বাজেট বাস্তবায়ন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ : মোস্তাফিজুর রহমান
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮ জুন ২০১৮, ১২:০৭ পিএম
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা না বাড়ালে বাজেট বাস্তবায়নের হার ক্রমশ কমবে। কিন্তু প্রস্তাবিত বাজেটে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ উল্লেখ নেই। এই অবস্থায় বাজেট বাস্তবায়নের বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে সক্ষমতা। প্রস্তাবিত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট প্রতিক্রিয়ায় গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরের কাগজকে তিনি একথা বলেন।
ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ব্যাংকিং খাতে ঢালাওভাবে আড়াই শতাংশ কর্পোরেট কর কমানো ঠিক হয়নি। পারফরমেন্সের ভিত্তিতে তা নির্ধারণ করা উচিত ছিল। এ ছাড়া সরকার ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে বিশাল অঙ্কের ঋণ নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এটা বিবেচনায় নেয়া উচিত। যাতে ব্যাংক ও সঞ্চয়পত্রে চাপ সৃষ্টি না হয়। এ ছাড়া ব্যাংকিং কাঠামোতে যে পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে তা কতটা বাস্তবায়ন করা সম্ভব এ নিয়েও আশঙ্কা রয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা প্রতিবছর গতানুগতিক আয়-ব্যয়ের প্রাক্কলন করি। সঠিকভাবে আমরা তা বাস্তবায়ন করতে পারছি না। প্রায় প্রতিবারই এর বাস্তবায়নে ঘাটতি রয়ে যায়। প্রস্তাবিত বাজেটে চালের আমদানিকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। চাল আমদানিতে ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক ও ৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ শুল্ক আরোপ আরো আগেই করা প্রয়োজন ছিল। এতে আমদানি কমবে এবং কৃষকরা ধানের ন্যায্য দাম পাবে। এটি বাজেটের ভালো দিক।
তিনি বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে দেশীয় শিল্প সুরক্ষায় বেশকিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। যেমন দেশে উৎপাদিত মোটরসাইকেল রেফ্রিজারেটরসহ দেশীয় শিল্পে কর রেয়াত দেয়া হয়েছে। এতে ভোক্তার উপকার হবে। এ ছাড়া বিদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এতে দেশীয় উৎপাদনকারীরা লাভবান হবে। সেই সঙ্গে কমবে এসব পণ্যের দাম।
ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, স্বল্প আয়ের মানুষরা সাধারণত ছোট আকারের ফ্ল্যাট ক্রয় করেন। এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে ছোট ফ্ল্যাটের ক্ষেত্রে কর দেড় শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। যারা ছোট ফ্ল্যাট কিনবেন তারা কেন বেশি দেবেন। তবে গতানুগতিক ধারার এই বাজেটে প্রধান চ্যালেঞ্জ হবে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়ানো। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। তবে ইউনেস্কো বলছে, এসব খাতে বিনিয়োগ জিডিপির ৪ শতাংশে উন্নীত করতে হবে। আমাদের এই বিষয়গুলো আরো ভালোভাবে বিবেচনায় নেয়া প্রয়োজন।