×

জাতীয়

রংপুরে হিন্দু পাড়ায় হামলা: ঘটনার নেতৃত্বদানকারী প্রকৌশলী গ্রেফতার

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৩ ডিসেম্বর ২০১৭, ১০:০৬ পিএম

ফেসবুকে ধর্মীয় কটূক্তির ঘটনাকে কেন্দ্র করে রংপুরের ঠাঁকুরপাড়ায় হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনার নেতৃত্বদানকারী রংপুর জেলা পরিষদের সাবেক উপ-সহকারী প্রকৌশলী ফজলার রহমানকে অবশেষে গ্রেফতার করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। শুক্রবার রাতে ঢাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারের পর রংপুরের পুলিশ প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো হলে গংগাচড়া থানার এসআই মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের একটি দল ফজলার রহমানকে ঢাকা থেকে রংপুরে আনতে ঢাকায় যান।

এ ব্যাপারে শনিবার সন্ধ্যায় এসআই মিজানুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তার কাছে এখনো আসামি হস্তান্তর করা হয়নি। আসামি হস্তান্তর করা হলে তিনি রংপুরে নিয়ে আসবেন। শুক্রবার রাত ৩টার দিকে তিনি ঢাকা পৌঁছেছেন। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কারা তাকে গ্রেফতার করেছেন এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি তথ্য প্রদানে অপারগতা প্রকাশ করে বলেন, রংপুরে নিয়ে আসার পর ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা গণমাধ্যমে বিষয়টি জানাবেন।

ফজলার রহমানের গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে শুক্রবার রাতে কোতোয়ালি থানার ওসি বাবুল মিয়া জানান, ফেসবুকে ধর্মীয় কটূক্তির ঘটনাকে কেন্দ্র করে রংপুরে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলার ঘটনায় গংগাচড়া থানায় দায়েরকৃত মামলার আসামি ফজলার রহমান। ওই থানার একটি পুলিশের টিম তাকে রংপুরে আনতে ঢাকায় গেছেন।

জানা যায়, ফেসবুকে ধর্মীয় কটূক্তির ঘটনাকে কেন্দ্র করে রংপুরের ঠাকুরপাড়ায় হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলা ঘটনার নেতৃত্বদানকারী স্থানীয় জাতীয় পার্টি (জাপা), বিএনপি ও জামায়াত ইসলামের এজাহারভুক্ত আসামিদের মধ্যে শুধুমাত্র জামায়াত ইসলামের একজন ধরা পড়লেও বাকীদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। এক পর্যায়ে শুক্রবার রাতে ফজলার রহমানকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

এজাহারভুক্ত আসামিদের মধ্যে এখনো যাদেরকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি তারা হলেন, সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য মাসুদ রানা, জাতীয়তাবাদী ওলামাদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা সভাপতি ইনামুল হক মাজেদী ও জামায়াত নেতা মোস্তাইন বিল্লাহ।

আরো জানা যায়, ফজলার রহমান মমিনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাপা নেত্রী সুলতানা আক্তার কল্পনার স্বামী। ফজলার রহমান চাকরি ছেড়ে দিয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার লক্ষ্যে স্থানীয় জাপা নেতাকর্মীদের সংগঠিত করে এই বর্বর ও নৃশংস ঘটনা ঘটিয়েছে।

প্রসঙ্গত, ফেসবুকে ধর্মীয় কটূক্তির ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ১০ নভেম্বর (শুক্রবার) রংপুরে পরিকল্পিতভাবে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশ ও সংঘবদ্ধ দুর্বৃত্তদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে হাবিবুর রহমান হাবিব (৩০) নামে এক যুবক নিহতসহ আহত হয় অর্ধশতাধিক। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানার এসআই রফিকুল ইসলাম রফিক বাদী হয়ে গ্রেফতারকৃত ৩৬জনকে আসামি দেখিয়ে আরো অজ্ঞাতনামা ৩ হাজার দুর্বৃত্তের নামে এবং গংগাচড়া থানায় এইআই রেজাউল আলম বাদী হয়ে ৩২জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৩ হাজার ব্যক্তির নামে মামলা দায়ের করেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App