×

বিনোদন

আট নির্মাতার কথা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫ মার্চ ২০১৮, ১১:৪৭ এএম

আট নির্মাতার কথা
আট নির্মাতার কথা
আট নির্মাতার কথা
আট নির্মাতার কথা
আট নির্মাতার কথা
আট নির্মাতার কথা
আট নির্মাতার কথা
আট নির্মাতার কথা
চলচ্চিত্র পরিচালনায় নারীদের পদচারণা নতুন না হলেও সংখ্যায় খুব কম নারী পরিচালক পেয়েছে চলচ্চিত্রাঙ্গন। আশার কথা হচ্ছে ইদানীং ক্যামেরায় লুক থ্রো করতে নেমে পড়েছেন অনেক নারী। গত দুই বছরে ৮ জন নারী নাম তুলেছেন নির্দেশকের খাতায়। তাদের কতজনের ছবি প্রযোজকের পয়সা ফিরিয়ে দিয়েছে আর কতজনের ছবি সপ্তাহের পর সপ্তাহ সিনেমা হলে চলেছে সেই প্রশ্ন উঠলে উত্তর জটিল আকার নেবে। আর যদি দৃষ্টি নিবদ্ধ রাখি পুরস্কার আসরে নজর টেনে নেয়া ও সাহিত্যের প্রতি নারী নির্মাতাদের আস্থায়, তবে নতুন পরিচালকদের মধ্যে খুঁজে নেয়া যায় সম্ভাবনা। চলুন দেখি কোন কোন নির্মাতার ছবি মুক্তি পেল ২০১৬ ও ২০১৭ সালে আর তাদের নির্মিত ছবিগুলোর ধরনই বা কেমন ছিল। বিস্তারিত জানাচ্ছেন এম রহমান
  শামীম আখতারের রিনা ব্রাউন শামীম আখতার পরিচালিত ‘রিনা ব্রাউন’ ছবিতে অভিনয় করেছেন কলকাতার সিনিয়ার অভিনেতা বরুণ চন্দ ও প্রমা পার্বণী। ছবিতে নাম ভ‚মিকায় অভিনয় করেছেন প্রমা। তিনি শামীম আখতারের মেয়ে প্রমা। সরকারি অনুদানে নির্মিত ‘রিনা ব্রাউন’ একটি মাত্র হলে মুক্তি পায় ১৩ জানুয়ারি। মুক্তি পায় বসুন্ধরা সিটির স্টার সিনেপ্লেক্সে। শামীম আখতার এর আগে ‘ইতিহাস কন্যা’ ও ‘শিলালিপি’ নামে দুটো চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছিলেন। দুটি ছবিতেই অভিনয় করেছেন প্রমা। শামীম আখতারের শৈশব কেটেছে পুরান ঢাকার কাপ্তান বাজারে। বাবা সৈয়দ আবু ইউসুফ পেশায় ছিলেন চিকিৎসক আর মা সাহেলা বেগম গৃহিণী। হলিক্রস থেকে উচ্চ মাধ্যমিকের পাট চুকিয়ে ১৯৭৫ সালে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে। ১৯৭৭ সালে ‘সচিত্র সন্ধানী’তে কাজ জুটিয়ে নেন। কাজ করতে করতে আইএলওর একটি প্রজেক্টের সঙ্গে সম্পৃক্ততা, কাজের সূত্রেই গ্রামে গিয়ে থাকতে হয় তাকে। গ্রামে বছরখানেকের ওই জীবনযাপনই ঠিক করে দেয় শামীম আখতারের আগামীকে। পরে চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন তিনি। ১৯৭৮ সাল থেকে তারেক মাসুদের সঙ্গে সখ্য গড়ে ওঠে শামীম আখতারের। ১৯৯১ সালে তারেক মাসুদের সঙ্গে মিলে নির্মাণ করেন ‘সে’। এর সাত বছর পর কাজ শুরু করেন ‘ইতিহাস কন্যা’ ছবির। ২০০১ সালে নির্মাণ করেন ‘শিলালিপি’। মেহের আফরোজ শাওনের কৃষ্ণপক্ষ হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস অবলম্বনে ছবি ‘কৃষ্ণপক্ষ’। এটি মেহের আফরোজ শাওনের প্রথম ছবি। তিনি তার স্বামী প্রয়াত কথাসাহ্যিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের স্ক্রিপ্ট থেকে নাটক-টেলিফিল্ম নির্মাণ করে হাত পাকিয়েছেন। লেখকের মৃত্যুর কয়েক বছর পর তিনি আত্মপ্রকাশ করেন পরিচালক হিসেবে। মাহি ও রিয়াজের সঙ্গে ‘কৃষ্ণপক্ষ’ ছবিতে আরো অভিনয় করেছেন ফেরদৌস, মৌটুসী বিশ্বাস, আজাদ আবুল কালাম। রিয়াজ ও ফেরদৌস হুমায়ূন আহমেদের ছবিতে কাজ করেছেন। কাজ করেছেন শাওনের বিপরীতেও। সেই জায়গা থেকে তাদের সঙ্গে বেশ স্বচ্ছন্দই ছিলেন শাওন। ‘কৃষ্ণপক্ষ’ ছবিটি মুক্তির সময় হল সংকটে পড়ে। ২৬ ফেব্রæয়ারি মুক্তি পায় ‘কৃষ্ণপক্ষ’। একইদিন মুক্তির জন্য ঢুকে পড়ে দুটি ভারতীয় ছবি। একটি ‘বেপরোয়া’, অন্যটি ‘বেলাশেষে’। কোনো ছবিই বক্স অফিসে সুবিধা করে উঠতে পারেনি। তবু এ জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হয় ‘কৃষ্ণপক্ষ’। প্রথম পরিচালনায় নেমে শাওন বলেছিলেন, হুমায়ূন আহমেদের গল্প নিয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে চিত্রনাট্য। হুমায়ূন আহমেদের চিত্রনাট্য নিয়ে আজ পর্যন্ত যে যে কাজ করেছেন, তা আমার কাছে মোটেও ভালো লাগেনি। নিজের চিত্রনাট্য নিয়ে একমাত্র হুমায়ূন আহমেদই ভালো কাজ করেছেন। তার গল্প-উপন্যাসের প্রতিটি বিষয় সবার কাছে এত পরিচিত, সেখানে কারো কোনো গিমিগ করার সুযোগ থাকে না। অন্যের সৃজনশীলতা দেখানোর কোনো সুযোগ তিনি রাখেননি। ‘কৃষ্ণপক্ষ’র ক্ষেত্রে ওইটা আমার কাছে খুবই কষ্ট লেগেছে। কারণ তিনি ‘কৃষ্ণপক্ষ’র চিত্রনাট্য করে রেখে যাননি। রুবাইয়াত হোসেনের আন্ডার কনস্ট্রাকশন রুবাইয়াত হোসেন নির্মিত দ্বিতীয় ছবি ‘আন্ডার কনস্ট্রাকশন’। রুবাইয়াতের প্রথম ছবি ছিল ‘মেহেরজান’। তখন ছবিটি ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়। যার ফলে প্রেক্ষাগৃহ থেকে ‘মেহেরজান’ নামিয়ে ফেলতে বাধ্য হন পরিচালক। বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া বচ্চনসহ দেশের অনেক নামকরা শিল্পী থাকা সত্তে¡ও ২০১১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘মেহেরজান’ তার পদযাত্রা চালু রাখতে পারেনি। রুবাইয়াত হোসেনের দ্বিতীয় ছবি ‘আন্ডার কনস্ট্রাকশন’। মন্ট্রিয়াল বিশ্ব চলচ্চিত্র উৎসব, স্টকহোম চলচ্চিত্র উৎসবসহ আন্তর্জাতিক বেশ কয়েকটি উৎসব মাতিয়ে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশে