×

খেলা

কে হবেন নায়ক?

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০১৮, ১১:১৭ এএম

কে হবেন নায়ক?
আজ রাতে রাশিয়া বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয় শক্তিশালী ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে গত বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালিস্ট কলম্বিয়া। এ ম্যাচে ইংলিশ গোলরক্ষক জরডান পিকফর্ড প্রতিপক্ষের জন্য যেমন বিশাল দেয়াল হওয়ার জন্য প্রত্যয়ী তেমনি কলম্বিয়ার গোলরক্ষক ডেভিড অসপিনাও ইংলিশদের জন্য চীনের প্রাচীর হয়ে দাঁড়াতে নিজের প্রতি দৃঢ়বিশ্বাসী। যে নিজের তাৎক্ষণিক পারফরমেন্সের মাধ্যমে দলকে জয় উপহার দিতে পারবেন তিনিই এ ম্যাচের নায়কে পরিণত হবেন। অন্যদিকে গোলরক্ষকদের যে কোনো একজন একটু ভুল করলেই দলকে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠার দৌড় থেকে ছিটকে পড়তে হবে। কলম্বিয়ার বিপক্ষে নিজের সেরাটা উজাড় করে দেয়ার জন্য মরিয়া ইংলিশ গোলরক্ষক জরডান পিকফর্ড। তা ছাড়া তার দলও কলম্বিয়ার থেকে মোটামুটি ভালো অবস্থানে। তবুও এ তারকা নিজের প্রতি অত্যন্ত সচেতন। পিকফর্ড ১৯৯৪ সালে ইংল্যান্ডের ওয়াশিংটনে জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র আট বছর বয়সে তিনি স্থানীয় ক্লাব সান্ডারল্যান্ডে যোগদান করেন। এখানে বছর দুয়েকের মতো অতিবাহিত হলে তিনি ক্লাবটির যুবদলে খেলার জন্য চুক্তিবদ্ধ হন। এ ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি করে তিনি বেশ কয়েকটি ক্লাবে ধারে খেলেন। এর মধ্য ডারলিংটনের হয়ে ১৭ ম্যাচ, আলফ্রেটনের হয়ে ১২ ম্যাচ, বারটনের হয়ে ১২, কারলস ইউনাইটেডের হয়ে ১৮৯ ম্যাচ খেলেছেন। তবে ধারে সর্বোচ্চ ৩৩ ম্যাচ খেলেন বার্ডপোর্ট সিটি এবং ২৪ ম্যাচ খেলেন প্রেসটনের সঙ্গে। এরপর ২০১৭ সালের মাঝামাঝিতে ২৫ মিলিয়ন ইউরোর ফিতে তিনি ইংলিশ ক্লাব এভারটনের সঙ্গে পাঁচ বছরের চুক্তি করেন। প্রিমিয়ার লিগে ইতিহাসে এটাই তৃতীয় সর্বোচ্চ রিলিজ ক্লজ। জাতীয় দলে অভিষেকের আগে পিকফর্ড একে একে ইংল্যান্ডের অনূর্ধ্ব-১৬ দল থেকে অনূর্ধ্ব-২১ দলের সঙ্গেও খেলেছেন। রাশিয়া বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে খেলার জন্য তিনি সর্বপ্রথম জাতীয় দলে ডাক পান। তবে সেবার ইনজুরির কারণে তিনি খেলতে পারেননি। ২০১৭ সালের শেষের দিকে ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে জার্মানির বিপক্ষে একটি প্রীতি ম্যাচ খেলার মাধ্যমে জাতীয় দলে তার অভিষেক ঘটে। দেশের জার্সি গায়ে এ পর্যন্ত তিনি মোট ৬টি ম্যাচ খেলেছেন। ১৯৮৮ সালে ৩১ আগস্ট কলম্বিয়ার মেডেলিনে ডেভিড অসপিনা জন্মগ্রহণ করেন। ২০০৫ সালে তিনি স্থানীয় ক্লাব অ্যাতলেটিকো ন্যাসিওনালে যোগ দেন। এ ক্লাবটির সঙ্গে চার বছরের ক্যারিয়ারে তিনি মোট ৯৭টি ম্যাচ খেলেছেন। তবে ক্যারিয়ারে তিনি সর্বোচ্চ ১৮৯টি ম্যাচ খেলেছেন ফরাসি ক্লাব নিসের হয়ে। ২০১৪ সালে গ্রীষ্মকালীন দল বদলে তিনি প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব আর্সেনালের সঙ্গে চুক্তি করেন। বদলি হিসেবে উরুগুয়ের বিপক্ষে জাতীয় দলের হয়ে তিনি সর্বপ্রথম খেলেন। তবে দুবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দেশটির বিপক্ষে তারা ৩-১ গোল ব্যবধানে হেরে যায়। এরপর ২০১০ সালের বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে কবলম্বিয়ার ইতিহাসে দ্বিতীয় তরুণ গোলক্ষক হিসেবে তিনি একটি ম্যাচ খেলেন। ওই টুর্নামেন্টের বাছাই পর্বে তিনি সবচেয়ে কম গোল হজম করেন। আর তখন থেকেই তিনি কলম্বিয়া মূল দলে খেলার জন্য মনোনীত হন। ২০১৪ বিশ্বকাপেও তিনি কলম্বিয়ার হয়ে সব ম্যাচ খেলেন। ওই টুর্নামেন্টে তাকে মাত্র চারটি গোল হজম করতে হয়েছিল। দেশের হয়ে তিনি এখন পর্যন্ত মোট ৮৯টি ম্যাচ খেলেছেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App