×

জাতীয়

আওয়ামী লীগে দুর্ভাবনা জেলায় জেলায় কোন্দল

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪ এপ্রিল ২০১৮, ১২:০১ পিএম

আওয়ামী লীগে দুর্ভাবনা জেলায় জেলায় কোন্দল
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকি আর মাত্র ৭ থেকে ৮ মাস। এর আগে ১৫ মে অনুষ্ঠিত হবে গাজীপুর ও খুলনা এবং জুলাইয়ের মধ্যে হবে রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাচন। নির্বাচনকে সামনে রেখে জেলায় জেলায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যকার দ্ব›দ্ব-কোন্দল ক্রমেই বাড়ছে। বিশেষ করে মন্ত্রী, এমপি ও জেলা-উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং কেন্দ্রীয় ও তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে দ্ব›দ্ব-কোন্দল এখন প্রকটভাবে দৃশ্যমান। এ নিয়ে দলের মাঠ পর্যায়ে অস্থিরতা বিরাজ করছে। প্রত্যেকেরই লক্ষ্য দলীয় মনোনয়ন পাওয়া। অনেকেই নিজ নিজ বলয় সৃষ্টি করে মাঠ পর্যায়ে নিজের শক্তি জানান দিচ্ছেন। সমাবেশ-পাল্টা সমাবেশও করছেন। একে-অপরের বিরুদ্ধে বিষোদগারও করছেন। পরস্পরবিরোধী গ্রুপের নেতাকর্মীরা নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়াচ্ছেন। মামলাও হচ্ছে পাল্টাপাল্টি। নিজ দলের নেতাকর্মীরাই প্রতিপক্ষ গ্রুপকে পুলিশ দিয়ে হয়রানি করছেন, এমন ঘটনাও কম নয়। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষমতাসীন দল সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা জন্ম নিচ্ছে। এ সমস্যা এখন বেশিরভাগ জেলায়- যা গড়াচ্ছে উপজেলা, থানা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে। সিটি করপোরেশন ও জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে নেতাকর্মীদের মধ্যকার এ ধরনের সমস্যা এখন আওয়ামী লীগ হাইকমান্ডের সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তার কারণ বলে জানা গেছে। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিগত ৫ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মূলত নিজ দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে দ্ব›দ্ব কোন্দলের কারণেই আওয়ামী লীগের যোগ্য প্রার্থীও জিততে পারেনি। অথচ মেয়র থাকাকালীন তারা সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন কাজ করেছেন। এ ছাড়া প্রায় প্রতিটি জেলা, মহানগর ও উপজেলায় অন্তর্কোন্দল লেগেই আছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জেলার নির্দেশ মানছে না উপজেলা কমিটি। উপজেলার নির্দেশ মানছেন না ইউনিয়ন নেতারা। এ সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে বিগত জেলা, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে। দলীয় প্রতীকে উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় সমস্যাটা প্রকট হয়েছে। এ নির্বাচনে দল মনোনীত প্রার্থীর সরাসরি বিরোধিতা করে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে বিদ্রোহী হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন প্রভাবশালী নেতারা। ফলে এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান ও কেন্দ্রীয়-স্থানীয় নেতাদের মধ্যে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। বেশ কয়েকটি জেলা পরিষদ নির্বাচনেও দলের প্রার্থীর বিপক্ষে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন স্থানীয় নেতারা। এসব দ্ব›েদ্বর কারণে বেশ কিছু ইউনিটে সংগঠনের কমিটিও হচ্ছে না। ফলে সাংগঠনিকভাবেও দল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের অর্ধশতাধিক জেলা ইউনিটে চরম কোন্দল বিরাজ করছে। এই মুহূর্তে সবচেয়ে আলোচিত কোন্দলপূর্ণ জেলা ইউনিটগুলোর মধ্যে রয়েছে গাজীপুর, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রাজশাহী। এসব জেলায় সিটি করপোরেশন নির্বাচন আসন্ন। এ ছাড়া ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, রংপুর সিটি করপোরেশন এলাকাতেও রয়েছে ব্যাপক কোন্দল। এসব কোন্দলের কারণে সদ্য অনুষ্ঠিত কুমিল্লা ও রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে হেরে যান আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। সদ্য অনুষ্ঠিত গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) উপ-নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর হারের পেছনে অভ্যন্তরীণ কোন্দলকেই দায়ী করেছে আওয়ামী লীগ। গত ২৯ মার্চ অনুষ্ঠিত বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলের প্রার্থীর পরাজয় হয়েছে। এসব ইউপিতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দলের বিদ্রোহী প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সম্পাদকমণ্ডলীর একজন সদস্য ভোরের কাগজকে বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের বিজয়ের ক্ষেত্রে বিএনপিকে কোনো ফ্যাক্ট মনে করছে না আওয়ামী লীগ। ক্ষমতাসীন দলের পক্ষে এই সমস্যা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। কিন্তু এই মুহূর্তে দলের প্রধান বাধা হচ্ছে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ দ্ব›দ্ব। নির্বাচনকে সামনে রেখে এ সমস্যা দিন দিন বাড়ছেই। কেউ কাউকে মানছেন না। কিছু কিছু জেলায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের বিরোধ তুঙ্গে। এ বিরোধ ছড়িয়ে পড়ছে উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়নে। উপজেলা সভাপতি-সম্পাদকরা জেলার সভাপতির অনুসারী হলে তারা জেলার সাধারণ সম্পাদককে মূল্যায়ন করছেন না। ইউনিয়নের ক্ষেত্রেও তাই ঘটছে। অনেকেই সরাসরি মন্ত্রী-এমপিদের সঙ্গে থেকে নিজ দলের প্রতিপক্ষকে বিভিন্ন মামলা-হামলা দিয়ে ঘায়েল করছেন, জেল খাটাচ্ছেন। নির্বাচনকে সামনে রেখে এ সমস্যা কীভাবে কাটিয়ে উঠা যায়, সেটা নিয়ে দলীয় হাইকমান্ড কাজ করছে। আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির একজন সদস্য যিনি একটি জেলারও সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন- তার নিজ জেলায় জেলা কমিটির অনেক কমান্ড উপজেলা কমিটি বা এমপিরা মানছেন না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, এভাবে চললে দায়িত্ব পালন করা খুব কঠিন হয়ে পড়বে। সাংগঠনিকভাবে দল ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ইতোমধ্যে নানা গণমাধ্যমে উঠে এসেছে আসন্ন সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে দলের প্রার্থীদের মধ্যে কোন্দলের তথ্য। গাজীপুরে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ খান ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়ন দ্ব›দ্ব এখন তুঙ্গে। দুজনই এলাকায় শক্ত অবস্থান নিয়ে আছেন। গত নির্বাচনে উভয়েই দলের মনোনয়ন প্রার্থী ছিলেন। শেষ পর্যন্ত হাইকমান্ড আজমত উল্লাহ খানকে মনোনয়ন দেয়। লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে হেরেছিলেন তিনি। তার পরাজয়ের জন্য জাহাঙ্গীরকেই দায়ী করেন অনেকে। এবারও দুজনের দ্ব›দ্ব এখন। দুজনের সাংগঠনিক বিরোধের ফলে গত ৫ বছরে গাজীপুর মহানগরের একটি ওয়ার্ডেও আওয়ামী লীগের কমিটি হয়নি। এসব ওয়ার্ডে এখন রয়েছে নিজস্ব বাহিনী। খুলনায় তালুকদার আব্দুল খালেক, শেখ জুয়েলসহ আওয়ামী লীগের অন্য নেতাদের মধ্যেও বিরোধ রয়েছে। বরিশালে আবুল হাসনাত আবদুল্লাহর পুত্র সাদেক আবদুল্লাহ দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী। দলীয় প্রধান বরিশালে জনসভা করে আসার পর থেকেই তার তৎপরতা কমে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে সেখানে মনোনয়ন দেয়া না-ও হতে পারে। এখানে দল যাকে মনোনয়ন দেবে, তার সমর্থনে সাদেক আবদুল্লাহ ও হাসনাত পরিবারের কি ভূমিকা থাকবে, সেটা নিয়ে সংশয় রয়েছে। সিলেটে সাবেক মেয়র বদরউদ্দির আহমেদ কামরানের সঙ্গে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিনের বিরোধ তুঙ্গে। দল কামরানকে প্রস্তুতি নিতে বললেও আসাদের রয়েছে শক্ত অবস্থান। তিনিও মাঠ ছাড়তে প্রস্তুত নন বলে জানা গেছে। রাজশাহীতে সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন ও সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারের বিরোধও তুঙ্গে। যদিও হাইকমান্ড থেকে লিটনকে গ্রিন সিগন্যাল দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকনের সঙ্গে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদের দ্ব›দ্ব রয়েছে। এখন তাদের মধ্যে ওপরে মিল দেখা গেলেও ভেতরে ভেতরে সমস্যা রয়েই গেছে। একই সমস্যার ফলে ঢাকা উত্তর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন থানা কমিটি ঘোষণাও আটকে রয়েছে। পূর্ণাঙ্গ কমিটি হচ্ছে না দক্ষিণের থানা ও ওয়ার্ডগুলোরও। এ ছাড়াও সমস্যা রয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের। প্রয়াত মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে বর্তমান মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের বিরোধ সবার জানা। মহিউদ্দিন চৌধুরীর মৃত্যুর পর তার অনুসারীরা এখন সক্রিয়। ফলে দীর্ঘদিন বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ডের কমিটির কার্যক্রম স্থবির হয়ে আছে। সাতক্ষীরা জেলায় প্রচণ্ড কোন্দল