×

তথ্যপ্রযুক্তি

রাইড শেয়ারিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানদের বিআরটিএ সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯ এপ্রিল ২০১৮, ০৩:২৮ পিএম

রাইড শেয়ারিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানদের বিআরটিএ সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) আগামী ১ মাসের মধ্যে পাঠাও-উবারসহ সব রাইড শেয়ারিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ও মোটরযান মালিক ‘এনলিস্টমেন্ট সার্টিফিকেট’ না সংগ্রহ করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে । বৃহস্পতিবার (১৯ এপ্রিল) সকালে বিআরটিএ’র পরিচালক (ইঞ্জি.) মো. নুরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘ব্যক্তিগত মোটরকার ও মোটরসাইকেল চালানোর ‘রাইড শেয়ারিং সার্ভিস নীতিমালা-২০১৭’ কার্যকর করেছে সরকার। নীতিমালা অনুযায়ী বিআরটিএ’র কাছ থেকে রাইডশেয়ারিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানকে ‘রাইডশেয়ারিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান এনলিস্টমেন্ট সার্টিফিকেট’ এবং মোটরযান মালিককে ‘রাইডশেয়ারিং মোটরযান এনলিস্টমেন্ট সার্টিফিকেট’ গ্রহণ করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সার্টিফিকেট গ্রহণের জন্য নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে আগামী ১ মাসের মধ্যে অনলাইনের মাধ্যমে বিআরটিএ’র ওয়েবসাইটে দাখিল করার অনুরোধ করা হচ্ছে’। বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, নির্ধারিত সময়ে যদি কোনো প্রতিষ্ঠান বা মোটরযান মালিক সার্টিফিকেট না গ্রহণ করেন তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এর আগে চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি রাইডশেয়ারিং সার্ভিস নীতিমালার গেজেট জারি করা হয় এবং ১৫ জানুয়ারি রাইডশেয়ারিং সার্ভিস নীতিমালা অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। এই নীতিমালায় ৮টি অনুচ্ছেদ এবং ১১টি শর্ত যুক্ত করা হয়েছে। শর্তগুলো হলো- ১. কোম্পানিকে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) থেকে তালিকাভুক্তির সনদ নিতে হবে। ২. অ্যাপসের মালিককে টিআইএনধারী হতে হবে এবং নিয়মিত ভ্যাট পরিশোধ করতে হবে। আর কোম্পানি হলে জয়েন্ট স্টক থেকে কোম্পানির রেজিস্ট্রেশন নিতে হবে। ৩. নিজস্ব অফিস থাকতে হবে। ৪. ঢাকায় সেবা দেয়ার জন্য কমপক্ষে ১০০টি, চট্টগ্রামে ৫০টি এবং অন্য জেলা শহরে ২০টি গাড়ি থাকতে হবে। ৫. গাড়িগুলোর বিআরটিএ থেকে ট্যাক্স পরিশোধ ও রুট পারমিট আপডেট থাকতে হবে। ৬. মালিক ও চালকের মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি থাকতে হবে। ৭. স্ট্যান্ড ছাড়া যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং করা যাবে না। ৮. বিআরটিএর ওয়েবসাইটে এই সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান, মালিক ও চালকের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য থাকতে হবে। ৯. তালিকাভুক্তির জন্য আবেদনের সঙ্গে ১ লাখ টাকাসহ অন্যান্য ফি জমা দিতে হবে। তালিকাভুক্তির মেয়াদ হবে তিন বছর। পরে এটি নবায়ন করতে হবে। নবায়ন ফি হবে ১০ হাজার টাকা। ১০. মালিক ও চালকের বিরুদ্ধে অনলাইনে অভিযোগ করা যাবে। ১১. শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে তালিকাভুক্তির সনদ বাতিলসহ প্রচলিত আইনে মামলা করা যাবে। এই শর্তগুলো মোটরসাইকেল ও মোটরযান উভয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App