মুক্তি পায় ছবিটি। অধিকাংশ চলচ্চিত্রে যেখানে পরিচালকের ক্যামেরা থাকে পুরুষের ওপর সেখানে রুবাইয়াত ‘আন্ডার কনস্ট্রাকশন’ চলেছে তিনটি নারী চরিত্রকে কেন্দ্র করে। মূল চরিত্রে রয়া। সে বিবাহিত। স্বামী একজন আর্কিটেক্ট, উচ্চমধ্যবিত্তই বলা চলে। অথচ সে উঠে এসেছে নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে। পাশাপাশি রিয়া একজন থিয়েটারকর্মী। দ্বিতীয় নারী চরিত্রটি হলো রয়ার মায়ের। অন্যদিকে তৃতীয় চরিত্রটি হলো রয়ার গৃহকর্মী ময়নার। যার সঙ্গে প্রেম আছে লিফটম্যান সবুজ মিয়ার। একটি গল্পের মধ্যে তিন নারীর সংগ্রাম, যাতনা, বঞ্চনা সবই ছিল। তারা প্রত্যেকেই যার যার অবস্থান থেকে স্বাবলম্বী হতে চায়। ‘আন্ডার কনস্ট্রাকশন’ ছবিতে বলিউডের আরেক অভিনেতা রাহুল বোস অভিনয় করেছেন নাট্য গবেষক ইমতিয়াজের চরিত্রে। প্রথম ছবি থেকে প্রাপ্ত সমালোচনার কিছুটা হলেও পেছনে ফেলেছে ‘আন্ডার কনস্ট্রাকশন’। এর কারণ প্রথার বাইরে এসে রুবাইয়াত ক্যামেরা তাক করেছেন নারীর জীবন আর মনোজগতের ওপর। নারগিস আক্তারের পৌষ মাসের পিরিত ছবিটি পরিচালনা করছেন নারগিস আক্তার। যিনি ‘মেঘলা আকাশ’ ছবিতে চিত্রপরিচালক হোন। এ ছবি একাধিক ক্যাটাগরিতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়ে নারগিসের পায়ের নিচের জমি শক্ত করেছিল। এরপর তিনি ‘চার সতীনের ঘর’ ছবিটি নির্মাণ করেও আলোচিত হয়েছিলেন। ‘পৌষ মাসের পিরিত’ ছবির মূল ভ‚মিকায় অভিনয় করেছেন টনি ডায়েস ও পপি। দীর্ঘ সাত বছর পর শুটিং হয় ছবিটির। টনি ডায়েস এর আগে নারগিস আক্তারের ‘মেঘের কোলে রোদ’ ছবিতে অভিনয় করেন। এতেও তার বিপরীতে ছিলেন পপি। সঙ্গে ছিলেন চিত্রনায়ক রিয়াজ। ‘পৌষ মাসের পিরিতি’ টনির দ্বিতীয় ছবি। ‘পৌষ মাসের পিরিতি’ ছবিতে আরো অভিনয় করেছেন আহমেদ রুবেল, প্রিয়াঙ্কা, তরু মোস্তফা। দুই বাংলার বিখ্যাত ঔপন্যাসিক নরেন্দ্রনাথ মিত্রের ‘রস’ গল্প অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে ‘পৌষ মাসের পিরিত’। ছবির সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন আলাউদ্দিন আলী। ছবিটি মাত্র একটি সিনেমা হলে মুক্তি পায় ২০১৬ সালে। তখন নারগিস আক্তার জানিয়েছিলেন, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে জমা দেয়ার জন্যই মাত্র এক হলে ছবি রিলিজ দিয়েছেন। নারগিস আক্তার বলেছিলেন, অনেক চড়াই-উৎরাই পার হয়ে আমরা ছবিটি মুক্তি দিতে পারছি, এ জন্য ভালো লাগছে। আমি সব সময় বাংলাদেশের বাংলা ছবি বানাই, এই