×

জাতীয়

আওয়ামী লীগে ২, বিএনপিতে একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ এপ্রিল ২০১৮, ১১:২৬ এএম

আওয়ামী লীগে ২, বিএনপিতে একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী
বছরের শেষপ্রান্তে জাতীয় নির্বাচন। এরই মধ্যে সারা দেশে বইছে ভোটের হাওয়া। দলগুলোতে প্রস্তুতির তোড়জোড়। সম্ভাব্য প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ তুঙ্গে। নির্বাচনী এলাকায় ঘন ঘন ছুটছেন বিভিন্ন দলের হেভিওয়েট নেতারাও। কেমন তাদের প্রস্তুতি, মাঠের অবস্থাইবা কি? এ নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদন
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের তৎপরতা শুরু হয়ে গেছে। এ আসনে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য শামীম ওসমান ও শ্রমকি নেতা কাউসার আহমেদ পলাশ। অপরদিকে বিএনপিতে একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী থাকলেও জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি শাহ আলম ও সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিনের মধ্যেই প্রতিযোগিতা সীমাবদ্ধ থাকবে বলে মনে করেন নেতাকর্মীরা। সর্বশেষ ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন শামীম ওসমান। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও প্রধান বিরোধীদল বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা ইতোমধ্যেই আঁটঘাট বেঁধে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় নেমে পড়েছেন। জেলার ৫টি সংসদীয় আসনের মধ্যে নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফুতল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনটি বহুল আলোচিত। জেলার অন্যান্য আসনের তুলনায় এ আসনটিকে ঘিরে থাকে ব্যাপক আলোচনা। তবে শিল্পাঞ্চল হওয়ায় আসনটি অর্থনৈতিকভাবে অনেক সমৃদ্ধ। ফতুল্লার পঞ্চবটিতে রয়েছে বিসিক শিল্পনগরী। এখানে প্রায় ৪০০ নিট গার্মেন্টস রয়েছে। অপরদিকে সিদ্ধিরগঞ্জে গড়ে উঠেছে আদমজী ইপিজেড। এ ছাড়া রয়েছে ছোট-বড় অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠান। মূলত এ আসনটি শ্রমিক অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে পরিচিত। এ আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের শক্তিশালী প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান। ১৯৯৬ সালে তিনি প্রথমবারের মতো আওয়ামী লীগের তরুণ প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং ওই বছর সারা দেশের ৩০০টি আসনের মধ্যে এখানে সর্বোচ্চ বাজেটের উন্নয়ন করেছেন বলে দাবি করেন তিনি। ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপির গিয়াস উদ্দিনের কাছে পরাজিত হয়ে বিদেশে চলে যান। দীর্ঘ ৯ বছর পর দেশে ফেরেন। তবে ২০০৮ সালের নির্বাচনে মনোনয়ন বঞ্চিত হন তিনি। সে সময় আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে এক সময়ের আলোচিত চিত্রনায়িকা সারাহ বেগম কবরী এ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন, যিনি সম্পর্কে শামীম ওসমানের চাচি হন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে শামীম ওসমানকে মনোনয়ন দেয়া হলে বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। এদিকে এ আসনটিতে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী হিসেবে শামীম ওসমানকে বিবেচনা করা হলেও বর্তমানে জাতীয় শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির শ্রমবিষয়ক সম্পাদক কাওসার আহমেদ পলাশ দলের কাছে মনোনয়ন চাইবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। এরই মধ্যে এ দুই সম্ভাব্য প্রার্থীই নির্বাচনের মাঠে রয়েছেন। শামীম ওসমান দলকে সুসংগঠিত করার জন্য ইউনিয়ন পর্যায়ে তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে গণসংযোগ ও মতবিনিময় শুরু করেছেন। তবে তার সঙ্গে এখন নেই পুরনো বন্ধু কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা এডভোকেট আনিসুর রহমান দীপু এবং মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট খোকন সাহা। ফলে শামীম ওসমানকে তৃণমূল থেকে নতুন করে কৌশল অবলম্বন করে দল গোছাতে হচ্ছে। তিনি বিভিন্ন সভা-সমাবেশে ঘোষণা করছেন বিগত নির্বাচনের সময় দেয়া তার উন্নয়ন কর্মসূচির অসমাপ্ত কাজ আগামী ৬ মাসের মধ্যে শেষ করবেন। অপরদিকে কাওসার আহমেদ পলাশ মূলত শ্রমিক রাজনীতি করলেও দল তাকে মনোনয়ন দিলে তিনি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তবে দুজনই ফতুল্লার বাসিন্দা। দলের নেতাকর্মীরা জানান, এ আসনে দলের হাইকমান্ডের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে। দল যাকে মনোনয়ন দেবে তার পক্ষেই তারা কাজ করবেন। এ আসনে বিএনপির একাধিক সম্ভাব্য প্রার্থী রয়েছেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে সামান্য ভোটের ব্যবধানে পরাজিত প্রার্থী শিল্পপতি শাহ আলম এবং ২০০১ সালের নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ সদস্য গিয়াস উদ্দিন একাদশ সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন। শাহ আলম ফতুল্লা এলাকার এবং গিয়াস উদ্দিন সিদ্ধিরগঞ্জের বাসিন্দা। তবে ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর দুজনই দলীয় কর্মসূচিতে নিস্ক্রিয় ছিলেন। এ কারণে দলের হাইকমান্ড এবং তৃণমূলের নেতাকর্মীদের কাছে তারা ব্যাপকভাবে সমালোচিত হচ্ছেন। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদও নির্বাচনে দলের মনোনয়ন চাইবেন বলে তার সমর্থকরা জানিয়েছে। বর্তমানে অধ্যাপক মামুন নাশকতার মামলায় কারাগারে আছেন। মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ টি এম কামাল বলেন, দলের প্রার্থী নির্বাচনে একাধিক দাবিদার থাকতেই পারে। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া যে সিদ্ধান্ত দেবেন সেটাই সব নেতাকর্মী গ্রহণ করবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App