×

অর্থনীতি

এক লাখ একর জমি অধিগ্রহণ করবে বেজা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭ মার্চ ২০১৮, ১০:৫২ এএম

এক লাখ একর জমি অধিগ্রহণ করবে বেজা
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) আওতাধীন অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের জন্য এক লাখ একর জমি অধিগ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী। তিন বলেন, শিল্পায়নের ধারাকে সারা দেশে ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে বেজা ইতোমধ্যে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে এবং এরই মধ্যে বেসরকারি উদ্যোগের ছয়টি অর্থনৈতিক অঞ্চলকে লাইসেন্স প্রদান করা হয়েছে। সম্প্রতি রাজধানীর ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি আবুল কাসেম খানের নেতৃত্বে পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এসব কথা জানান তিনি। পবন চৌধুরী বলেন, শিল্প-কারখানা স্থাপনে প্রয়োজনীয় জমিপ্রাপ্তির নিশ্চয়তার জন্য অর্থনৈতিক অঞ্চলের আওতায় ইতোমধ্যে ৭৫ হাজার একর জমি অধিগ্রহণ করেছে এবং আরো ২৫ হাজার একর জমি অধিগ্রহণের বিষয়টি বেজার সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে। এ ছাড়া দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য বেজা ইতোমধ্যে বেশকিছু প্রয়োজনীয় নীতিমালা সংশোধন করার পাশাপাশি নতুন কিছু আইনও প্রণয়ন করছে, যারই ধারাবাহিকতায় ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ‘ওয়ান-স্টপ সার্ভিস ডেস্ক (ওএসএস)’ সেবা চালু হবে এবং চট্টগ্রামের মিরেরসরাইয়ের অর্থনৈতিক অঞ্চল হবে বাংলাদেশের বিনিয়োগের মূল কেন্দ্রস্থল, যেখানে ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে। বেজার চেয়ারম্যান আরো বলেন, কক্সবাজারের মহেশখালীতে ২৪ হাজার একরের আরো একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করা হবে। যার মধ্যে ৪ হাজার একর জায়গা শিল্প স্থাপনে বরাদ্দ দেয়া হবে এবং বাকি ২০ হাজার একর জায়গায় ট্যুরিজম পার্ক স্থাপন করা হবে। ডিসিসিআই সভাপতি আবুল কাসেম খান বলেন, প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহের কার্যকারিতা নিশ্চিতকরণের জন্য স্বল্পসময়ে জমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়ন, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গ্যাস-বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ প্রদান, অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহের সঙ্গে স্থল এবং সামুদ্রিক বন্দরসমূহের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন একান্ত আবশ্যক। পাশাপাশি অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহের সঙ্গে সড়ক, রেল এবং নৌপথের যোগাযোগ অতীব জরুরি। এ সময় তিনি অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহে বিনিয়োগকে উৎসাহিত করার জন্য স্বল্পমূল্যে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ অন্যান্য সেবা প্রদান এবং পিপিপি কার্যালয়ের সঙ্গে বেজার সমন্বয় আরো বাড়ানোর আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বেজার নির্বাহী সদস্য মো. হারুন-উর রশিদ, মোহাম্মদ আইয়ুব, ডিসিসিআইয়ের ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি কামরুল ইসলাম, সহসভাপতি রিয়াদ হোসেন, পরিচালক হোসেন এ সিকদার, হুমায়ুন রশিদ, ইঞ্জি. মো. আল আমিন, সাবেক সভাপতি হোসেন খালেদ প্রমুখ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App