অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রোববার ঢাকার সাভার থানায় দুদকের উপ-পরিচালক মুহা. মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে কমিশন আইন-২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় মামলাটি করেন।
মামলায় ২ কোটি ৫৪ লাখ ৪৩ হাজার ৭৯৩ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারে সোহেল রানার মালিকানাধীন বহুতল বাণিজ্যিক ভবন রানা প্লাজা ধসে পড়লে তা বিশ্বব্যাপী সমালোচনার সৃষ্টি করে। ওই ঘটনায় ভবনে থাকা পাঁচটি পোশাক কারখানার সহস্রাধিক শ্রমিকের মৃত্যু হয়।
এর আগে সম্পদের হিসাব না দেওয়ার মামলায় গত ২৯ আগস্ট সোহেল রানাকে তিন বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক কে এম ইমরুল কায়েস।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলার এজাহারে বলা হয়, সোহেল রানা সর্বশেষ ২০১২-১৩ করবছরে আয়কর রিটার্ন দাখিল করেন। এতে তিনি ব্যাংকে ও নগদ হিসেবে ১ লাখ ৭৮ হাজার ৯৫৩ টাকা প্রদর্শন করেন। কিন্তু দুদকের অনুসন্ধানে দেখা যায়, তিনটি ব্যাংক হিসাবে সোহেল রানার নামে ২৭ লাখ ৮০ হাজার ৭৬৭ টাকা জমা আছে। এখানে তিনি ২৬ লাখ এক হাজার ৮১৪ টাকা আয়কর নথিতে প্রদর্শন করেননি।
এছাড়া সাভারের বাজার রোডের ‘রানা টাওয়ার’ এর মালিক সোহেল রানা আয়কর নথিতে ওই ভবনের (চতুর্থ তলা পযন্ত) নির্মাণ ব্যয় ১ কোটি ৩০ লাখ ৮৬ হাজার ৫৯৪ টাকা প্রদর্শন করেন। কিন্তু দুদকের অনুসন্ধানে জানা যায়, ভবন নির্মাণে প্রকৃত ব্যয় হয়েছে ৩ কোটি ৫৯ লাখ ২৮ হাজার ৫৭৩ টাকা। এখানে তিনি ২ কোটি ২৮ লাখ ৪১ হাজার ৯৭৯ টাকা কম দেখান, যা তার আয়বহির্ভূত সম্পদ বলে এজাহারে বলা হয়।
২০১৫ সালের ১ এপ্রিল সম্পদ বিবরণী দাখিলের জন্য সোহেল রানাকে নোটিস দেয় দুদক। ওই সময় তিনি কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকায় জ্যেষ্ঠ জেল সুপারের মাধ্যমে নোটিস পাঠানো হয়। এরপর আয়কর বিভাগ থেকে সোহেল রানার সম্পদ ও আয়ের তথ্য সংগ্রহ করে ওই সম্পদের তুলনামূলক বিশ্লেষণ করে দুদক। এতে তার সম্পদের ওই অসঙ্গতি পাওয়ায় মামলা করা হয়।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।