×

বিনোদন

প্রতি শনিবার নেওয়াজের চাচা মারা যান

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০১৮, ০২:৩১ পিএম

প্রতি শনিবার নেওয়াজের চাচা মারা যান
মঙ্গলবারের রোদজ্বলা দুপুর। গন্তব্য উত্তরার ৫ নম্বর সেক্টরে বশিরের শুটিং হাউজ। এখানেই পাওয়া যাবে অভিনেতা আবুল হায়াত ও চঞ্চল চৌধুরীকে। ঝাঁ চকচকে এক সূর্য মাথার ওপর নিয়ে লাঞ্চ বিরতির সময়টাতেই পৌঁছানো গেল। সাধারণত এই মাপের অভিনেতারা একবার চরিত্রের মধ্যে ঢুকে পড়লে সহজে আর বের হতে পারেন না। একের পর এক শটগুলো শেষ করার তাড়না তাদের যেন পেয়ে বসে। হলোও তাই। ডিরেক্টর গোলাম সোহরাব দোদুল যখন তাদের লাঞ্চ বিরতির তাগাদা দিচ্ছেন তখন চঞ্চল বলেই বসলেন, ‘আরো কিছু কাজ সেরে তবেই খেলে হতো না?’ ডিরেক্টর হাসতে হাসতে বললেন, ‘গরম গরম কাজ, গরম গরম খাওয়া, আবহাওয়াটাও কিন্তু আজ বেশ গরম। আমরা খেয়েই বাকি শুটিং সারব।’ তো, আর কী! ভালোই হলো। লাঞ্চ বিরতিতেই আলাপ সেরে ফেলার ইচ্ছে। কথা শুরু হলো। প্রথমেই জানতে চাওয়া, নাটকের নামটি কেন এমন?Ñ ‘প্রতি শনিবার নেওয়াজের চাচা মারা যান’। পরিচালক জানালেন, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রায়ই এমন দেখা যায় যে চাকরিজীবী কেউ কেউ তার আত্মীয়স্বজনের মৃত্যুর কথা বলে ছুটি কাটান। এমন তো হয়, একই ব্যক্তির মৃত্যুর খবর কয়েকবার ব্যবহার করেন তিনি। নেওয়াজ তেমনই একজন চাকরিজীবী যিনি তার চাচার মৃত্যুর খবরের দোহাই দিয়ে কয়েক শনিবার অফিসে যাননি। কারণ প্রতি শনিবার এলেই তার অফিসে যাওয়া নিয়ে একটা ঝামেলার সৃষ্টি হয়। একদিন এমন এক শনিবারে হঠাৎ অফিস থেকে নেওয়াজের সিইও ফোন করেন। বাসায় থেকেই ফ্যান দিয়ে বাতাস করে আর একটি বাঁশি দিয়ে লঞ্চের হর্ন বুঝানোর চেষ্টা করেন নেওয়াজ। পরিচালক গল্প বলে যাচ্ছেন, ঠিকই তখনই পাশ থেকে বলতে শুরু করলেন নেওয়াজরূপী চঞ্চল, ‘তবে একদিন কিন্তু সত্যি সত্যিই নেওয়াজের চাচা মারা যান!’ তাই? কৌত‚হলী হয়েই জিজ্ঞাসা করলাম, কী হয় সেদিন? চঞ্চল বললেন, জানতে হলে, দেখতে হবে। হাঃ হাঃ হাঃ। এবার একটু ইমোশনাল হয়ে চঞ্চল বললেন, ‘সত্যি বলতে কী মানুষের জীবন থেকেই তো নাটকের গল্প নেয়া হয়, মানুষের জীবন নাটকের গল্পের বাইরে নয়, তা এ নাটকে কাজ করতে গিয়েও আবার কিছুটা উপলব্ধি করলাম।’ আলাপ গড়াতে থাকল। খুব মনোযোগ দিয়েই খাবার খাচ্ছিলেন চাচা আবুল হায়াত। চঞ্চলের কথা শুনে তিনি যোগ দিলেন আমাদের আলাপে। চামচের উচ্ছ¡াস ছাড়িয়ে মনোযোগ ধরা পড়ল এবার গল্পে। বললেন, এটি কমেডি ঘরানার গল্পের নাটক কিন্তু খুব সুন্দর একটা গল্প আছে। আর দোদুল তো সব সময়ই খুব ভালো কাজ করে। শিল্পীকে যথেষ্ট আরাম দিয়েই দোদুল কাজ আদায় করে নেয়। চঞ্চল খুব ভালো একজন অভিনেতা। তার সঙ্গে কাজ করেও বেশ মজা পাওয়া যায়। একটু অন্যরকম গল্পের নাটকতো, তাই আশা করছি দর্শকেরও ভালো লাগবে। মূলত ঈদে বাংলাভিশনের জন্যই নাটকটি বানাচ্ছেন দোদুল। নাটকের কাহিনী তুহিন বড়–য়ার হলেও চিত্রনাট্য করেছেন শাহজাহান সৌরভ। লাঞ্চ শেষ হলেই ফ্যানের বাতাস এবং বাঁশি দিয়ে লঞ্চের হর্ন বুঝানোর দৃশ্যধারণ হবে। চায়ের কাপ ফুরিয়ে এসেছে শেষ চুমুকে। তবু মনে হলো, কত কথা থেকে গেল তলানির উপহারে...।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App