যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালির আদলে রাজশাহীতে প্রায় ৩২ একর জমি নিয়ে তৈরি হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধু সিলিকন সিটি’। এটিই হবে দেশের প্রথম সিলিকন সিটি। আর এর মধ্যে দিয়েই রাজশাহীতে নতুনভাবে কর্মসংস্থানের দাঁড় উন্মুক্ত হতে যাচ্ছে। প্রত্যাশিত বঙ্গবন্ধু সিলিকন সিটির অপেক্ষায় এখন রাজশাহীর তারুণ্য।

২০২১ সালের মধ্যে বিশাল কর্মসংস্থানের মধ্য দিয়ে খুলে যাবে প্রযুক্তিনির্ভর হাজারো তারুণ্যের স্বপ্নের দুয়ার। ৩১ দশমিক ৬৩ একর জায়গায় বঙ্গবন্ধু সিলিকন সিটি নির্মাণে ব্যয় হবে ২৮১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে বিশ্বব্যাংক দেবে ৪৩ কোটি ১৯ লাখ টাকা। নির্মাণ শেষে এখানে ১৪ হাজার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহীর আর্থসামাজিক উন্নয়নে বড় ধরনের অবদান রাখবে নির্মাণাধীন ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সিলিকন সিটি’। তাই এখন থেকেই স্বপ্ন দেখছেন রাজশাহীর তরুণেরা। সংশ্লিষ্টরা ভাবছেন, এ সিলিকন সিটির মাধ্যমে খুলে যেতে পারে বড় ধরনের উন্নয়নের নতুন দিগন্ত।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আবদুল ওয়াদুদ জানান, সিলিকন সিটির নির্মাণ কাজ শেষ হলে এ অঞ্চলের অর্থনীতির চাকা চাঙ্গা হবে। এতে বিপুল সংখ্যক তরুণ উদ্যোক্তা সৃষ্টি হবে। সেই সঙ্গে বাড়বে এ খাতে কর্মসংস্থান।

রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, ‘রাজশাহীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্ক সিলিকন সিটির নির্মাণের মধ্য দিয়ে আমাদের স্বপ্ন সফল হতে চলেছে। এই সিলিকন সিটির কাজ শেষ হলে ১৪ হাজার তরুণ প্রজন্মের কর্মসংস্থান হবে। এর ফলে রাজশাহীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বড় ধরনের অবদান রাখবে।’

ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে বহুল প্রত্যাশিত এ সিলিকন সিটির নির্মাণ কাজের প্রাথমিক পর্ব। গেট ও সীমানা প্রাচীরের ভিত্তিপ্রস্তর উন্মোচনের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু সিলিকন সিটির অবকাঠামো নির্মাণের প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ শুরু হয়েছে গত বছর। ২০২১ সাল নাগাদ রাজশাহীকে সারা বিশ্বই চিনবে এই হাইটেক পার্কের মধ্য দিয়ে।

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন জানান, ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতিমধ্যেই দেশকে বহুদূর এগিয়ে নিয়ে গেছেন। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশের কাতারে পৌঁছে যাবে। তারই ধারাবাহিকতায় রাজশাহীতে প্রায় পৌনে ৩ শত কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে এই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্ক সিলিকন সিটি।’

তিনি আরও বলেন, এর মধ্য দিয়ে রাজশাহীবাসীর জীবনমান একেবারে উন্নত হয়ে যাবে। দূর হবে বেকারত্ব, সৃষ্টি হবে নতুন কর্মসংস্থানের।