×

জাতীয়

এসব মেডিকেল কলেজে ভর্তি হলে ছাত্রদের ভবিষ্যৎ কী?

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২১ জানুয়ারি ২০১৮, ০৯:২৪ পিএম

এসব মেডিকেল কলেজে ভর্তি হলে ছাত্রদের ভবিষ্যৎ কী?

উচ্চ আদালত গিয়ে কিছু ‘মানহীন’ বেসরকারি মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমোদন নিয়ে আসায় সংসদে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। তিনি প্রশ্ন করেন, এসব মেডিকেল কলেজে ভর্তি হলে ছাত্রদের ভবিষ্যৎ কী হবে?

আজ রোববার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য (এমপি) পঞ্চানন বিশ্বাসের সম্পুরক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

মোহাম্মদ নাসিম বলেন, সুনির্দিষ্ট নীতিমালা মেনেই বেসরকারি মেডিকেল কলেজের অনুমতি দেওয়া হয়। অনুমোদন পাওয়া এসব কলেজের সামগ্রিক কার্যক্রম কঠোরভাবে মনিটরিং করা হয়। তবে কয়েকটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ রয়েছে যাদের কোন নিজস্ব ক্যাম্পাস নেই, শিক্ষক, পাঠাগার, ল্যাব কিছুই নেই। এজন্য গত তিন বছর ধরে এসব মানহীন হাসপাতালগুলোতে ছাত্র ভর্তি অনুমোদন স্থগিত করা হয়েছে।

অনুমোদনহীন হাসপাতালের পক্ষে দাঁড়ানো আইনজীবীদের বিষয়ে প্রশ্ন তুলে নাসিম বলেন, এসব বেসরকারি মেডিকেলে ছাত্র ভর্তি হলে তাদের ভবিষ্যত কী হবে? শুধুমাত্র টাকার জোরে বড় বড় আইনজীবী ধরে মিথ্যা তথ্য দিয়ে এসব মানহীন মেডিকেল কলেজগুলো আদালত থেকে ভর্তির আদেশ নিয়ে আসছে।

ক্ষোভ প্রকাশ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এখন তারা আমাদের ওপর চাপ দিচ্ছে শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমোদন দিতে। দুঃখ লাগে, কীভাবে অনেকে এসব মানহীন কলেজের পক্ষ নেন। কিন্তু আমাদের অবস্থান পরিস্কার, কোনো মানহীন বেসরকারি মেডিকেল কলেজকে শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমোদন দেওয়া হবে না।’

জাতীয় পার্টির এমপি সেলিম উদ্দিনের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, দেশে হৃদরোগীর সংখ্যা ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। এ কারণে সরকার প্রত্যেকটি বিভাগীয় শহরে একটি করে স্বতন্ত্র হৃদরোগ বিশেষায়িত হাসপাতাল (উন্নতমানের হার্টের চিকিৎসার জন্য) পর্যায়ক্রমে স্থাপনের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। বর্তমান সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টায় ইতোমধ্যে সারা দেশের সব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হৃদরোগের উন্নতমানের চিকিৎসার জন্য করোনানি কেয়ার ইউনিটসহ আলাদা হৃদরোগ বিশেষায়িত বিভাগ ও কিডনি বিভাগ খোলা হয়েছে। এসব হৃদরোগ বিভাগগুলোতে উন্নতমানের হৃদরোগ চিকিৎসার সব প্রকার ওষুধ বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে এবং বেশ কিছু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এনজিওগ্রামসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে।

সরকার দলীয় এমপি এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের প্রথম সারির অধিক গুণগত মানসম্পন্ন ৩০টি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান দেশের চাহিদার শতকরা ৯০ ভাগ পূরণ করে থাকে এবং শতকরা ১০ ভাগ ওষুধ অন্য মাঝারি ও ছোট ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ও আমদানীর মাধ্যমে পূরণ করা হয়ে থাকে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, দেশের নামি-দামী কিছু কোম্পানীর কিছু কিছু ব্র্যান্ডের ওষুধ নকল হয় যা অত্যন্ত নগন্য। এ সকল নকল-ভেজাল ওষুধ উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় নিয়মিতভাবে অভিযান পরিচালনা করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়ে আসছে।

এমপি মমতাজ বেগমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম জানান, রোহিঙ্গা শিশুদের দ্রুত টিকাদানের আওতায় আনতে সরকার ব্যপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে জন্ম নেওয়া নবজাতকের জন্মনিবন্ধনের উদ্যোগও নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে এবং জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর বাংলাদেশ সরকারের সহায়তায় জন্মনিবন্ধণের কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App