×

পুরনো খবর

কলাবাগানে অস্বস্তিতে ভোগেন নারীরা

Icon

ইমরান রহমান

প্রকাশ: ২১ জুন ২০১৮, ০৩:১৪ পিএম

কলাবাগানে অস্বস্তিতে ভোগেন নারীরা
কলাবাগান থানার নিচতলায় দুটি গাড়ি পার্ক করা। একটিকে ঝকঝকে নতুন দেখালেও অন্যটিতে ধুলোর স্তর পড়ে গেছে। কিন্তু সেটিও (ইঞ্জিন নং-৬৬১১) সম্প্রতি প্রতিটি থানায় সরবরাহকৃত নতুন গাড়িগুলোর একটি। অব্যবহৃত অবস্থায় থাকতে থাকতে বর্তমানে বিকল হতে বসেছে এটি। অথচ ঢাকার প্রতিটি থানায় গাড়ির সমস্যা একটি ‘কমন’ বিষয়। জানা গেছে, ব্যবহার না জানা ও চালক সঙ্কটের কারণে গাড়িটি এখনো টহলে নামানো হয়নি। এমনকি সে চেষ্টাও করা হয়নি। এদিকে একটি ভাড়া ভবনে নাজুক অবস্থায় চলছে কলাবাগান থানার কার্যক্রম। একটি ছোট জায়গা ঘিরে করা হয়েছে ডিউটি অফিসারের রুম। যেখানে দুজনের বেশি বসা যায় না। বাইরেও অভ্যাগতদের জন্য কোনো বসার ব্যবস্থা নেই। নেই নারী ও শিশু হেল্প ডেস্ক। একটি রুমের মধ্যেই সেরেস্তা ও এসআইয়ের কক্ষ। নামেমাত্র মহিলা হাজতখানা থাকলেও সেটি গোডাউন হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে মহিলা আসামিদের ডিউটি অফিসারের রুমে বসিয়ে রাখা হয়। যা খুবই অস্বস্তিকর। পুরুষ হাজতখানার অবস্থাও নাজুক। বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় পুলিশ সদস্যরা পাশের ওয়াসার পাম্প থেকে তা সংগ্রহ করেন। রয়েছে আবাসিক সমস্যাও। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ সদস্য ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই থানায় কিসে সমস্যা নেই সেটা বলুন। থাকা-খাওয়া কিছুতেই সুযোগ সুবিধা ভালো না। গত ১৯ জুন রাত সাড়ে ৮টার দিকে এক লোক থানায় জিডি করতে আসেন। প্রতিপক্ষের কেউ দা দিয়ে হত্যার হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ তার। একপর্যায়ে তিনি থানা পুলিশের বিরুদ্ধে টাকা নেয়ার অভিযোগ করলে তার উপর চড়াও হন এসআই আরিফ। কে কবে কত টাকা নিয়েছে- জানতে চান ওই লোকের কাছে। নির্দিষ্ট করে উত্তর দিতে না পারায় তাকে থানা থেকে বের করে দেয়া হয়। পরে ওই লোকের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেও তা সম্ভব হয়নি। তাছাড়া ওইদিন থানার সেরেস্তা রুমের প্রবেশমুখে দুজন দালালের উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে। ঈদের ছুটির কারণে থানায় তেমন লোক না আসায় তাদের অলস সময় কাটাতে দেখা যায়। স্থানীয়রা জানান, এই থানায় প্রবেশ করতে হলে নিচতলায় দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশ কনস্টেবলকে সব খুলে বলতে হয়। তারপর তিনি দোতলায় উঠতে দেন। দোতলায় দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশ সদস্যকে ফের সবকিছু বলার পরই ডিউটি অফিসারের কাছে যেতে দেয়া হয়। এতে মহিলা ভিকটিমরা অস্বস্তি বোধ করেন। এসব বিষয়ে জানতে চাইলে কলাবাগান থানার ওসি মোহাম্মদ ইয়াসির আরাফাত খান ভোরের কাগজকে বলেন- আমি অসুস্থ, তাই কোনো মন্তব্য করতে রাজি নই। কয়েকদিন পরে আসেন। আপনার যা যা জানার সবই বলব। আর ইমারজেন্সি কিছু জানতে চাইলে ডিসি মিডিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। থানার কর্মকর্তরা জানান, রাজধানীর হাতিরপুল, কাঁঠালবাগান, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, গ্রিনরোড, পান্থপথ, শুক্রাবাদ, মিরপুর রোড, বাটা সিগন্যাল ও এলিফ্যান্ট রোড এলাকা নিয়ে কলাবাগান থানা গঠিত। এ থানায় ১ জন ইন্সপেক্টর ইনচার্জ (ওসি), ২ জন ইন্সপেক্টর, ১৮ জন এসআই, ২৫ জন এএসআই ও ৪০ জন কনস্টেবল রয়েছে। সূত্র জানায়, থানাটিতে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ৮টি মামলা হয়েছে। যার মধ্যে ৬টি মাদক মামলা। ফেব্রুয়ারিতে ১৪টি মামলার ১১টি মাদক, মার্চে ৯টি মামলার মধ্যে ৩টি মাদক, এপ্রিলে ১০টি মামলার মধ্যে ৩টি মাদক ও মে মাসে ৯টি মামলার মধ্যে ৫টি মাদক মামলা রয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App