×

জাতীয়

সরকারের পরিকল্পনায় মুহম্মদ জাফর ইকবালের ওপর হামলা হয়েছে : রিজভী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫ মার্চ ২০১৮, ০৪:১৮ পিএম

সরকারের পরিকল্পনায় মুহম্মদ জাফর ইকবালের ওপর হামলা হয়েছে :  রিজভী
সরকারের পরিকল্পনায় বরেণ্য শিক্ষাবিদ মুহম্মদ জাফর ইকবালের ওপর হামলা হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী। সোমবার নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছিলেন রিজভী। দুর্নীতির মামলায় কারাদণ্ড পাওয়া বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে মঙ্গলবার মানববন্ধন এবং বৃহস্পতিবার অবস্থান কর্মসূচির স্থান জানাতে এই্ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। তিনি বলেন এই লেখক ও বুদ্ধিজীবীর নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও হামলা প্রমাণ করে এটি সরকারই করেছে। সরকার কেন এই হামলা চালাবে, সে বিষয়ে একটি ব্যাখ্যাও দাঁড় করিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার সাজার দিক থেকে জনগণের নজর অন্যদিকে সরাতে জাফর ইকবালের ওপর হামলা চালানো হয়েছে।’ এ সময় জাফর ইকবালের ওপর হামলা নিয়ে কথা বলেন রিজভী। বলেন, ‘বিএনপি মনে করে জাফর ইকবালের উপর হামলা আওয়ামী লীগের রাজনীতিপ্রসূত কাজ।’ ‘গুম, খুনের কারিগর আওয়ামী লীগ। তাদের আমলেই জঙ্গিবাদ মাথা ছাড়া দিয়ে উঠেছে। বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ওপর জখম করে বা হত্যায় সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা রয়েছে। আর সেই জন্য ঘটনা ঘটার সঙ্গে বিএনপির ওপর দায় চাপায়। এসবের মূল কারণ প্রকৃত অপরাধীকে পরিকল্পিতভাবে আড়াল করা।’ রবিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনার সময় এই হামলা নিয়ে কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘এই হামলা চক্রান্ত, এটা সত্য। চক্রান্ত তাদের, যাদের বিএনপি পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে।’ পাল্টা বক্তব্যে রিজভী বলেন, ‘ওবায়দুল কাদেরের এমন মন্তব্য শুনে জাতি বাকরুদ্ধ। এটা তাদের ঐতিহ্য। তাই তারা অনর্গল কল্পকাহিনি প্রচার করে নিজেদের পাপ ঢাকার জন্য। আওয়ামী লীগের অতীত ইতিহাসই এসব প্রমাণ করে।’ শনিবার নিজ কর্মস্থল সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অনুষ্ঠান চলাকালে মঞ্চেই ছুরি হাতে জাফর ইকবালের ওপর হামলা চালান এক যুবক। ফয়জুল নামে ওই যুবককে আটক করে পিটুনি দেয় ছাত্ররা। পরে র‌্যাব হেফাজতে নেয়া হয় তাকে। র‌্যাব-৯ জানিয়েছে, ফয়জুল জঙ্গিবাদে বিশ্বাসী হয়ে এই হামলা চালিয়েছে। উচ্চ বেতনে বিদেশে চাকরি ছেড়ে মাতৃভূমির টানে বাংলাদেশে ফিরে শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত জাফর ইকবালকে হত্যার জন্য জঙ্গিরা বারবার হুমকি দিয়ে আসছিল। আর ২০১৬ সালের শুরুর দিক থেকে তাকে পুলিশি নিরাপত্তাও দেয়া হয়। হামলার আগে মঞ্চেও ছিলেন তিন জন পুলিশ সদস্য। এদের দুই জন আবার মোবাইল ফোন ঘাঁটাঘাঁটিতে ব্যস্ত ছিলেন। আর কর্তব্যে অবহেলার জন্য তাদেরকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। হামলার পর পরই জাফর ইকবালকে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে আনা হয় তাকে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, জাফর ইকবাল শঙ্কামুক্ত। রবিবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বিবৃতিতে এই হামলার নিন্দা জানিয়ে হামলাকারীদের বিচারের দাবি করেছেন। ওই বিবৃতিতে বিএনপি নেতা বলেন, ‘প্রকৃত অপরাধীদের বিচারহীনতার কারণে জনসমাজে সন্ত্রাসীরা আরও উৎসাহিত হয়ে রক্তখেলায় মেতে উঠেছে।’ রিজভীর সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, সহদপ্তর সম্পাদক বেলাল আহমদ, তাইফুল ইসলাম টিপু।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App