দেশে হ্যান্ডসেট সংযোজন ও আমদানিতে কর সংস্কার চায় বিএমপিআইএ
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯ এপ্রিল ২০১৮, ০৩:১৭ পিএম
দেশে সংযোজিত মোবাইল হ্যান্ডসেট এবং আমদানি করা ফোরজি হ্যান্ডসেটে বিভিন্ন ধরনের কর ও আমদানি শুল্ক কমানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ইম্পোটার্স অ্যাসোসিয়েশন বা বিএমপিআইএ।
আসন্ন বাজেট থেকেই বিদ্যমান আমদানি শুল্ক বা ভ্যাট কমানোর দাবি করে বাজেট প্রস্তাব দিয়েছে সংগঠনটি।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে জমা দেওয়া প্রস্তাবে বিএমপিআইএ দেশে উৎপাদিত ও সংযোজিত মোবাইল হ্যান্ডসেটের ফোনের ওপর থেকে কর ও ভ্যাট কমানো এবং আমদানি করা ফোরজি হ্যান্ডসেটের উপর শুল্ক হ্রাস চেয়েছে।
সংগঠনটি বাজেট প্রস্তাবে বলছে, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের অন্যতম হাতিয়ার ডিজিটাল ডিভাইস। বিশেষ করে মোবাইল ফোন। তাই এটি যতোটা সহজলভ্য করা যাবে তত দ্রুত ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন হবে।
ইতোমধ্যে দেশে মোবাইল ফোন শিল্প কারখানার নীতিমালা প্রকাশ ও অনুমতি প্রদান করা হয়েছে। আর সাতটি আন্তর্জাতিক ও দেশীয় প্রতিষ্ঠান দেশে মোবাইল ফোন শিল্প কারখানা স্থাপন করেছে ও করতে যাচ্ছে। অনেকে উৎপাদনও শুরু করেছে।
বিএমপিআইএ জানায়, ২০১৭ সালে দেশে স্মার্টফোনের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১ শতাংশ, যা আগের বছরের চেয়ে ৩২ শতাংশ কম।
দেশে স্মার্টফোন ও ফোরজি হ্যান্ডসেট বৃদ্ধি করতে সংগঠনটি দুটি বাজেট প্রস্তাব করেছে।
এর একটি হলো- দেশে উৎপাদিত মোবাইল ফোনের শুল্ক-কর সংস্কার করা। এ ক্ষেত্রে বর্তমানে এ খাতে আরোপিত ১ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক ও মূসক কমিয়ে ১ শতাংশে আনা। সারচার্জ পুরোপুরি বাদ দেওয়া, ৫ শতাংশ অগ্রীম আয়কর প্রত্যাহার এবং মোট আরোপিত শুল্ক ১৬ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ শতাংশে আনার দাবি জানায় তারা।
এ ছাড়া মোবাইল ফোন আমদানির ক্ষেত্রে আরোপিত শুল্কেও সংস্কারের প্রস্তাব করে বিএমপিআইএ। এ ক্ষেত্রে শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা, সারচার্জ তুলে নেওয়া, অগ্রীম আয়কর ২ থেকে কমিয়ে ১ শতাংশ করা এবং মোট আরোপিত শুল্ক ৩০ দশমিক ১৯ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২২ দশমিক ১৯ শতাংশ করা।
বিএমপিআইএ দাবিগুলোর পক্ষে যে যুক্তি দেখাচ্ছে- তার অন্যতম হচ্ছে, এটা করা গেলে সহজেই দেশে স্মার্টফোনের ব্যবহার বাড়ানো যাবে এবং ডিজিটাল সার্ভিসগুলো দেশের সব শ্রেণির মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে।
এমনকি শুল্কহার কমালে দেশে অবৈধ উপায়ে আনা হ্যান্ডসেটের পরিমাণ কমবে এবং দেশে সদ্য উৎপাদনে যাওয়া মোবাইল সংযোজন শিল্পের বিকাশ ঘটবে বলে জানায় সংগঠনটি।