×

অর্থনীতি

খাটো জাতের নারকেল গাছে কৃষকের আগ্রহ

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৭, ০৪:০৩ পিএম

দিন দিন ভাঙছে নদী, বাড়ছে মানুষ। ফসলি জমিতে নির্মাণ হচ্ছে বসতবাড়ি। ফলে দশমিনা উপজেলায় লোকসংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও কমছে ফসলি জমি। অল্প জমিতে অধিক উৎপাদন ও লাভের আশায় তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদীর তীরঘেঁষা উপকূলীয় পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার কৃষকও ঝুঁকছেন উফশী জাতের ফসল উৎপাদনের দিকে। উচ্চফলনশীল খাটো জাতের নারকেল গাছের প্রতি কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে। আর এ জাতের নারকেল চাষে দশমিনা উপজেলায় রয়েছে অপার সম্ভাবনা। সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার হাটবাজারগুলোয় অতিমাত্রায় ডাব বিক্রি হওয়ায় নারকেলগাছের ফলন বা বীজ প্রাপ্তির সংখা দিন দিন কমে আসছে। সারা বছর ফল উৎপাদনের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ভিয়েতনাম থেকে আমদানি করা খাটো জাতের নারকেল চারা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মাধ্যমে প্রতিটি ৫০০ টাকায় বিক্রি করেছে। বাণিজ্যিকভাবে চাষের জন্য খাটো জাতের নারিকেল চারায় কৃষকের আগ্রহ থাকলেও, প্রতিটি চারা ৫০০ টাকায় বিক্রি হওয়ায় হতদরিদ্র ও প্রান্তিক চাষীদের পক্ষে ক্রয় করা সম্ভব হচ্ছে না। উপজেলা সদর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের অটোরিকশাচালক মো. কাসেম মৃধা বলেন, ‘রিকশা চালিয়ে যা পাই, তা দিয়ে ৬ সদস্য পরিবার ও কিস্তির টাকা পরিশোধ করে হাতে আর টাকা থাকে না। উল্টো মুদি দেকানে থাকে বাকি। তয় হুনছি কৃষি অফিস খাটো জাতের নারিকেল চারা বিক্রি করছে। হেই গাছে অনেক ফল হয়। ওই চারা ৭-৮টা লাগাতে পারলে আমাগো সংসারে আর অভাব থাকব না।’ আরজবেগী গ্রামের চান মিয়া, পচু মোল্লা, শাহজাহান ও হাফেজ প্যাদা বলেন, ‘এত টাহা (টাকা) দিয়া কেমনে খাটো নারিকেল চারা কিনমু, তার চেয়ে সরকার আমাগোরে মাগনা (বিনামূল্যে) দিতে পারে।’

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App