রয়েছে। বিভিন্ন উপজেলায় দীর্ঘদিন কমিটি হয় না। জেলা পরিষদ নির্বাচনে দল জেলা সভাপতি মনসুর আহমেদকে সমর্থন দিলেও জেলার সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বিদ্রোহী প্রার্থী হন। স্থানীয় এমপিরাও নজরুলের পক্ষে কাজ করেন। ফলে জেলার নেতাকর্মীরা সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক দুই গ্রুপে বিভক্ত। তাদের অনুসারী এমপি ও উপজেলার নেতারাও বিভক্ত। যশোর জেলা আওয়ামী লীগেও ব্যাপক কোন্দল রয়েছে। দ্বন্দের ফলে নিয়মিত কমিটি হয় না সাংগঠনিক ইউনিটগুলোতে। কেন্দ্র থেকে বারবার উদ্যোগ নেয়া হলেও স্থানীয় কোন্দল মেটানো সম্ভব হয়নি। চুয়াডাঙ্গায় একই সমস্যা। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দার এবং সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদের মধ্যে কোন্দল আছে। জেলা পরিষদে মাহফুজুর রহমান মঞ্জুকে মনোনয়ন দিলেও তার বিরুদ্ধে প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সামসুল আবেদীন খোকন। তিনি বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে জয়ী হোন। এ ছাড়াও বেশি কোন্দলপূর্ণ জেলাগুলো হচ্ছে; জামালপুর, ঝিনাইদহ, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, নরসিংদী, শেরপুর, টাঙ্গাইল, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, চাঁদপুর, ফেনী, যশোর, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নীলফামারী, নাটোর, নওগাঁ, বগুড়া, জয়পুরহাট, পাবনা, কুমিল্লা, কুড়িগ্রাম, সিরাজগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, ভোলা, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, গাইবান্ধা, দিনাজপুর। প্রায় প্রতিটি জেলার জেলা কমিটি ও নির্বাচনী আসনগুলোতে বিরোধ এখন তুঙ্গে। দলের এসব দ্ব›দ্ব নিরসনে এখন মনোযোগী হাইকমান্ড। গত ৩১ মার্চ গণভবনের আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটিতে দলের এ সমস্যা নিরসনে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সেখানে দ্ব›দ্ব-কোন্দলকে এই মুহূর্তে দলের বিজয়ের জন্য সবচেয়ে বড় সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এখন থেকে এ সমস্যা সমাধানে দল আরো কঠোর হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কর্নেল (অব.) ফারুক খান ভোরের কাগজকে বলেন, এটাকে আমরা কোন্দল মনে করি না। আমাদের ৩০০ আসনের প্রতিটিতে ৫ থেকে ১০ জন করে যোগ্য প্রার্থী আছেন। ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ থেকে বের হয়ে নির্বাচনী মাঠে কাজ করছেন। দীর্ঘদিন রাজনীতি করেছেন, ব্যবসা-বাণিজ্য করে টাকা-পয়সার মালিক হয়েছেন। তারাও প্রার্থী হওয়ার সক্ষমতা রাখেন, এমপি হতে চান। কিছু টাকা পয়সা হলে এলাকার অনেকেই তাকে এমপি প্রার্থী হতে উৎসাহ দেয়। তখন তিনি বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় কর্মকাণ্ডে সক্রিয় হন। পোস্টার-ফেস্টুন করেন। ফলে এমপি, মন্ত্রীরা তার বিপক্ষে অবস্থান নেন। উভয় পক্ষের কর্মী-সমর্থকরা তখন নিজের মধ্যে কোন্দল, সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। তিনি বলেন, ১০ জন প্রার্থীর মধ্যে ১ জনকে মনোনয়ন দেয়া হয়। বাকি ৯ জনের মধ্যে কেউ দলের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে দল মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করে। কেউ অভিমানে নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। কেউ আবার বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে যায়। তাদের মধ্যে কেউ কেউ আবার দলীয় প্রার্থীকে হারিয়ে বিজয়ী হয়েও আসে। সে ক্ষেত্রে আমাদের প্রার্থিতা নির্বাচনে কিছুটা ত্রুটি থাকে। তবে এবার এ সমস্যা যেন না হয়, সেজন্য কঠোর মনিটরিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যারা দলের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবে না, তাদের বোঝানো হবে। তিনি আরো বলেন, সাধারণত যে কোনো নির্বাচনে আমরা মুখে মুখে বলে থাকি, দলের সিদ্ধান্তের বাইরে কেউ প্রার্থী হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। কিন্তু এবার সিদ্ধান্ত হয়েছে; যারাই দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে দল মনোনীত প্রার্থীর বিপক্ষে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নেবে, তাকে কোনোভাবেই ছাড় দেয়া হবে না। তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিদ্রোহী দমনে যত কঠোরই হতে হয়, এবার তাই হবে দল। দল থেকে বহিষ্কারও করা হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App