ছবি দেখে আপনাদের মনে হবে, বাংলাদেশের একটি বাংলা ছবি দেখছি। বাংলাদেশের নারী পরিচালকদের মধ্যে নারগিস আক্তারের একটি বিশিষ্ট স্থান রয়েছে। সর্বদাই তিনি ছবি নির্মাণ করে আলোচনায় থেকেছেন। মাহবুবা ইসলাম সুমীর তুমি রবে নীরবে ছবিটির চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন মাহবুবা ইসলাম সুমী। এটি তার প্রথম চলচ্চিত্র নির্মাণ। এর আগে তিনি নাটক ও টেলিফিল্ম পরিচালনা করেছেন। ৬ আগস্ট রবীন্দ্র প্রয়াণ দিবস। ৫ আগস্ট চ্যানেল আইতে প্রচার হয় ইমপ্রেস টেলিফিল্মের ছবি ‘তুমি রবে নীরবে’। এতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন কলকাতার শিল্পী ভাস্বর চ্যাটার্জি ও অমৃতা চট্টোপাধ্যায় এবং বাংলাদেশের তানজিন তিশা ও ইরফান সাজ্জাদ। ছবির গল্পে দেখা যায়, শশাঙ্ক এবং শর্মীর বিবাহিত জীবন অনেক বছরের। শশাঙ্ক ইঞ্জিনিয়ার। তাদের কোনো সন্তান নেই। শর্মীর ছোট বোন উর্মি পড়াশোনা করা মেয়ে। বাবা চান উর্মি লন্ডন থেকে পড়াশোনা করে ডাক্তার হোক। বাবার পছন্দের ছেলে নীরবের সঙ্গে উর্মির বিয়ে ঠিক হয়। উর্মির বিয়ের খবর শুনে শশাঙ্ক কষ্ট পায়। কারণ শশাঙ্ক উর্মিকে ভালোবাসে। এক সময় বড় বোন বুঝতে পারে স্বামী উর্মিকে ভালোবাসে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘দুই বোন’ উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি এ ছবিতে ছোট বোনের ভ‚মিকায় অভিনয় করেন তানজিন তিশা। তিশা ছবিটি নিয়ে জানিয়েছিলেন তার আপত্তির কথা। তিনি বলেছিলেন, এটাকে চলচ্চিত্র হিসেবে গণ্য করি না। কেউ যদি এটাকে চলচ্চিত্র বলেন- তাহলে আমার ভালোলাগাটা নষ্ট হয়ে যাবে। কারণ এতে আমাকে ডাবিংও করানো হয়নি। তা ছাড়া যখন আমি শুটিং করি, তখন আমি জানতাম যে, এটি টেলিফিল্ম। তাই এটি কোনোভাবেই আমার চলচ্চিত্র নয়। মারিয়া তুষারের গ্রাস জন্ম বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায়। বিজ্ঞানের ছাত্রী, অনার্সে ভর্তি হলেন আইনবিদ্যায়। মন বসল না। আবার ভর্তি হলেন ফিল্ম এন্ড মিডিয়া বিভাগে। সিনেমা যখন বানানো শুরু করেছেন তখন মারিয়া তুষারের বয়স আঠারো পেরোয়নি। ছবির ছাড়পত্রের সময় পরিচালকের অনার্স পাসের সার্টিফিকেট লাগে। সেটাও তার কাছে নেই। তাইতো ছবি মুক্তি দিতে তিন বছরেরও বেশি সময় লেগেছে। ছবির প্রথম ধাপের শুটিং শুরু হয় ২০১৩ সালের ১৭ অক্টোবর। শুটিং শেষ হয় তিন ধাপে। ২০১৬ সালের ৬ ডিসেম্বর ছবিটি সেন্সর অনুমোদন পায়। মারিয়া তুষার তার ছবি নিয়ে বলেছিলেন, এটা একটা থ্রি লেয়ার