বিকেল ৫টায় ডিএসইর সংবাদ সম্মেলন

আগের সংবাদ

প্রকট হচ্ছে রাজধানীর নাগরিক সমস্যা

পরের সংবাদ

তিন বছরেও শেষ হয়নি অভিজিৎ হত্যার তদন্ত : বিচারের অপেক্ষায় স্বজনরা

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৮ , ৩:১৫ অপরাহ্ণ আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৮ , ৩:১৫ অপরাহ্ণ

বিজ্ঞানমনস্ক লেখক ও মুক্তমনা ব্লুগের প্রতিষ্ঠাতা অভিজিৎ রায় হত্যা মামলার তদন্ত ৩ বছরেও শেষ হয়নি। হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হলেও মূলহোতা সেনাবাহিনী থেকে বহিষ্কৃত মেজর জিয়াসহ ৫ জন এখনো অধরা। জিয়া কোথায় আছে তার সুনির্দিষ্ট তথ্যও নেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে। তবে বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তার হওয়া ১০ জনের ভেতর মুকুল রানা বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। তিনজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। তবে বাকিদের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ততা পায়নি পুলিশ। এদিকে আদালতের নির্দেশনা থাকার পরেও মামলার সংশ্লিষ্টরা তদন্ত শেষ করতে না পারায় অভিযোগপত্র দাখিলের সময় পিছিয়েছে আবারো। মামলাটির তদন্তকারী সংস্থা কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট বলছে, দ্রুতই অভিযোগপত্র জমা দেয়া হবে।

এদিকে ছেলে হত্যার বিচার পেতে অপেক্ষায় রয়েছেন নিহত অভিজিৎ রায়ের বাবা অজয় রায়। গতকাল ভোরের কাগজকে তিনি বলেন, আমি ধৈর্যের সঙ্গে অপেক্ষা করছি। এ ছাড়া উপায়ও নেই। পুলিশ তাদের প্রক্রিয়া অনুযায়ী কাজ করছে। বিচারপ্রার্থী হিসেবে আমার সন্তুষ্টি সেদিন হবে, যেদিন অপরাধীরা ধরা পড়বে। অপরাধীরা শাস্তি ভোগ করবে। এ প্রক্রিয়াগুলো সমাপ্ত হলে আমার একটা সন্তুষ্টি থাকবে।

গতকাল রবিবার মামলাটির তদন্ত সংস্থা সিটিটিসি ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, অভিজিৎকে অন্য জায়গায় খুন করার সিদ্ধান্ত থাকলেও সুযোগের অভাবে বইমেলাতেই ঝুঁকিপূর্ণ অপারেশন চালায় তারা। আর এই অপারেশনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ঘটনার সময় আনসার আল ইসলামের প্রধান মেজর জিয়াসহ শীর্ষনেতারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। মেজর জিয়ার অবস্থান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সে পলাতক রয়েছে। কয়েক মাস আগে সে দেশে ছিল, এখন কোথায় আছে তার সুনির্দিষ্ট তথ্য আমাদের কাছে নেই।

তিনি বলেন, অভিজিৎ হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ ছাড়া ওই ঘটনার তদন্তে এখন পর্যন্ত মেজর জিয়াসহ আরো ৫ জনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। যারা পলাতক রয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, মামলার বিচারকাজ চালিয়ে নেয়ার মতো যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ পেয়েছি। শনাক্ত হওয়া বাকি ৫ জনের মধ্যে কাউকে গ্রেপ্তার করা না গেলেও বেশিদিন আর মামলাটি ধরে রাখব না, শিগগিরই চার্জশিট দেব। সিটিটিসির অতিরিক্ত উপকমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, আনসার আল ইসলাম ও বাংলা টিমের সদস্যরা সিøপার সেল বা কাটআউট পদ্ধতিতে কর্মকাণ্ড চালানোয় একজন আরেকজন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারে না। এটা তাদের সাংগঠনিক কৌশল। এ কারণে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের কাছ থেকে অন্যদের সাংগঠনিক পরিচয় পাওয়া গেলেও বিস্তারিত পাওয়া যায়নি। গোয়েন্দা অনুসন্ধানে তাদের পরিচয় জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ জন্যই মূলত মামলাটির তদন্ত শেষ করতে একটু সময় লাগছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত সোয়া ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় অভিজিৎকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় অভিজিতের স্ত্রী বন্যাও গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় অভিজিতের বাবা অধ্যাপক অজয় রায় বাদী হয়ে ২৭ ফেব্রুয়ারি সকালে শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়