×

অর্থনীতি

ঋণ গ্রহণ-আদায়ে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা বন্ধ করতে হবে

Icon

কাগজ অনলাইন প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ মে ২০১৮, ০৬:৩১ পিএম

ঋণ গ্রহণ-আদায়ে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা বন্ধ করতে হবে
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. মির্জা আজিজুল ইসলাম বলেছেন, ঋণ গ্রহণ ও আদায়ে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা বন্ধ করতে হবে। তাহলে ঋণ খেলাপিও হবে না, আদায়ও সহজ হবে। সোমবার (২৮ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্ট আয়োজিত ‘প্রাক বাজেট আলোচনায়’ তিনি এ কথা বলেন। মির্জা আজিজ বলেন, রাজনৈতিক বিবেচনায় রাষ্ট্রীয় ব্যাংকের বিতরণ করা ঋণ খেলাপি হয়েছে। ব্যাংকের পক্ষ থেকে আদায় করার উদ্যোগ নিলে আদালতে গিয়ে তা স্থগিত আদেশ জারি করা হচ্ছে। বিচার ব্যবস্থার শ্লথগতির ফলে হাজার হাজার কোটি টাকা আদায় হচ্ছে না। ব্যাংকগুলো টাকা আদায়ে অর্থঋণ আদালতে মামলা করলেও তা আটকে আছে। এই অকার্যকর বিচার ব্যবস্থা থেকে উত্তরণে সরকার কি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে আগামী বাজেটে তার দিক নির্দেশনা থাকা দরকার। তিনি বলেন, আমদানির প্রবৃদ্ধি বিশ্লেষণ করার পাশাপাশি আমদানির আড়ালে অর্থপাচার হচ্ছে কি-না তা খতিয়েও দেখা দরকার। প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ অর্থপাচার হয়ে যাচ্ছে। মির্জা আজিজ বলেন, দারিদ্র্য বিমোচনের ক্ষেত্রে অগ্রগতি প্রশংসনীয় হলেও বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো ভালোভাবে পরিচালিত হলে সেখান থেকে করমুক্ত রাজস্ব পাওয়া যেতো। দিনের পর দিন এসব প্রতিষ্ঠান ভর্তুকির নামে সরকার ঋণ দিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছে। যে ঋণ কেয়ামত পর্যন্ত আদায় হবে না। তারপরও প্রতি বছর শ্রমিক অসন্তোষ মেটানোর জন্য সরকারের কাছে ঋণ নিচ্ছে। এখানে শুভঙ্করের ফাঁকি আছে। কয়েক লাখ কোটি টাকা এ প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণ আছে, এসব বিষয়ে বাজেটে ইঙ্গিত থাকা উচিত। গত পাঁচ ছয় বছরে বাজেট বাস্তবায়নের হার কমেছে। ২০১২ সালে যেখানে ৯৩ শতাংশ বাস্তবায়ন হতো, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এসে তা ৮০ শতাংশে নেমেছে। বাজেট বাস্তবায়নে প্রশাসনিক জবাবদিহিতার পাশাপাশি দক্ষতা বাড়ানোর তাগিদ দেন এ উপদেষ্টা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এছাড়াও বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর অথনৈতিক উপদেষ্টা

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App