×

পুরনো খবর

মামলা কম, অলস সময় কাটান ক্যান্টনমেন্টের পুলিশ সদস্যরা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০ জুন ২০১৮, ০৪:১৫ পিএম

মামলা কম, অলস সময় কাটান  ক্যান্টনমেন্টের পুলিশ সদস্যরা
৬ জুন দুপুর। রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় ঢুকে রীতিমতো অবাক হতে হলো। একদম সুনসান পরিবেশ। বেশিরভাগ কক্ষ এবং টেবিলে কোনো লোকজন নেই। থানায় শুধু একজন ডিউটি অফিসার ও একজন কনস্টেবল আছেন। লোক এতো কম কেন? জানতে চাইলে ডিউটি অফিসার বলেন, ওসি স্যারসহ সবাই কাজে আছেন। তা ছাড়া আমাদের থানা এমনই। সবসময় নিশ্চুপ থাকে। আসামিও আটক হয় না সচরাচর। তাই বেশিরভাগ পুলিশ সদস্যকেই অলস সময় পার করতে হয়। আধঘণ্টা পর সেরেস্তা রুমে পুলিশের দুই নারী সদস্যকে দেখা গেল। সেরেস্তা ইনচার্জ কোথায়? জানতে চাইলে তারা জানান, এখনো আসেননি। পরে সেরেস্তা ইনচার্জ আজিজুর রহমানকে ফোন দিয়ে কিছু তথ্য চাইলে তিনি অন্য এক পুলিশ সদস্যের নাম বলেন। ওই পুলিশ সদস্য আরো আধঘণ্টা পরে এসে কিছুটা রাগান্বিত স্বরেই বললেন, আপনি সাংবাদিক পরিচয়ে থানায় আসলেন কিভাবে? আমরা কোনো সাংবাদিককে তথ্য দেই না। পারলে ওসি স্যারকে বলেন, আমাকে ফোন দিতে। পরে ওসি মাহবুবুর রহমানকে ফোন দিলে তিনি এ প্রতিবেদককে বিভিন্ন অসঙ্গতিপূর্ণ প্রশ্ন করেন। একপর্যায়ে বলেন, থানা থেকে কোনো তথ্য দেয়ার ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিষেধ আছে। আপনি ডিএমপি পিআরে যোগাযোগ করুন। এক প্রশ্নের উত্তরে ওসি বলেন, ইন্সপেক্টর (তদন্ত) একটু পর থানায় যাবে। তার সঙ্গে কথা বলুন। দুপুর আড়াইটার দিকে থানায় আসেন ইন্সপেক্টর (তদন্ত) কবির হোসেন হাওলাদার। সাংবাদিক পরিচয় দেয়ামাত্রই চটে যান তিনিও। উত্তেজিত হয়ে বলেন, এটা ক্যান্টনমেন্ট থানা। এখানে সাংবাদিক এলাউ না সেটা কি আপনি জানেন? কোনো সাংবাদিক এখানে আসে না। আমরাও তাদের কোনো তথ্য দেই না। জানা গেছে, থানাটি একটি বিশেষ এলাকায় হওয়ায় চালচলন ও কার্যকলাপে কিছু নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এই সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে থানাটির কর্মকর্তারা। এদিকে, থানাটিতে তেমন মামলা ও জিডি না হওয়ায় অলস সময় কাটে পুলিশ সদস্যদের। ৬ জুন সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত অবস্থান করে মাত্র ২ জন সেবাপ্রত্যাশীকে থানায় আসতে দেখা গেছে। তারা একটি জিডি করেন। এর বাইরে পুলিশ সদস্য ছাড়া থানায় কোনো অভ্যাগতকে দেখা যায়নি। কর্মকর্তারা বলেন, থানাটির বেশিরভাগ অংশ সেনানিবাস এলাকায় হওয়ায় অপরাধ কর্মকান্ড তেমন ঘটে না। ফলে মামলাও তেমন হয় না। তবে, মাটিকাটা এলাকায় কিছু ভাসমান মাদক ব্যবসায়ী রয়েছে। তারা ভাসানটেক থেকে এসে মাদক বিক্রি করে আবার চলে যায়। আমরা তাদের ধরার সর্বাত্মক চেষ্টা করি। অনেককে ধরেছিও। থানা সূত্র জানায়, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ৫টি, ফেব্রুয়ারিতে ৬টি, মার্চে ১২টি, এপ্রিলে ১৩টি ও মে মাসে ১২টি মামলা হয়েছে। যার বেশিরভাগই দুর্ঘটনাবিষয়ক মামলা। ফলে, থানায় কর্মরত ৮ জন এসআই ও ১৮ জন এএসআইকে মামলার অভাবে প্রায় অলস সময় কাটাতে হয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App