সিনেমা। একটা অংশের নায়িকা রানী সরকার। আরেকটা অংশে জ্যোতিকা জ্যোতি ও তমা মির্জা। ছবিটি নিয়ে অভিযোগ করেছিলেন জ্যোতিকা জ্যোতি, নাটক জেনেই শুটিং শুরু করেছিলাম, সেটা কীভাবে সিনেমা হলো বুঝলাম না! সিনেমা হওয়ার পর আরো শুট করার কথা ছিল, তাও ঠিকমতো করেনি। তমা মির্জা বলেছিলেন, এটা শর্টফিল্ম হওয়ার কথা ছিল। পরিচালক দেখলেন গল্পটা আরেকটু ঘষামাজা করলে পূর্ণ্যদৈর্ঘ্য ছবি হতে পারে। এমনটা তো হতেই পারে। রানী সরকারকে কেন্দ্র করেই ছবির মূল গল্প। ছবিটির কাহিনী গড়ে উঠেছে একজন তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতার যুদ্ধ। একটা ছবি বানাতে কী কী সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় তা-ই দেখানো হয়েছে ছবিতে। তানিয়া আহমেদের ভালোবাসা এমনই হয় তানিয়া আহমেদ। শোবিজে তিন দশক পার হয়ে গেল। একটু একটু করে বয়স বেড়েছে। বেড়েছে অভিজ্ঞতা। মডেল থেকে কোরিওগ্রাফার, অভিনেত্রী, পরিচালকÑ নামের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নতুন নতুন পালক। ‘ভালোবাসা এমনই হয়’ তানিয়ার প্রথম ছবি। ইমপ্রেস টেলিফিল্মের ব্যানারে ছবিটি মুক্তি পায় গত বছর। শুরুতে নাম ছিল ‘গুড মর্র্নিং লন্ডন’। পরে সেন্সর বোর্ডের ইংরেজি নামের আপত্তিতে নাম পরিবর্তন করা হয়। এতে অভিনয় করেছেন বিদ্যা সিনহা মিম ও ইরফান সাজ্জাদ। প্রথম ছবি সম্পর্কে বলতে গিয়ে তানিয়া আহমেদ বলেছিলেন, এটা সম্পূর্ণ একটি ভালোবাসার ছবি। তাই নাম ‘গুড মর্নিং লন্ডন’ পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে ‘ভালোবাসা এমনই হয়’। ভালোবাসার তো শুধু প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। যে কোনো ভালো সম্পর্কের মধ্যেই ভালোবাসা রয়েছে। সেই জায়গা থেকেই ছবিটির মূল গল্প। মূলত তিনটি গল্পের মিশ্রণে একটি গল্প রয়েছে আমার চলচ্চিত্রটিতে। আমার ইচ্ছাই ছিল আমি এই ধরনের গল্পে কাজ করব। আমি কোনো কঠিন গল্পে যেতে চাইনি। এটা আমার নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র। আর তাই আমি চেয়েছি যাতে করে মানুষ চলচ্চিত্রটি দেখুক। তাই আমার এই ধরনের গল্পে কাজ করা। বর্তমান সময়ের চলচ্চিত্রগুলোতে যা ঘটে তা হলো হয়তো একটি ফ্রেমে নায়ক-নায়িকা খুব বেশি সুন্দর দেখা যাচ্ছেন কিন্তু একই ফ্রেমে তাদের বাবা-মা রয়েছেন তারা অতটা সুন্দর না। আমার চলচ্চিত্রে এই ধরনের কিছু নেই। একটি ফ্রেমে যাতে করে সবাইকে গø্যামার দেখা যায় সেই চেষ্টাটি করেছি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App