×

জাতীয়

আ.লীগ ও বিএনপি উভয় দলেই মনোনয়ন প্রত্যাশীর ছড়াছড়ি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ মে ২০১৮, ০৩:৪২ পিএম

আ.লীগ ও বিএনপি উভয় দলেই  মনোনয়ন প্রত্যাশীর ছড়াছড়ি
আ.লীগ ও বিএনপি উভয় দলেই  মনোনয়ন প্রত্যাশীর ছড়াছড়ি
আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা। ইতোমধ্যে দুটি বড় দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মনোনয়ন পেতে অনেক নেতাই কেন্দ্রে দোড়ঝাঁপ করে চলেছেন। বিভিন্ন ধরনের পোস্টার ছাপিয়ে নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় সাঁটিয়ে ভোট চাচ্ছেন। সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দেয়াসহ বিভিন্নভাবে গণসংযোগ করে যাচ্ছেন। তবে এ দুটি দলের মধ্যেই রয়েছে দ্বিধাবিভক্তি। ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন না করা, সব ক্ষেত্রে একক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে নেতাকর্মীরা মনে করেন। লালপুর ও বাগাতিপাড়া উপজেলা নিয়ে গঠিত নাটোর-১ আসনে গত সংসদ নির্বাচনে সাবেক সংসদ সদস্য মমতাজ উদ্দিনের ছোট ভাই আবুল কালাম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মমতাজ উদ্দিনের মৃত্যুর পর থেকেই এ আসনটিতে দলের নেতাকর্মীদের মাঝে কোন্দল দেখা দেয়। অনেক নেতাকর্মীর মতে গত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বর্তমান সংসদ সদস্য প্রয়াত মমতাজ উদ্দিনের ছোট ভাই আবুল কালামের সঙ্গে মনোনয়ন বঞ্চিত প্রয়াত মমতাজ উদ্দিনের স্ত্রী শেফালী মমতাজ ও তার ছেলে শামীম আহমেদ সাগরের দূরত্ব বাড়তে থাকে। পরবর্তী সময়ে লালপুর ও বাগাতিপাড়া উপজেলার বেশ কিছু সুবিধাবঞ্চিত নেতাকর্মীও সংসদ সদস্যের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন। ফলে দলের মধ্যে কোন্দলের সৃষ্টি হয়। এ ব্যাপারে বর্তমান সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ জানান, দুটি উপজেলায় দলের থানা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটির প্রায় ১০ হাজার নেতাকর্মী রয়েছেন যাদের শতকরা ৯৮ ভাগের মধ্যে কোনো দ্বিধা-বিভক্তি নেই। অবশিষ্ট শতকরা দুই ভাগের বিরোধিতা দলের জন্য কোনো ক্ষতি করবে না। তিনি বলেন, তার সময়ে নির্বাচনী এলাকায় যে কাজ হয়েছে তাতে যদি দল তাকে মনোনয়ন দেয় তাহলে এ আসনটি আওয়ামী লীগের দখলেই থাকবে। তবে অনেক নেতাকর্মীর মতে দলীয় কোন্দল দূর করতে না পারলে আগামী সংসদ নির্বাচনে আসনটি দখলে রাখা বেশ কষ্টসাধ্য হবে। আগাম নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ও গণসংযোগে ব্যস্ত রয়েছেন তারা হলেন বর্তমান সাংসদ এডভোকেট আবুল কালাম আজাদ, সাবেক মহিলা সাংসদ ও শহীদ মমতাজের স্ত্রী শেফালী মমতাজ, নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মাজেদুর রহমান চাঁদ, বাগাতিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হোসেন, সাংগঠনিক স¤পাদক শহীদুল ইসলাম বকুল, লে. কর্নেল (অব.) রমজান আলী, কৃষক লীগের সাংগঠনিক স¤পাদক আতিকুল হক আতিক ও শামীম আহাম্মেদ সাগর। অপরদিকে এ আসনে সাবেক সংসদ সদস্য ও দলের কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক প্রতিমন্ত্রী ফজলুর রহমান পটলের সময় থেকেই বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে বিরোধ চলে আসছে। গোপালপুর পৌর সভার মেয়র পদে মনোনয়ন চেয়ে না পাওয়ায় সে সময়ের প্রতিমন্ত্রী ফজলুর রহমান পটলের সঙ্গে লালপুর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম বিমলের বিরোধ সৃষ্টি হয়। পরবর্তী সময়ে স্বতন্ত্রভাবে দাঁড়িয়ে মঞ্জুরুল ইসলাম বিমল মেয়র নির্বাচিত হন। এরপর বিভিন্ন সময় এ বিরোধের জের ধরে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনাও ঘটেছে। ফজলুর রহমানের মৃত্যুর পরও তার সমর্থকদের সঙ্গে গোপালপুর পৌর মেয়রের বিরোধ বজায় রয়েছে। এ আসনটিতে চোখে পড়ার মতো তেমন কোনো দলীয় কর্মসূচি পালন করা হয় না। আসন্ন নির্বাচনে এ আসনে যারা প্রার্থী হতে চান তারা হলেন- সাবেক প্রতিমন্ত্রী মরহুম ফজলুর রহমানের স্ত্রী কামরুন নাহার শিরিন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহদপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি তারিকুল ইসলাম টিটু এবং নাটোর জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও গোপালপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র মঞ্জুরুল ইসলাম বিমল। তবে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিক জামায়াতে ইসলামীর কোনো নেতার নাম শোনা যাচ্ছে না। এ আসনে জাতীয় পার্টি থেকে সাবেক সংসদ সদস্য এমএ তালহা, নাটোর জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সোহেল রানার নাম শোনা যাচ্ছে।  এখানে উত্তরবঙ্গ আখচাষি সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিল, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির আনসার আলী দুলাল প্রার্থী হতে পারেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App