ঘুষের টাকাসহ দুদকের ফাঁদে রাজউকের ভুয়া কর্মকর্তা
কাগজ অনলাইন প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭ জুন ২০১৮, ০৬:২৩ পিএম
নিজেকে রাজধানী উন্নয়ন কতৃপক্ষের (রাজউক) কর্মকর্তা দাবি করতেন তিনি। বহুতল ভবন নির্মানের অনুমতি দেওয়ার শর্তে ঘুষ দাবি করেন বসুন্ধরার এক বাসিন্দার কাছে। তার অভিযোগ পেয়ে ফাঁদ পাতে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। ধরা পড়ার পর জানা গেল তিনি রাজউকের কর্মকর্তা নন, দালাল।
বৃহস্পতিবার দুপুর দুইটার দিকে তরুণ প্রামানিক নামের সেই কথিত দালালকে রাজধানীর মহাখালী রাজউক অফিস থেকে ঘুষের দুই লাখ টাকাসহ গ্রেপ্তার করে দুদক।
দুদকের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক নাসিম আনোয়ার ও ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর উপপরিচালকের নের্তৃত্বে বিশেষ টিমের এ অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।
দুদক সূত্র জানায়, জনৈক মুহিবুল আল কায়সার তার বসুন্ধারার ডি ব্লকের নিজস্ব প্লটে বহুতল ভবন নির্মাণের উদ্দেশ্যে প্লান পাশ করার জন্যে রাজউকের মহাখালী অফিসে গেলে তরুণ প্রামানিক নিজেকে রাজউকের কর্মী পরিচয় দিয়ে দু্ই লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন।
মুহিবুল কায়ছার বিষয়টি দুদকে জানালে সকল বিধি-বিধান অনুসরণপূর্বক ফাঁদ মামলা পরিচালনার জন্য একটি বিশেষ টিম গঠন করে দুদক।
সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুদকের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক নাসিম আনোয়ার ও ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়য়-১ এর উপপরিচালক এর নের্তৃত্বে বিশেষ টিমের সদস্যরা মহাখালীস্থ রাজউক অফিসের চারিদিকে ওৎ পেতে থাকে।
বেলা সোয়া দুইটার সময় রাজউকের কথিত দালাল তরুণ প্রামানিক যখন মুহিবুল আল কায়সারের কাছ থেকে ঘুষের দুই লাখ টাকা গ্রহণ করছিলেন, ঠিক তখনই দুদক টিমের সদস্যরা তাকে ঘুষের টাকাসহ হাতে-নাতে গ্রেপ্তার করে।
এ ব্যাপারে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল ওয়াদুদ বাদী হয়ে বনানী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন দুদকের দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা (উপ-পরিচালক) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য।