যে খাবারগুলো স্বাভাবিক রাখবে শরীরের বিপাক প্রক্রিয়া
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৭ ডিসেম্বর ২০১৭, ১২:০০ পিএম
ওজন কমানোর চিন্তায় কতকিছুই না করা হয়! আর সেজন্য স্পষ্ট ধারণা থাকা দরকার বিপাক প্রক্রিয়া সম্পর্কে এবং জানা দরকার যে, কীভাবে বিপাক প্রক্রিয়া ওজনের সামঞ্জস্য ও ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে। বিপাক প্রক্রিয়া হলো এমন একটি প্রাণরাসায়নিক প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে শরীর খাবার থেকে ক্যালরি শোষণ করে নেয় এবং অক্সিজেনের সাথে মিশে শরীরে প্রয়োজনীয় শক্তি উৎপন্ন করে। আমাদের শরীর এই শক্তিকে ধরে রাখে এবং বিভিন্নভাবে কাজে লাগায়, যেমন- রক্তসঞ্চালন, শ্বাস-প্রশ্বাস, হজমশক্তি, হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা, কোষের বৃদ্ধি ও ক্ষতিপূরণ সংস্কার। যে হারে আমাদের শরীর ক্যালরিকে শক্তিতে রূপান্তরিত করে, তাকে মৌলিক বিপাকীয় হার বলে। সোজা কথায় বলতে গেলে, বিপাক প্রক্রিয়া আমাদের শরীরকে সচল রেখে বিভিন্ন কার্যক্রমে সহায়তা করে। বিপাক প্রক্রিয়া নিশ্চিত করে যে, কতটা কার্যকরভাবে আমাদের শরীর সঞ্চিত শক্তিকে কাজে লাগাতে পারে।
একেকজনের বিপাক প্রক্রিয়ার হার একেক রকম হয়ে থাকে। কারো কারো শরীরে অন্যদের চাইতে তুলনামূলক কম ক্যালরি খরচ হয়। বিপাকীয় হারের ক্ষেত্রে নানা ধরনের বিষয়ের প্রভাব রয়েছে। বয়স এবং লিঙ্গ ভেদে বিপাকীয় হারে ভিন্নতা থাকতে পারে। মহিলাদের তুলনায় পুরুষেরা কম সময়ে ওজন কমাতে পারে। আর এর কারণ হলো পুরুষদের শরীরে মহিলাদের শরীরের তুলনায় অপেক্ষাকৃত কম পরিমাণে চর্বি ও মাংসপেশী থাকে। বয়সের সাথে সাথে শরীর নমনীয়তা হারাতে শুরু করে। তাই শরীরে ক্যালরি খরচ করার ক্ষমতা কমে যায়।
কীভাবে উন্নত হবে আপনার বিপাক প্রক্রিয়া?
যাদের বিপাকীয় হার কিছুটা মন্থর, তাদের জীবনযাত্রায় সামান্য কিছু পরিবর্তন আনলেই কিন্তু পার্থক্যটা লক্ষ্য করা সম্ভব। দেখা যায় যে, নিয়মিত শরীরচর্চা মৌলিক বিপাকীয় হার গঠন করে। শরীরচর্চার ক্ষেত্রে হাঁটা ও দৌড়ানো বেশ উপকারী হতে পারে, তবে অন্যান্য ব্যায়ামও একইরকম কাজ করবে। এখানে কতগুলো টিপস দেয়া হলো, যেগুলো মেনে চললে শরীরচর্চা করার সময় আপনি ক্লান্ত ও বিষণ্ণ অনুভব করবেন না,- শরীরচর্চা করার সময় অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করবেন।
- শরীরচর্চার পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার খান। কারণ শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি হলে ওজন ধীরে ধীরে কমবে এবং শরীরে ঘ্রেলিন নামক হরমোন অধিক পরিমাণে নিঃসরণ হতে পারে, যার কারণে ঘন ঘন ক্ষুধা লাগতে পারে।
- দিনে অন্তত একবার হলেও চা, কফি বা গ্রিন টি পান করুন।
- পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমান এবং চাপ কম নেবার চেষ্টা করুন।
- প্রতিদিন কতটুকু ক্যালরি সম্পন্ন খাবার খাচ্ছেন সেদিকে লক্ষ্য রাখুন এবং পরিমিত পরিমাণে খাবার খান। কিন্তু কিছুক্ষণ পরপর খাওয়ার অভ্যাস করুন।
- যথেষ্ট পরিমাণে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খান।