×

শিক্ষা

ইউডার যোগাযোগ ও গণমাধ্যম শিক্ষা বিভাগ প্রাক্তণ শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত

Icon

কাগজ অনলাইন প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ ডিসেম্বর ২০১৭, ০৯:০১ পিএম

মো. ফয়জুর রহমান: স্মৃতির প্রতি আমাদের পক্ষপাতিত্ব, বেদনা, বিষণুতা রয়েছে। আবার অন্যদিকে রয়েছে গোপন ভালোলাগা আর অকৃত্রিম ভালোবাসা। শিক্ষাজীবন শেষ করার পরে পার হয়েছে বেশ কটি বছর। কত স্মৃতি ধূসর হয়ে হারিয়ে গেছে নাম না জানা কোনো এক গহীনে। সেই স্মৃতিগুলোকে আবারো সকলের মাঝে ভাগাভাগি করে নিতে, ভালোবাসর বন্ধনকে আরো একটু দৃঢ় করতে একত্রিত হয়েছিলো ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ ইউডার যোগাযোগ ও গণমাধ্যম শিক্ষা বিভাগের প্রাক্তণ শিক্ষার্থীরা। আর এরই মধ্য দিয়ে পুরনো দিনের স্মৃতিগুলো নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের।

রাজধানীর ধানমন্ডিতে ইউডার ক্যাম্পাসে শুক্রবার দিনব্যাপী উন্মুক্ত আড্ডা, স্মৃতিচারণের মধ্য দিয়ে এক পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়টির যোগাযোগ ও গণমাধ্যম শিক্ষা বিভাগটি। এতে অংশগ্রহণ করেন বিভাগটির ১ম ব্যাচ থেকে ৩৫তম ব্যাচের ছাত্রছাত্রীরা। প্রথমেই প্রাক্তণ শিক্ষার্থীরা একে একে সবার পরিচয় তুলে ধরে। এরপরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা একটি স্মরণীয় সেশনে অংশ নেন। এরপর তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান স্ব-মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে একটি জরিপে অংশগ্রহণ করে। যোগাযোগ ও গণমাধ্যম শিক্ষা বিভাগের প্রধান এম মাহবুব আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউডার প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি অধ্যাপক মুজিব খান। এ ছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম শরীফ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. আহমদউল্লাহ মিয়া, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. ইফতেত চৌধুরী প্রমুখ।

এ সময় মুজিব খান প্রাক্তন ছাত্রদের তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে থাকার আহ্বান জানান এবং পুরনো স্মৃতিচারণ করেন। পরে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র সংগঠন এবং মিডিয়া ক্লাব গঠনের জন্য দুটি কমিটি ঘোষণা করেন। শিক্ষার্থীরা জানান, বহুদিন পর সবাইকে একসঙ্গে দেখতে পাব এমনটা মনে হলেই আনন্দে মন ভরে যায়। ভাবতেই কেমন লাগছে। যাকে একটিবারের জন্যও কখনো দেখিনি তাকেই কিনা চোখ বন্ধ করলে দেখতে পাই। এটা কি বিশ্বাস করবার মতো কথা? কিন্তু এটাই সত্যি। আমরা অনেক বড় ভাইদের কখনোই দেখিনি, কিন্তু মনে হচ্ছে কতদিনের চেনা-জানা মানুষগুলোর সঙ্গে দেখা হয়েছে।

সময়ের সাখে সবার আড্ডায় যুগল পথচলা পেছনে পড়ে রইল। শিক্ষার্থীদের সেই সোনালী দিনগুলো মনের পর্দায় ভেসে উঠেছে। তখন মনে হলো যেন একটা মাহেন্দ্রক্ষণে আকাশের নীরব নির্নিমেষ নীল নেত্রের দৃষ্টিপাত। এ এক অসামান্য অপূর্ব অনুভ‚তি। আর সে স্মৃতির খাতায় পাতায় আনন্দ-বেদনায় স্মৃতি রোমন্থন করে শিক্ষার্থীরা হারিয়ে যায় অতল গহিনে। যখন দিনের আলো ফুটবে, তখনই মনে পড়বে, “সোনার খাঁচায় দিনগুলি মোর রইল না, রইল না সে যে আমার নানা রঙের দিনগুলি”।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App