ভেজাল খাদ্য বিক্রি
ভেজাল পণ্য বিক্রির অভিযোগে নয় বছর আগে করা দুই মামলায় সাজা হওয়ার পর আপিল করার শর্তে জামিন পেয়েছেন চেইন সুপার শপ আগোরার চেয়ারম্যান নিয়াজ রহিম।
বৃহস্পতিবার বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের বিচারক মাহবুবে সোবাহান নয় বছর আগের এ দুই মামলায় নিয়াজ রহিমকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেন। সেই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দেন।
সন্ধ্যায় একই আদালতের অপর বিচারক মেহেদী পাভেল সুইট বিবাদীপক্ষের আবেদনে জামিন মঞ্জুর করেন।
জামিন পাওয়ার পর নিয়াজ রহিম ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নগর ভবনের এই আদালত থেকে বাসায় চলে গেছেন বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী মো. সালাহউদ্দিন কবীর।
সালাউদ্দিন কবীল বলেন, ‘রায়ের পরপরই আমরা বিচারকের কাছে জামিনের আবেদন করেছিলাম। কিন্তু তিনি খারিজ করে দেন। পরে একই আদালতের অপর বিচারক আমাদের মক্কেলের অসুস্থতার কথা বিবেচনা করে জজ কোর্টে আপিল করার শর্তে জামিন দেন।’
আমরা যত দ্রুত সম্ভব আপিল করব বলে জানান বিবাদীপক্ষের এই আইনজীবী।
২০০৮ সালে আগোরার বিক্রয়কেন্দ্র থেকে জব্দ করা দুটি ঘিয়ের নমুনাতে ভেজাল পাওয়া যায়। এরপর আলাদা মামলা হয় দুটি।
বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে করা এই মামলার বিরুদ্ধে আগোরার চেয়ারম্যান বিচারিক আদালতে আবেদন করে হেরে যান। এরপর তিনি উচ্চ আদালতে রিট করলে সেখানেও হাইকোর্ট এই মামলা চলবে বলে নির্দেশ দেন। এরপর আগোরা মালিক যান আপিল বিভাগে। কিন্তু সর্বোচ্চ আদালতও তার বিরুদ্ধে রায় দেয়। এরপর মামলাটি চলে বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে।
প্রায়ই সুপার শপগুলোতে মেয়াদউত্তীর্ণ ও ভেজাল পণ্য বিক্রি, ওজনে কারচুপিসহ নানা অভিযোগ উঠে। ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে নামিদামী প্রতিষ্ঠানগুলোকে জরিমানা, কারাদণ্ডসহ সাজাও দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। একাধিকবার সাজা পেয়েছে আগোরাও। তবে কোনো প্রতিষ্ঠানের মালিককে এই প্রথম সাজা দেয়া হলো নিয়াজ রহিমকে।
রাজধানী যে কয়েকটি সুপার শপ পণ্য বিক্রি করে তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে আগোরা। নিত্য প্রয়োজনীয় ও মানসম্পন্ন পণ্য একই ছাদের নিচে পৌঁছে দেয়ার স্লোগানকে সামনে রেখে ২০০১ সালের ২৪ আগস্ট ধানমন্ডির রাইফেলস স্কয়ারে যাত্রা শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। বর্তমানে রাজধানীতে প্রতিষ্ঠানটির ১৫টি বিক্রয়কেন্দ্র রয়েছে। ২০১৫ সালে ‘শ্রেষ্ঠ ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড’ পায় প্রতিষ্ঠানটি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।