রংপুরে সুষ্ঠু নির্বাচনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন : সিইসি
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২০ ডিসেম্বর ২০১৭, ০৫:৫৩ পিএম
রংপুরে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের প্রত্যাশা রেখে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, ভোটের জন্য সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে এবং সার্বিক পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণে।
দেশের উত্তরের ওই সিটি করপোরেশনে নির্বাচনের আগের দিন বুধবার ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, “ভোটের সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।এখন পর্যন্ত আমাদের যে অবজারভেশন, তাতে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ অনুকূলে রয়েছে। সুন্দর, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য ভোট হবে।”
এ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সন্তোষ প্রকাশের কথাও তুলে ধরেন সিইসি।
নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও শাহাদাত হোসেন চৌধুরী ও ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদও উপস্থিত ছিলেন এই ব্রিফিংয়ে।
রংপুরে একটি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করার কথা বললেও শেষ মুহূর্তে সংশয়ের কথা বলেছেন সিইসি।
তিনি বলেন, “রংপুরে গোটা তিনেক কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে। একটি কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহারের কথা ছিল। সম্পূর্ণভাবে সিকিউরড হলেই এটা ব্যবহার করা হবে।”
এ নির্বাচনের ১৯৩টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৪১ নম্বর কেন্দ্রে নিজেদের তৈরি ইভিএম ব্যবহার করে ভোটগ্রহণের জন্য মহড়া ও প্রচারও চালিয়েছিল ইসি। সব মিলিয়ে এর পেছনে ১০-১৫ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে বলে ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের একাধিক কর্মকর্তা বলেছেন, নতুন ইভিএম ইসির অনেক কর্মকর্তাই এখনও দেখেননি। হুট করে মাঠ পর্যায়ে ওই যন্ত্র ব্যবহারের বিরোধিতা করে আসছেন কর্মকর্তাদের কেউ কেউ।
তাদের ভাষ্য, ইসির একটি অংশ এবং এনআইডি উইংয়ের উৎসাহেই পুরনো সচল ইভিএম বাদ দিয়ে নতুন ইভিএমে রংপুরে এক কেন্দ্রে ভোটের আয়োজন হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে কে এম নূরুল হুদা বলেন, “এটা টেকনিক্যাল বিষয়; কারিগরি টিম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে। এখনও কনফার্ম করতে পারছি না ইভিএম হবে কিনা। শতভাগ নিশ্চিত না হয়ে তো ব্যবহারের যেতে পারি না। নতুন ইভিএম তো, কাল সকালেই নিশ্চিত হওয়া যাবে।”
নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, “রংপুর সিটি নির্বাচনকে আমরা মডেল নির্বাচন করতে চাই। ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিয়ে বাড়ি যেতে পারেন, সে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”
আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি সদস্য এ নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাহী ও বিচারিক হাকিম ছাড়াও ইসির মনিটরিং টিম থাকবে নির্বাচন পরিস্থতি পর্যবেক্ষণে।
এই সিটির মেয়র পদের জন্য সাতজন; ৩৩টি সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ২১১ জন এবং ১১টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ৬৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
রংপুর সিটিতে মোট ভোটার ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৮৯৪ জন। তাদের মধ্যে ১ লাখ ৯৬ হাজার ২৫৬ জন পুরুষ, আরএক লাখ ৯৭ হাজার ৬৩৮ জন নারী।
১৯৩টি ভোট কেন্দ্রের ১ হাজার ১৭৮টি ভোটকক্ষে মোট তিন হাজার ৫৫৯ জন ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করবেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা এ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলবে।