আমদানির চাপে রিজার্ভ
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ৩০ ডিসেম্বর ২০১৭, ০৯:১৭ পিএম
নতুন বছরের প্রথম সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) রেকর্ড ১৩৬ কোটি ডলারের আমদানি বিল পরিশোধের পর তা ৩২ বিলিয়ন ডলারের নীচে নেমে আসবে, যা হবে গত সোয়া বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম রিজার্ভ।
আমদানি ব্যাপক বাড়ার পাশাপাশি প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ ও রপ্তানি আয়ের ধীর গতির কারণে এতোদিন রিজার্ভের যে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা ছিল সেটা আর থাকবে না বলেও আশঙ্কা করছেন অর্থনীতিবিদরা।
গত কয়েক বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে রিজার্ভ। ২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর অর্থনীতির অন্যতম প্রধান এই সূচক ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়। ৪ নভেম্বর রিজার্ভ ৩২ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে রিজার্ভ।
চলতি বছরের ২২ জুন রিজার্ভ ছাড়ায় ৩৩ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রিজার্ভ ছিল ৩৩ দশমিক ২১ বিলিয়ন ডলার; ২০১৭ সালের জুলাই শেষে।
বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন ১০০ কোটি ডলারের নিচে নেমে এলে ভাবমূর্তি নষ্ট হবে বলে ২০০১ সালে প্রথমবারের মতো আকুর আমদানি বিল বকেয়া রাখতে বাধ্য হয়েছিল বাংলাদেশ।
রপ্তানি আয় এবং রেমিটেন্স বাড়ায় সেই রিজার্ভ বাড়তে বাড়তে ১৬ বছরের মাথায় ৩৩ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ সংক্রান্ত তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, আওয়ামী লীগের ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদের শেষদিকে বাংলাদেশের বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন এক বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি নেমে এসেছিল।
এরপর বিচারপতি লতিফুর রহমানের তত্ত্বাবধায়ক সরকার যখন দায়িত্ব নেয়, তখন রিজার্ভ ছিল একবিলিয়ন ডলারের সামান্য বেশি। তখন আকুর বিল বাবদ ২০ কোটি ডলার পরিশোধের কথা ছিল। কিন্তু তাতে রিজার্ভ ১ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসত।
বাংলাদেশের ইতিহাসে ওই একবারই আকুর বিল বকেয়া রাখা হয়েছিল বলে জানান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের কাছে অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রার মজুদ থাকতে হয়। বাংলাদেশকে দুই মাস পরপর পরিশোধ করতে হয় আকুর বিল।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) আমদানি ব্যয় বেড়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ।