×

জাতীয়

ক্ষমা না চাইলে মতিয়া চৌধুরীকে জাবিতে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০১৮, ০৩:২৯ পিএম

ক্ষমা না চাইলে মতিয়া চৌধুরীকে জাবিতে অবাঞ্ছিত ঘোষণা
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নিয়ে জাতীয় সংসদে দেয়া কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর বক্তব্য আগামী তিনদিনের মধ্যে প্রত্যাহার করে জাতির সামনে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারীরা। ক্ষমা না চাইলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে তাকে অবাঞ্ছিত করা হবে বলে ঘোষণা দেয়া হয়েছে। গতকাল কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদে আজ সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীর সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এসময় জাবি সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহবায়ক খান মুনতাসির মো. আরমান এ ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, আমরা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে বেড়ে উঠেছি। মতিয়া চৌধুরী আমাদের সম্পর্কে যে বক্তব্য দিয়েছে আমাদের জন্য তা অত্যন্ত অপমানজনক। সমাবেশ শেষে শতাধিক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে একটি বিক্ষোভ মিছিল ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এসে শেষ হয়। এদিকে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ থেকে আগামী তিন দিনের সকল প্রকার ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেছে জাবি শিক্ষার্থীরা। জাবির বিভিন্ন অনুষদ সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, অনুষদ এবং বিভাগ খুললেও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নেই। অনুষ্ঠিত হয়নি কোনো ক্লাস-পরীক্ষা। প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের সম্পর্কে সোমবার কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী সংসদ অধিবেশনে বলেন, “পরিষ্কার বলতে চাই, মুক্তিযুদ্ধ চলছে, চলবে। রাজাকারের বাচ্চাদের আমরা দেখে নেবো। মতলববাজ, জামায়াত-শিবির, তাদের এজেন্টদের বিরুদ্ধে সামান্য শৈথিল্য দেখানো হবে না। মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানেরা সুযোগ পাবে না, রাজাকারের বাচ্চারা সুযোগ পাবে? তাদের জন্য মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংকুচিত হবে? রাজধানীকেন্দ্রিক একটি এলিট শ্রেণি তৈরির চক্রান্ত চলছে।” কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের তুলোধুনা করে সোমবার সংসদ অধিবেশনে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, রাজধানীকেন্দ্রিক একটি এলিট শ্রেণী তাদের ছেলেমেয়েদের সুপ্রতিষ্ঠিত করতে একটা সুপরিকল্পিত চক্রান্তের অংশ হিসেবে এ আন্দোলনের সৃষ্টি করেছে। তারা মুক্তিযোদ্ধা কোটা চায় না। যারা জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন, তাদের সন্তানরা সুযোগ পাবে না, তাদের বাদ রেখে রাজাকারের বাচ্চাদের সুযোগ দিতে হবে? সেজন্য পরিষ্কার বলতে চাই, তারা যেন মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে। মুক্তিযুদ্ধ করেছি, চলছে চলবে। এই রাজাকারের বাচ্চাদের আমরা দেখে নেব। আর ছাত্রদের প্রতি আমাদের কোনো রাগ নেই। কিন্তু স্ট্যাটাস যারা দিয়েছে, তারা তো ছাত্র না, তারা তো জামায়াত-শিবিরের এজেন্ট। এদের প্রতি সামান্যতম শৈথিল্য দেশবাসী আর দেখতে চায় না। হয় ওরা থাকবে, নয় আমরা থাকব। হামলাকারীদের কোনো ক্ষমা নেই। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলব, এদের প্রতি কোনো শৈথিল্য নয়। উপযুক্ত ব্যবস্থা নিন, যুদ্ধ ঘোষণা করুন, হয় এরা থাকবে, নয় আমরা থাকব— এই হোক আজকের প্রতিজ্ঞা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App