×

জাতীয়

খালেদা জিয়াকে পাগল হিসেবে আখ্যায়িত করলেন প্রধানমন্ত্রী

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১০ জানুয়ারি ২০১৮, ১০:০০ পিএম

খালেদা জিয়াকে পাগল হিসেবে আখ্যায়িত করলেন প্রধানমন্ত্রী

ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু জোড়াতালি দিয়ে তৈরি হচ্ছে দাবি করে তাতে উঠতে বারণ করায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পাগল হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেছেন, এ ধরনের মন্তব্যকে পাগলের প্রলাপ হিসেবে মেনে নেওয়াই ভালো। কারণ প্রবাদ আছে পাগলে কি না বলে, ছাগলে কি না খায়। আমার মনে হয় এই ধরনের পাগলের কথায় কারও বেশি মনোযোগ না দেওয়াই ভালো। দেশবাসীও এ ধরনের পাগলের কথা শুনবে না। কারণ কোনো সুস্থ মানুষ এ ধরনের কথা বলতে পারেন না।

তিনি বলেন, সেতু তো বিভিন্ন পার্ট (অংশ) তৈরি করে করে নির্মাণ হয়। এক্ষেত্রে তো জোড়া দিয়েই সেতু করা হয়। জোড়া না দিলে তো সেতু হয় না। বুধবার সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তরে ফজিলাতুন নেসা বাপ্পির সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ সময় সংসদে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

বহুল আলোচিত প্যারাডাইস পেপারে প্রকাশিত বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার দুই পুত্রের দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বেলজিয়ামে ৭৫০ মিলিয়ন ডলার, মালয়েশিয়ায় ২৫০ মিলিয়ন ডলার, দুবাইতে কয়েক মিলিয়ন ডলার মূল্যের বাড়ি, সৌদি আরবে মার্কেটসহ অন্যান্য সম্পত্তিসহ বিশ্বের আরও দেশে খালেদা জিয়ার ছেলেদের পাচারকৃত টাকার সন্ধান পাওয়া গেছে। যা এখনো তদন্তাধীন। এদেশের জনগণের সম্পদ আর লুটপাট, পাচার করতে দেয়া হবে না। এ ধরণের অপকর্ম তদন্তের মাধ্যমে উদঘাটন এবং জড়িত ব্যক্তিদের বিরদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জনগণের পয়সা জনগণকে ফেরত দেয়ার যে সকল আইনী প্রক্রিয়া রয়েছে তার ব্যবস্থা করা হবে।

আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত সংসদ সদস্য ফজিলাতুন নেসা বাপ্পি’র প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত রিপোর্ট তুলে ধরে আরো বলেন, দুর্নীতি বা অন্য কোন অপরাধ হতে অর্জিত অর্থ নিয়মবহির্ভূতভাবে বিদেশে পাচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে সরকার বদ্ধপরিকর। এ লক্ষ্যে সরকারের সকল সংস্থা একযোগে কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, ইতিমধ্যে ২০১২ সালে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার পুত্র আরাফাত রহমান কোকোর পাচারকৃত ২০ লাখ ৪১ হাজার সিঙ্গাপুর ডলার সেদেশ হতে ফেরত আনা হয়েছে। তিনি বলেন, বিএনপি নেত্রীর আরেক পুত্র তারেক রহমান দেশের বাইরে প্রচুর অর্থ পাচার করেছে। তারেক এবং তার ব্যবসায়িক পার্টনার গিয়াসউদ্দিন আল মামুন যৌথভাবে একটি বিদেশি কোম্পানিকে কাজ দেয়ার বিনিময়ে প্রায় ২১ কোটি টাকার মত সিঙ্গাপুরে সিটিএনএ ব্যাংকে পাচার করেছে। এব্যাপারে শুধু বাংলাদেশ নয়, আমেরিকার এফবিআইও তদন্ত করেছে। এর সূত্র ধরে এফবিআইয়ের ফিল্ড এজেন্ট ডেবরা ল্যাপরিভোট ২০১২ সালে ঢাকায় বিশেষ আদালতে সাক্ষ্য দিয়ে গেছেন। এমামলায় হাইকোর্টে তারেক রহমানের ৭ বছরের সাজা হয়। একইভাবে লন্ডনের ব্যাংকেও প্রায় ৬ কোটি টাকা পাওয়া গেছে। এছাড়াও বিশ্বের আরও অনেক দেশে খালেদা জিয়ার ছেলেদের টাকার সন্ধ্যান পাওয়া গেছে যা এখনো তদন্তাধীন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App