চট্টগ্রাম বন্দরকে ৩০তম দেখতে চান অর্থমন্ত্রী
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২০ ডিসেম্বর ২০১৭, ০১:৩৫ পিএম
বর্তমানে বিশ্বের ১০০টি বন্দরের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থান ৭১। আগামী ১৩ বছরে অর্থাৎ ২০৩০ সালের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর ৩০তম স্থানে জায়গা করে নেবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
মঙ্গলবার রাতে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের হারমনি হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। চট্টগ্রাম বন্দর কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ে ৭১তম স্থান অধিকার করায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুস সামাদ ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম. খালেদ ইকবাল স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, এই বন্দরটি ৪০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু বন্দর হিসেবে মর্যাদা পায় ১৯৪৭ সালে। তখন এই অঞ্চলে এটিই ছিল একমাত্র বন্দর। বন্দর কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সময় যে অর্থ বরাদ্দ চায় আমরা তা দিতে পারি না। অর্থনৈতিক সংকট, ম্যানেজমেন্টের দুর্বলতার সত্ত্বেও বন্দরটি আজ বিশ্বের ১০০টি বন্দরের মধ্যে ৭১তম হয়েছে। আমি সত্যি আনন্দিত। আমার আশা আগামী ১৩ বছরে এই বন্দর ৩০তম স্থানে চলে আসবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, রফতানিতে এ বন্দরের অবদান সবচেয়ে বেশি। তাই বন্দরের কারণে রফতানিতে যেন কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে। কারণ রফতানির ওপর আমাদের অর্থনীতির অনেক কিছু নির্ভর করে। এজন্য বন্দরের সুবিধা বাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, এক সময় এই বন্দর দিয়ে ৩০০ মিলিয়ন ডলারের আমদানি-রফতানি হতো। সেই অবস্থা থেকে এখন ৩৫ বিলিয়ন আমদানি-রফতানি হচ্ছে। আগামীতে আমদানি-রফতানি বাড়াতে বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে হবে।
লন্ডনভিত্তিক শিপিং বিষয়ক বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো সংবাদমাধ্যম ‘লয়েডস লিস্ট’-এর ২০১৬ সালের জরিপে (২০১৭ সালে প্রকাশিত) বিশ্বের শীর্ষ ১০০টি বন্দরের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ পাঁচ ধাপ এগিয়ে ৭১তম অবস্থানে উন্নিত হয়েছে। ২০১৫ সালে জরিপে অবস্থান ছিল ৭৬তম। ২০০৮ সালে ছিল ৯৮তম স্থানে।
জরিপে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে চীন ও সিঙ্গাপুর। চীনের ২০টি, ভারতের ৩টি ও পাকিস্তানের করাচি বন্দর স্থান পেয়েছে। তবে করাচি বন্দরের অবস্থান ৭৭তম। বিশ্বের চার হাজার বন্দরে মধ্যে ৫০০টি বন্দর নিয়মিত কন্টেইনার হ্যান্ডলিয় করে থাকে।