×

পুরনো খবর

নিরাপত্তা ঝুঁকিতে শাহ আলী থানা

Icon

ইমরান রহমান

প্রকাশ: ২৭ জুন ২০১৮, ১২:৩৬ পিএম

নিরাপত্তা ঝুঁকিতে শাহ আলী থানা
তিনতলা একটি জরাজীর্ণ ভবনের পুরোটা ভাড়া নিয়ে চলছে শাহ আলী থানার কার্যক্রম। রাস্তা থেকে থানাটির দিকে তাকালে মনে হবে, রাস্তার উপরই যেন এর অবস্থান। প্রবেশের গেটও রাস্তার উপরই। থানার সামনে রাস্তার মাঝখানেই টানানো হয়েছে পতাকা। ভবনের চারদিকে টিন ও পুরোনো গ্রিল দিয়ে তৈরি করা হয়েছে নিরাপত্তা বেষ্টনী। যা দেখতে যতটা দৃষ্টিকটু, তার চেয়ে বেশি নড়বড়ে। নেই পার্কিং ব্যবস্থাও। বিভিন্ন মামলায় জব্দকৃত গাড়ি সামনের সড়ক ও পাশের কাজীফুড়ি ঈগদাহ মাঠের একাংশ দখল করে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া এ থানায় জনবল ঘাটতির পাশাপাশি চরম আবাসন সংকট রয়েছে বলে জানা গেছে। থানায় কর্তব্যরত এক পুলিশ সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, এই থানায় সমস্যার অন্ত নেই। আমরাও তো মানুষ। আমাদের বিশ্রামের প্রয়োজন হয়। কিন্তু সেটিরও ভালো ব্যবস্থা নেই। থানায় নেই পর্যাপ্ত ক্লিনার ও সুইপার। নেই অভ্যাগতদের জন্য বসার পর্যাপ্ত ব্যবস্থাও। সংশ্লিষ্টরা জানান, এ থানা এলাকায় বসবাসকারীদের বেশিরভাগই নিম্ন আয়ের মানুষ। তাদের মধ্যে অপরাধ প্রবণতা বেশি থাকায় এই থানার পুলিশকে সবসময় চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করতে হয়। অনেক সময় বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসী থানা ঘেরাও করে। তখন অনেকটা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে হয় পুলিশকে। এসব সমস্যার বিষয়ে জানতে চাইলে শাহ্ আলী থানার ওসি আনোয়ার হোসেন ভোরের কাগজকে বলেন, আমাদের থানার নিজস্ব ভবন নেই, এটাই সবচেয়ে বড় সমস্যা। ইতোমধ্যেই একটি জায়গার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। জায়গাটি অনুমোদন পেলে নিজস্ব ভবনের কাজ শুরু হবে। থানার নিরাপত্তার ঘাটতির বিষয়ে তিনি বলেন, সেটা একটু থাকেই। তবে, আমি এই থানায় আসার পর টিন দিয়ে ঘিরে কিছুটা হলেও থানাকে সেফটি দেয়ার চেষ্টা করেছি। থানার পরিবেশও ভালো করা হয়েছে। নতুন ভবন হলে এসব টুকটাক সমস্যা আর থাকবে না। কর্মকর্তারা জানান, রাজধানীর মিরপুর টু বেড়িবাঁধ হাইওয়ে, নবাবের বাগ, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, কুমিরশাহ মাজার, রূপালী হাউজিং, গড়ান চটবাড়ী, প্রিয়াংকা হাউজিং, রয়েল সিটি, বেড়িবাঁধ বস্তি, মুক্তবাংলা মার্কেট, মনিকানন উচ্চ বিদ্যালয়, গুদারা ঘাট, বালুর মাঠ বস্তি, শাহ্ আলী নগর, উত্তর বিশিল, তুরাগ সিটি, হজরত শাহ আলী (র.) মাজার, সারেংবাড়ী এলাকা নিয়ে শাহ্ আলী থানা গঠিত। এ থানায় প্রতি মাসে ৩০-৩৫টি মামলা হয়। যার বেশিরভাগই মাদক সংক্রান্ত মামলা। এদিকে এই থানা পুলিশের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের সামনের ফুটপাতে ও লেগুনা স্ট্যান্ডে চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেলেও জড়িত কারো নাম বলতে রাজি হননি দোকানি ও লেগুনা চালকরা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App