নেপালে প্লেন দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে আরো ১০ জনকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। পোশাক ও ব্যবহৃত জিনিস মিলিয়ে তাদের শনাক্ত করা হয়েছে। আজ শনিবার সকাল থেকে নিহতদের শনাক্তের প্রক্রিয়া চলছে। তবে শনাক্ত হওয়া মরদেহগুলোর তথ্য জানা যায়নি। লাশ শনাক্ত করার কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ত্রিভুবন ইউনিভার্সিটির ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. প্রমোদ শ্রেষ্ঠা। বাংলাদেশ দূতাবাস ও ইউএস-বাংলার কর্মকর্তারা শনাক্ত করার কাজটি তদারকি করছেন। নিহত ব্যক্তিদের আত্মীয়-স্বজনরাও সেখানে উপস্থিত আছেন। বাংলাদেশিদের পাশাপাশি চীনা এক নাগরিকসহ নেপালের যাত্রীদের স্বজনরাও নিহতদের মরদেহ বুঝে নেওয়ার জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন। এদিকে আগুনে পুড়ে যাওয়ায় অনেকের মরদেহ শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। সেক্ষেত্রে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। গতকাল শুক্রবার সব লাশের ময়নাতদন্ত শেষ হওয়ার পর আজ থেকে শনাক্ত শুরু হল। তবে যেসব লাশ শনাক্ত করা সম্ভব হবে না, সেগুলোর ডিএনএ প্রোফাইলিং করা হবে। কাঠমান্ডুতে বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দুর্ঘটনায় যেসব বাংলাদেশিকে শনাক্ত করা সম্ভব হবে, তাদের লাশ আগামী মঙ্গলবার আনা হবে। উল্লেখ্য, গত সোমবার নেপালের কাঠমান্ডুতে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি বিমান অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয়। তখন সেটিতে আগুনও ধরে যায়। বিমানের ৭১ আরোহীর মধ্যে ৫১ জন নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে বিমানের পাইলট, কো-পাইলট ও দুই জন ক্রুসহ বাংলাদেশের ২৬ জন, নেপালের ২৪ ও চীনের ১ জন রয়েছেন। আহতদের মধ্যে বাংলাদেশি ১০ জন, নেপালের ৯ ও মালদ্বীপের ১ জন।