ট্রাম্প এবং আইএস জঙ্গিদের ভাষা একই: লন্ডনের মেয়র
কাগজ অনলাইন প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১ জানুয়ারি ২০১৮, ১০:০৭ পিএম
যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনের মেয়র সাদিক খান ইসলাম সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নানা বাগাড়ম্বর বা উস্কানিমূলক বক্তব্যকে আইএস জঙ্গিদের কূটকৌশলগুলোর সঙ্গে তুলনা করেছেন। এর অর্থ পাশ্চাত্যে হামলা চালানোর জন্য আইএস জঙ্গিরাও একই ধরনের উস্কানিমূলক বক্তব্য রাখে বলে লন্ডনের মেয়র সতর্ক করে দিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে সাদিক খান বলেছেন, ট্রাম্পের ভাষা ও কথিত আইএস জঙ্গিদের ভাষার মধ্যে খুবই মিল রয়েছে। তিনি বলেছেন, আইএস জঙ্গিরা চায় ইসলাম সম্পর্কে আতঙ্ক সৃষ্টিকারী হামলা বেড়ে যাক; তারা গর্বিত মুসলমান ও পশ্চিমাদের ওপর কঠোর আঘাত হানতে চায়।
ব্রিটেনের উগ্র ডানপন্থী গোষ্ঠী ‘ব্রিটেন ফার্স্ট’-এর উপপ্রধান জায়দা ফ্রানসেন সম্প্রতি টুইটারে যেসব ইসলাম-বিদ্বেষী পোস্ট প্রচার করেছেন তার সমর্থনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও টুইটারে বক্তব্য রাখায় সাদিক খান এই মন্তব্য করেছেন। লন্ডনের মেয়র বলেন, ট্রাম্পের এইসব রিটুইট বিভক্তি ও ঘৃণার বাণীকে জোরালো করছে; আর তাই তাকে নিন্দা জানানো উচিত। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ব্রিটেনে রাষ্ট্রীয় সফরের অনুমতি দেয়া উচিত নয় বলে মন্তব্য করে সাদিক খান আরও বলেছেন, ‘ট্রাম্পের অনেক বিশ্বাসের সঙ্গেই আমরা একমত নই।’
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে ট্রাম্পকে রাষ্ট্রীয় সফরে ব্রিটেনে আসার আমন্ত্রণ জানালেও ‘ব্রিটেন ফার্স্ট’-এর উপপ্রধান জায়দা ফ্রানসেনের ইসলাম-বিদ্বেষী পোস্টের প্রতি তার সমর্থনের কারণে ওই আমন্ত্রণ ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে লন্ডনের প্রথম মুসলিম মেয়রের বাক-যুদ্ধ মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচার-অভিযানের সময়ই শুরু হয়েছিল। সে সময় ট্রাম্প সব মুসলমানকে অজ্ঞ হিসেবে অভিহিত করে তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সাদিক খান ট্রাম্পের ওই মন্তব্য ও প্রস্তাবের নিন্দা জানিয়েছিলেন।
সাদিক খান বলেছিলেন, ট্রাম্প আইএস জঙ্গিদের মতই তৎপরতা চালাচ্ছেন। এ ছাড়াও সাতটি মুসলিম দেশের নাগরিকদের জন্য আমেরিকায় ভ্রমণের ওপর ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা আরোপকে নিষ্ঠুর ও লজ্জাজনক বলে মন্তব্য করেছিলেন লন্ডনের প্রথম মুসলিম মেয়র সাদিক খান।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প লন্ডনে নতুন মার্কিন দূতাবাস উদ্বোধনের জন্য সেখানে আসবেন বলে কথা থাকলেও গণ-বিক্ষোভ ও প্রতিবাদের ভয়ে এ মাসের প্রথম দিকে তা বাতিল করা হয়।
সূত্র: দ্য ইনডিপেনডেন্ট