×

খেলা

আজ থেকে ঐতিহাসিক চার দিনের টেস্ট

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭, ১২:৪৬ পিএম

টেস্ট ক্রিকেটের আর্বিভাবের পর থেকে সময় ও পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে ভিন্ন রকম নিয়মাবলী যোগ হয়েছে। শুরুর দিকে জয় নির্ধারণ না হওয়া পর্যন্ত খেলেই যেত দুই প্রতিপক্ষ। ধীরে ধীরে পাঁচ দিনের টেস্ট বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়তা পায়। দর্শকদের চাহিদা মেটাতে দিবা-রাত্রির টেস্টও আয়োজন করে আইসিসি। এবার ক্রিকেটের সবচেয়ে প্রাচীন ফরম্যাটের নতুন অধ্যায়ের সাক্ষী হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা-জিম্বাবুয়ে। প্রথমবারের মতো আজ মঙ্গলবার পোর্ট এলিজাবেথের সেন্ট জর্জ পার্কে শুরু হচ্ছে চার দিনের টেস্ট। তাই এবারের বক্সিং ডে ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে। চার দিনের পরীক্ষামূলক এই টেস্টে ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকাকে অনুমতি দিয়েছে আইসিসির। এ ম্যাচের জন্য পরিবর্তন করা হয়েছে কিছু নিয়মের। স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টা থেকে (বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায়) ৬ ঘণ্টার বদলে প্রতিদিন সাড়ে ৬ ঘণ্টা করে খেলা হবে। পাঁচদিনের টেস্টে প্রতিদিন ৯০ ওভার করে খেলা হলেও, চারদিনের টেস্টে রোজ ৯৮ ওভার করে খেলা হবে। প্রথম দুই সেশনে ২ ঘণ্টা ১৫ মিনিট করে খেলা হবে। প্রথম সেশনের পর লাঞ্চের বিরতির বদলে ২০ মিনিটের চা-পানের বিরতি হবে। দ্বিতীয় সেশনের পর ৪০ মিনিটের নৈশভোজের বিরতি হবে। কোনো কারণে খেলার সময় নষ্ট হলে পরের দিন বাড়তি সময় খেলা হবে না। প্রথম ইনিংসে ব্যাট করা দল ১৫০ রানে এগিয়ে থাকলেই ফলো-অন করাতে পারবে। ১৯৭২-৭৩ মৌসুম পর্যন্ত টেস্ট ম্যাচের নির্দিষ্ট কোনো দিন ছিল না। ৬ থেকে শুরু করে ৩ পর্যন্ত যে কোনো দিনের ম্যাচ হতো। টাইমলেস টেস্ট ম্যাচও হয়েছে। ১৯৩৮-৩৯ মৌসুমে ডারবানে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ডের মধ্যে শেষ টাইমলেস টেস্ট ম্যাচ হয়েছিল। ১০ দিন ধরে খেলা হয়েছিল। তার মধ্যে বৃষ্টির জন্য একদিনের খেলা ভেস্তে গিয়েছিল। ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারদের দেশে ফেরার জাহাজ ধরার ছিল বলে ১০ দিনের পর ম্যাচ ড্র বলে ঘোষণা করা হয়। ১৯৭২-৭৩ মৌসুম থেকে পাঁচদিনের টেস্ট ম্যাচই হচ্ছে। শুধু ২০০৫-০৬ মরসুমে অস্ট্রেলিয়া ও বিশ্ব একাদশ ৬ দিনের একটি টেস্ট ম্যাচ খেলেছিল। এখনও পর্যন্ত সাতটি দিন-রাতের টেস্ট ম্যাচ। প্রথম ম্যাচটি হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকাতেই। প্রায় এক বছর পর টেস্ট দলে ফিরছেন প্রোটিয়া সাবেক অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্স। গোলাপি বলে ফ্লাডলাইটে অনুশীলন করে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে তাকে। তিনি বলেন, গত দেড় মাস টেস্টে ফিরতে কঠোর পরিশ্রম করে চলেছি। আবারো টেস্টে নিজেকে মানিয়ে নিতে এটা করতে হতো। নেটে গোলাপি বলে ব্যাটিং করা কঠিনই মনে হলো। টেস্টে চ্যালেঞ্জের হবে এটা। এদিকে জিম্বাবুয়ে টেস্ট ক্রিকেট থেকে প্রত্যাবর্তনে পর এখন পর্যন্ত জয় পেয়েছে দুই টেস্টে। একটি বাংলাদেশের বিপক্ষে অপরটি পাকিস্তানের বিপক্ষে। দুই টেস্টেই জয় পেয়েছিল ২০১৩ সালে। এরপর ১১ টেস্টে খেলে কোনো জয় পায়নি। ১০টিতে হেরে একটিতে ড্র করেছে। সবশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে খেলেছিল অক্টোবরে। ওই ম্যাচে ড্র করেছিলেন তারা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App