দুর্নীতিবাজদের রক্ষা করাই বিএনপির কাছে মুখ্য বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং দলের অন্যতম মুখপাত্র ড. হাছান মাহমুদ এমপি।

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত 'আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্য বরেণ্য পরমানু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ৭৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে' আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সাক্ষরেই জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের টাকা উত্তোলন করা হয়েছিল এবং সেই টাকা দিয়েই তারেক ও কোকোর নামে জমি কেনা হয়েছিল ।এটা দিবালোকের মতো স্পষ্ট অথচ এটা নিয়ে বিএনপি জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে এবং আদালতকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছে। সুতরাং বিএনপি নেতাদের বক্তব্যে মনে হচ্ছে দল রক্ষা করার চেয়ে দুর্নীতিবাজ দল প্রধানকে রক্ষা করাই তাদের কাছে মুখ্য।

‘কারাগারে বেগম খালেদা জিয়াকে সুযোগ সুবিধা দেয়া হচ্ছে না' বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন কোন উদাহারণ না থাকা শর্তেও এবং জেল কোর্ডের মধ্যে না থাকা সর্তেও তিনি তার পছন্দের গৃহপরিচারিকাকে সাথে রাখার সুযোগ পেয়েছেন।

'বেগম খালেদা জিয়াকে ছাড়া ভারাক্রান্ত মন নিয়ে শহিদ দিবস পালন করেছেন' মির্জা ফখরুলের সাম্প্রতিক বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া মেট্রিকে উর্দুতে পাস করেছিলেন এবং বাংলাতে ফেল করেছিলেন। অর্থাৎ তার কাছে উর্দু অনেক পছন্দনীয় বিষয় ছিল, বাংলা না । সেই ছোট বেলা থেকেই উর্দু প্রীতি যে তার বেশি ছিল তার প্রমাণ হচ্ছে তার মেট্রিকের মার্কসিট। সুতরাং বেগম জিয়াকে ছাড়া ভাষা দিবস পালনে ভারাক্রান্ত হওয়ার কোন কারণ নাই।

প্রয়াত পরমানু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ৭৬তম জন্মবার্ষিকীতে তার সৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া কখনো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী হিসেবে পরিচয় দিতেন না। সেই পরিচয় তার কাছে মুখ্য ছিল না। তিনি একজন নিভৃতচারী মানুষ ছিলেন, তিনি তার সন্তানদের মানুষের মতো মানুষ করতে পেরেছেন।

আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা লায়ন চিত্ত রঞ্জন দাশের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক সংসদ সদস্য সারাহ বেগম কবরী, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা প্রমুখ।