৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে হাইকোর্টের বিভক্ত রায়
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৫ জানুয়ারি ২০১৮, ০৫:০২ পিএম
সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে করা রিটে দ্বিধাবিভক্ত আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের সিনিয়র বিচারপতি রুল জারি করলেও জুনিয়র বিচারপতি তা খারিজ করেছেন বলে জানান আইনজীবীরা।
সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটের শুনানিতে সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু। অপরপক্ষে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী ড. মো. ইউনুছ আলী আকন্দ নিজেই।
জানা গেছে, গত ১৭ এপ্রিল সংসদে নিজ দলের বিপক্ষে ভোট দেয়ার কারণে সংসদ সদস্য পদ শূন্য হওয়া-সংক্রান্ত সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।
রিট আবেদনে জাতীয় সংসদের স্পিকার, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, সংসদ সচিবালয়ের সচিব ও আইন সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে। ইউনুছ আলীর দায়ের করা রিটটি জনস্বার্থে নয় এমন দাবি করে তা খারিজের আবেদন জানায় রাষ্ট্রপক্ষ।
এ আবেদনের জবাবে আদালত বলেন, ৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায়ে সর্বোচ্চ আদালতের একটি পর্যবেক্ষণ রয়েছে, যা মানা হাইকোর্টের জন্য বাধ্যতামূলক। আর সেজন্যই এ সংক্রান্ত রিটটির ওপর শুনানি হওয়া প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়েছে, ৭০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কোনো সংসদ সদস্য নিজ দলের বিরুদ্ধে ভোট দিলে তার সংসদ সদস্যপদ থাকবে না।
এ অবস্থায় দল যদি কোনো ভুল সিদ্ধান্ত বা নির্দেশনা দেয় তার বিরুদ্ধে ভোট বা মতামত দেয়ার সুযোগ সংসদ সদস্যদের নেই। তারা দলের নীতিনির্ধারক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হন।
আপিল বিভাগ বলেন, ৭০ অনুচ্ছেদ বলবৎ থাকাবস্থায় বিচারক অপসারণ ক্ষমতা সংসদের হাতে গেলে একজন বিচারককে দলীয় নীতিনির্ধারকের করুণা অনুযায়ী চলতে হবে। বিচারক অপসারণ ক্ষমতা সংসদ সদস্যদের হাতে গেলে তার প্রভাব বিচার বিভাগে পড়বে।