×

অর্থনীতি

সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাচ্ছে মানবসম্পদ উন্নয়ন খাত

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১ জুন ২০১৮, ০৩:৩০ পিএম

সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাচ্ছে মানবসম্পদ উন্নয়ন খাত
আগামী অর্থবছরের বাজেটে মানবসম্পদ উন্নয়ন খাতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে চায় সরকার। মানবসম্পদ উন্নয়ন সূচকে রয়েছে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও দক্ষতা খাত। সরকার এ তিনটি খাতে বেশি বরাদ্দ দিয়ে এগিয়ে নিতে চায়। বিশেষ করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের ক্ষেত্রে মানবসম্পদ উন্নয়ন খাতকে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। এবার এ খাতে মোট বাজেটের ১৮ দশমিক ৬ শতাংশ বরাদ্দ থাকছে। টাকার অঙ্কে ৮৭ হাজার ২৪৮ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ রয়েছে ৮২ হাজার ১৬০ কোটি টাকা। এ ছাড়া বিদ্যুৎ, জ্বালানিসহ ভৌত অবকাঠামো এবং কৃষি, পল্লী উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান খাতেও বরাদ্দ বাড়ানো হচ্ছে। জানা গেছে, নতুন বাজেটের সম্ভাব্য আকার ৪ লাখ ৬৮ হাজার ২০০ কোটি টাকা ধরেই কাজ চলছে। এ বাজেটে সম্ভাব্য আয় ধরা হচ্ছে ৩ লাখ ৪০ হাজার ৭৭৫ কোটি টাকা। আর ঘাটতি থাকছে ১ লাখ ২৭ হাজার ৪২৫ কোটি টাকা। বাজেট প্রণয়ন প্রায় চ‚ড়ান্ত। আগামী ৭ জুন জাতীয় সংসদে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী। আগামী বাজেট হবে সরকারের বর্তমান মেয়াদের শেষ এবং জাতীয় নির্বাচনের আগের বাজেট। ফলে সরকারের ৯ বছরের উন্নয়ন অগ্রগতিও প্রাধান্য পাচ্ছে সেখানে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সম্প্রতি বলেছেন, আগামী বাজেটে সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাবে মানবসম্পদ খাত। এ ছাড়া বিদ্যুৎ, জ্বালানি খাতও অগ্রাধিকার পাচ্ছে। অবশ্য বরাদ্দের দিক থেকে বেশি পাচ্ছে পরিবহন খাত। তিনি বলেন, আগামী বাজেট হবে অন্যবারের মতো স্বাভাবিক। এটি ভোটের বাজেট নয়। সূত্রমতে, অন্যান্য বাজেটের মতো এবারো বেশ কিছু বিষয়কে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত মানবসম্পদ উন্নয়ন খাতে মোট বাজেটের ১৮ দশমিক ৬ শতাংশ বরাদ্দ থাকছে। টাকার অঙ্কে ৮৭ হাজার ২৪৮ কোটি টাকা। মানবসম্পদ উন্নয়ন সূচকে রয়েছে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও দক্ষতা খাত। সরকার এ তিনটি খাতে বেশি বরাদ্দ দিয়ে এগিয়ে নিতে চাচ্ছে। বিশেষ করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের ক্ষেত্রে মানবসম্পদ উন্নয়ন খাতকে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, প্রবৃদ্ধির জন্য দরকার বিনিয়োগ। কিন্তু দেশে এখনো বিনিয়োগের প্রবাহ ভালো হচ্ছে না। যে কারণে বিকল্প হিসেবে মানবসম্পদ খাতকে এগিয়ে আনা হচ্ছে। দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলে জিডিপির প্রবৃদ্ধি বাড়ানো হবে। প্রস্তাবিত বাজেটে অগ্রাধিকারের দ্বিতীয় অবস্থানে আছে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন খাত। ৫১ হাজার ৬৬৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হবে ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নে। চলতি বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ আছে ৪৬ হাজার ৯৯৪ কোটি টাকা। পাশাপাশি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগে বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে ২৪ হাজার ৯২০ কোটি টাকা। এটি মোট বাজেটের ৫ দশমিক ৩ শতাংশ। চলতি বাজেটে এ খাতে বরাদ্দের পরিমাণ হচ্ছে ২১ হাজার ১১৮ কোটি টাকা। সূত্রমতে, আগামী ২০২১ সালের মধ্যে ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরে আগামী বাজেটে এ বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে কয়লা, ডিজেল ও ফার্নেস অয়েল, নিউক্লিয়ার এনার্জি ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনকে। বর্তমান ১৫ হাজার ৯৬৭ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ৬৩টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণাধীন। এ ছাড়া ৫ হাজার ৪২১ মেগাওয়াট ক্ষমতার আরো ২৪টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য দরপত্র প্রক্রিয়াধীন আছে। পাশাপাশি আগামীতে ২৩ হাজার ২৫২ মেগাওয়াটের ২১টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বিদ্যুৎ বিতরণে সিস্টেম লস ৯ দশমিক ৩ শতাংশে নামিয়ে আনার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এসব বিষয় বাজেটে তুলে ধরা হবে। সেখানে গ্যাস মজুদ ও এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ এবং রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের দিক-নির্দেশনাও থাকছে। অগ্রাধিকারের তৃতীয় অবস্থানে আছে কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন। এ খাতে মোট বরাদ্দ হচ্ছে ১৬ হাজার ১২৪ কোটি টাকা। এটি বাজেটের প্রায় ৩ দশমিক ৪ শতাংশ, যা চলতি বাজেটে ছিল ১৫ হাজার ৪৮৯ কোটি টাকা। আগামী বাজেটে সার, বীজ ও সেচসহ কৃষি উপকরণে প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে ৯ হাজার কোটি টাকা। এ ছাড়া বৈশি^ক জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে উপযুক্ত কৃষি প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও গবেষণার জন্য এনডাউমেন্ট ফান্ড গঠন করা হচ্ছে। পাশাপাশি ই-কৃষি সেবা কার্যক্রম আরো সম্প্রসারণ করা হবে বলে জানা গেছে। কৃষির আরেকটি দিক হচ্ছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ। এ খাতে নতুন বাজেটে বরাদ্দ থাকছে ১ হাজার ৮৬৯ কোটি টাকা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App