয়ে যায় কোচ জান্নে এন্ডারসনের শিষ্যরা। পিছিয়ে পরার পর সমতায় ফেরার জন্য মরিয়া হয়ে উঠে সাকিরিরা। তবে বারবার আক্রমণ করেও গোল পেতে ব্যর্থ হয় তারা। ম্যাচের বাকি সময়ে আর কোনো গোল না হলে শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলের জয় নিয়ে শেষ ষোলোতে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন সুইডেনের খেলোয়াড়রা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App