×

আন্তর্জাতিক

জোর করে রোহিঙ্গাদের ফেরৎ পাঠাবে না বাংলাদেশ

Icon

শামীম আহমেদ

প্রকাশ: ০৩ জানুয়ারি ২০১৮, ১১:৫২ এএম

জোর করে রোহিঙ্গাদের ফেরৎ পাঠাবে না বাংলাদেশ
জোর করে রোহিঙ্গাদের ফেরৎ পাঠাবে না বাংলাদেশ
জোর করে রোহিঙ্গাদের ফেরৎ পাঠাবে না বাংলাদেশ
জোর করে রোহিঙ্গাদের ফেরৎ পাঠাবে না বাংলাদেশ
বাংলাদেশ কখনো জোর করে রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরৎ পাঠাবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন। তিনি বলেন, আমরা তাদের বিপদের মুখে ঠেলে দিতে চাইনা। আমরা চাই মিয়ানমার রাখাইন রাজ্যে ওদের জন্য একটা সেফ জোন করুক। যেখানে ফিরে যেতে ওরা নিরাপদ বোধ করবে। এজন্য আন্তর্জাতিক মহলকে নিয়ে বাংলাদেশ একসঙ্গে যেভাবে কাজ করছে তা আরও জোরালো করার ওপর জোর দিয়ে এই সফল কুটনীতিক আরো বলেন, এখনো কিছু রোহিঙ্গা আসছে বলে আমরা খবর পাচ্ছি। তবে আসার সংখ্যা কমে এসেছে। তারপরও তা আমাদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। এদের মিয়ানমার ফিরিয়ে নেবেনা একথা বলার সুযোগ নেই। তবে ডিলে হতে পারে। আমরা নিরাপত্তা পরিষদকে অবহিত করবো। তাদেরকে নিয়ে সরেজমিনে পরিস্থিতি দেখাবো। তার ভিত্তিকে তারা পরবর্তী কর্মপন্থা নির্ধারন করবে। এর বাইরে আর কিছু চিন্তা করার সুযোগ নেই। তিনি বলেন, ভাষানচরকে নৌবাহিনীর মাধ্যমে ডেভলপ করা হচ্ছে। বসবাসের উপযুক্ত হলে কিছু লোককে পাঠানো হবে। তবে অন্য কোন দেশ যদি রোহিঙ্গাদের পূনর্বাসন করতে চায় আমাদের পক্ষ থেকে কোন আপত্তি নেই। ইংরেজী নববর্ষ উপলক্ষ্যে সাংবাদিকদের নিয়ে এক প্রীতি সমাবেশের আয়োজন করে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন। সেখানে তিনি এসব কথা বলেন। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায় আয়োজিত এ সমাবেশে রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন আরও বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে অল্প কয়েকটি দেশ বাদে বিশ্ব নেতারা আজ এক কাতারে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের মতো ক্ষমতাধর দেশ আমাদের সমর্থন দিচ্ছে। এটা বাংলাদেশের এক বিশাল কূটনৈতিক বিজয়। তবে জেরুজালেম ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রকে ভোট দেয়নি বলে বাংলাদেশ কোন নিষেধাজ্ঞা বা সমস্যার মুখে পড়বে কিনা সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, জেরুজালেম ইস্যুতে বাংলাদেশের একটা প্রিন্সিপ্যাল পজিশন আগে থেকেই রয়েছে। এর বাইরে যাবার সুযোগ নেই। তবে এ ইস্যুতে ভোট না দিলে দেখে নেয়া হবে বলে যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘের সদস্য দেশসমূহকে যে হুমকি দিয়েছিলো তার প্রভাব কি হবে তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে একথা সত্যি যে, অন্য দেশের প্রতি যদি কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় বাংলাদেশও তা থেকে বাদ যাবেনা। তিনি জানান, জেরুজালেম ইস্যুতে অল্পসংখ্যক দেশ যুক্তরাষ্ট্রকে ভোট দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র কোথায় দূতাবাস স্থাপন করবে এ বিষয়ে তাদের যেমন সিন্ধান্ত নেয়ার স্বাধীনতা আছে বাংলাদেশেরও স্বাধীনতা আছে তা প্রত্যাখান করার। মাসুদ মোমেন বলেন, ইংরেজী নববর্ষ উপলক্ষে যে পার্টি যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছিলো তাতে বাংলাদেশকে আমন্ত্রন জানানো হয়নি। এটা তার অংশ কিনা আমি জানিনা। এর আগে জাতিসংঘে বাংলাদেশের ১ বছরের সাফল্য তুলে ধরা হয়। বাংলাদেশ মিশনের উপ স্থায়ী প্রতিনিধি তারেক মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম গত বছরে জাতিসংঘ কি কি সাফল্য অর্জন করেছে তা তুলে ধরেন। এর মধ্যে উন্নয়ন, নিরস্ত্রীকরণ, শান্তিরক্ষা, সন্ত্রাসবাদ, জলবায়ু পরিবর্তন, নারীর ক্ষমতায়ন, অভিবাসন, নারীর ক্ষমতায়ন, জাতিসংঘের বিভিন্ন কমিটিতে গুরুত্বপূর্ন পদে নির্বাচিত হওয়াসহ বিভিন্ন কর্মকান্ডে বাংলাদেশের নজিরবিহীন সাফল্য উল্লেখযোগ্য। মাসুদ বিন মোমেন মিশনকে সব সময় পাশে রাখার জন্য সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানান। এ সময় তিনি মিশনের নতুন পুরাতন কর্মকর্তাদের পরিচয় করিয়ে দেন। মিশনের ফাষ্ট সেক্রেটারি (প্রেস) নুর এলাহি মিনার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল শামীম আহসান বলেন, যেখানে বাংলাদেশের স্বার্থ জড়িত সেখানে মিশন এবং কনস্যুলেট একসঙ্গে কাজ করেছে। আগামীতে দুই প্রতিষ্ঠানের কাজের ধারা এবং গতি আরো বেগবান হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। ২৫ মার্চ গণহত্যাকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে চেষ্টা চলছে বলেও তিনি জানান। পরে নববর্ষ উপলক্ষ্যে কেক কাটা হয়। এবং সবাইকে নৈশভোজে আপ্যায়িত করা হয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App