×

অর্থনীতি

আন্তর্জাতিক সহায়তা পেলে কার্বন নির্গমণ কমানো সম্ভব

Icon

কাগজ অনলাইন প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ মার্চ ২০১৮, ০৭:৫৪ পিএম

আন্তর্জাতিক সহায়তা পেলে কার্বন নির্গমণ কমানো সম্ভব
পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. নূরুল কাদির বলেছেন, বাংলাদেশে নিজস্ব প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমণের পরিমাণ ৫ শতাংশ কমিয়ে আনতে সক্ষম। যদি আন্তর্জাতিকভাবে আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রাপ্তি নিশ্চত করা যায়, তাহলে প্রায় ১৫ শতাংশ কার্বন নির্গমণ কমানো সম্ভব। মঙ্গলবার রাজধানীতে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এর সহায়তায় পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়, পরিবেশ অধিদপ্তর, জাপান সরকারের পরিবেশ মন্ত্রণালয় এবং ইনস্টিটিউট ফর গ্লোবাল এনভায়রনমেন্টাল স্ট্রাটেজিস (আইজিএস) যৌথভাবে আয়োজিত ‘জয়েন্ট ক্রেডিটিং মেকানিজম ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশে নিম্ন কার্বনভিত্তিক প্রকল্প গ্রহণে উৎসাহিতকরণ’ শীর্ষক এক কর্মশালায় এসব কথা বলেন তিনি। দেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়সহ সবাইকে জ্বালানি ব্যবহারের সচেতনা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, জাপান সরকারের সহযোগিতায় পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় ‘জয়েন্ট ক্রেডিটিং মেকানিজম (জেসিএম)’ প্রকল্প গ্রহণ করেছে, যার মাধ্যমে নিম্ন কার্বন নির্গমণে প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করবে এবং দেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে এ উদ্যোগে সম্পৃক্ত হতে হবে। ঢাকা চেম্বারের ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি কামরুল ইসলাম বলেন, বিশ্বে নির্গত গ্রীণ হাউস গ্যাসের মাত্র শূন্য দশমিক তিন শতাংশ নির্গত করে। বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের গ্রীণ হাউস প্রকল্প ও কৃষিভিত্তিক প্রকল্পগুলো নির্গত কার্বন গ্যাসের ৪০ শতাংশ নির্গত করে থাকে। নিম্ন কার্বন ব্যবহারের প্রযুক্তিসমূহ পরিবেশ সুরক্ষার পাশাপাশি ব্যবসায় ব্যয় হ্রাস এবং নতুন নতুন ব্যবসায় দ্বার উন্মোচন করেছে। এ সময় তিনি পরিবেশবান্ধব প্রকল্পসমূহে স্বল্প সুদে ঋণ প্রদানের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। বাংলাদেশস্থ জাপান দূতাবাসের সেকেন্ড সেক্রেটারি মাসাটোসি হিগোচি বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে কার্বন নির্গমণ কমানোর দায়িত্ব আমাদের সবার এবং এ জন্য সবার পাশাপাশি বিশেষ করে শিল্প উদ্যোক্তাদের জয়েন্ট ক্রেডিটিং মেকানিজম (জেসিএম) আরো বেশি হারে ব্যবহারের আহ্বান জানান। উল্লেখ্য, জয়েন্ট ক্রেডিটিং মেকানিজম (জেসিএম) হলো জাপান সরকার কর্তৃক প্রবর্তিত নিম্ন কার্বনভিত্তিক উন্নয়ন অংশীদারিত্বের একটি প্রস্তাব বা মার্কেট মেকানিজম যার মূল লক্ষ্য হলো দ্বিপাক্ষিক (দুই দেশের) উদ্যোগে নিম্ন কার্বনভিত্তিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা। ২০১৩ সালের ১৯ মার্চ জাপান সরকার এবং বাংলাদেশ সরকার নিম্ন কার্বনভিত্তিক উন্নয়ন অংশীদারিত্ব বা জেসিএম বিষয়ে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করে। জেসিএম এর মাধ্যমে নিম্ন কার্বনভিত্তিক প্রকল্প গ্রহণ করা হলে জাপান সরকার মোট প্রকল্প ব্যয়ের সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত অনুদান প্রদান করে থাকে। কর্মশালায় আরো উপস্থিত ছিলেন ডিসিসিআইর পরিচালক ইমরান আহমেদ, মহাসচিব এএইচএম রেজাউল কবিরসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৫০ জন প্রতিনিধি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App