×

জাতীয়

আজ টিএসসি ছাড়লেন আন্দোলনকারীরা

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০১৮, ০৯:০৮ পিএম

আজ টিএসসি ছাড়লেন আন্দোলনকারীরা

সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে সমন্বিত আন্দোলন আগামীকাল বুধবার সকাল ১০টা পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসিতে চলমান এ বিক্ষোভ কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক রাশেদ খান বলেন, আজ রাতের মতো আন্দোলন স্থগিত করা হয়েছে। আগামীকাল সকাল ১০টা থেকে ফের আন্দোলন শুরু হবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের কথার সঙ্গে সরকারের অন্য মন্ত্রীদের বক্তব্যের মিল না পাওয়ায় স্থগিত হওয়া কোটা সংস্কারের আন্দোলন আজ বিকেলে সমন্বিতভাবে আবার চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা।

এ ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসির রাজু ভাস্কর্য অভিমুখে বিভিন্ন দিক থেকে মিছিল এসে জড়ো হতে থাকে। শহীদ মিনার, ফুলার রোড, উপাচার্য চত্বর, উপাচার্য অফিসের সামনে দিয়ে সূর্যসেন হলসহ বিভিন্ন স্থান থেকে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে জড়ো হন। পরে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা সেখানে অবস্থান করেন।

কোটা পদ্ধতির সংস্কারের দাবিতে গতকাল সোমবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে ক্ষোভ প্রকাশ করে মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘লজ্জা করে না? এটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যারা শিক্ষার্থী আমি মনে করি, সত্যিকারের যারা জ্ঞানের চর্চা করছে, সবার জন্য এটা একটা কলঙ্কজনক অধ্যায়। যারা জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছিল, মুক্তিযুদ্ধ করেছিল, তাদের ছেলেমেয়ে বা বংশ, সেই আরেকটি সিঁড়ি, তারা সুযোগ পাবে না। ওই রাজাকারের বাচ্চারা সুযোগ পাবে। তাদের জন্য মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংকুচিত করতে হবে?’

মতিয়া চৌধুরীর এ বক্তব্যের প্রতিবাদে আজ ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’র ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন আন্দোলনের যুগ্ম-আহ্বায়ক রাশেদ খান।

রাশেদ খান বলেন, ‘বিকেল ৫টার মধ্যে মতিয়া চৌধুরী ক্ষমা ও বক্তব্য প্রত্যাহার করে না নিলে আমরা সারা দেশে অবরোধ কর্মসূচি পালন করব।

এর আগে গতকাল বিকেলে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের ১৯ সদস্যদের একটি প্রতিনিধি দল সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বৈঠক করেন। বেঠক শেষে তারা আগামী ৭ মে পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন। তবে গতকাল রাতেই ওই ঘোষণা প্রত্যাহার করে আন্দোলনকারীদের একাংশ বিক্ষোভ চালিয়ে যান।

আজ সকাল থেকে আন্দোলনকারীরা কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েন। ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’র বাইরে আরও দুটি পক্ষ তৈরি হয়। তবে সন্ধ্যায় সব পক্ষ এক হয়ে আবার দেশব্যাপী সমন্বিত আন্দোলনের ঘোষণা দেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App