×

জাতীয়

প্রতীক পেয়ে রংপুরে ভোটের প্রচারে প্রার্থীরা

Icon

কাগজ অনলাইন প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০১৭, ০৮:০৪ পিএম

ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে শেষ হলো রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ। আগামী ২১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচনে সাত মেয়র প্রার্থীসহ ২৮৭ প্রার্থীর মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। প্রতীক পাওয়ার পরই আনুষ্ঠানিক প্রচারে নেমে পড়েছেন প্রার্থীরা।

সোমবার সকাল আটটায় প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দের কাজ শুরু হয়। কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক দেয়ার পর বিকাল চারটায় মেয়র প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়।

মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু (নৌকা), বিএনপির কাওসার জামান বাবলা (ধানের শীষ), জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা (লাঙ্গল), জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদের ভাতিজা হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ (হাতি), ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী এটিএম গোলাম মোস্তফা (হাত পাখা), এনপিপির মনোনীত প্রার্থী সেলিম আখতার (আম), বাসদের প্রার্থী আব্দুল কুদ্দুস (মই) প্রতীক পেয়েছেন।

প্রতীক পাওয়ার পরপরই বিএনপি মেয়র প্রার্থী বাবলা ছাড়া অধিকাংশ মেয়র, কাউন্সিলর আর নারী কাউন্সিলর প্রার্থীদের সমর্থকরা মার্কা নিয়ে মিছিল বের করেন। এবং আনুষ্ঠানিক প্রচারে নেমে পড়েন।

প্রতীক পাওয়ার পর আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু সাংবাদিকদের বলেন, ‘ব্যাকরা লাঙ্গল গত ত্রিশ বছরের রংপুরের কোনো উন্নয়ন করতে পারেনি। আর জাতীয় পার্টির কারণে রংপুরে গত ১৬ বছর আওয়ামী লীগ বিজয় লাভ করতে পারেনি। আমি সেটা দেখিয়ে দিতে চাই। আমি এরশাদের লাঙ্গলের বিপরীতে নৌকার বিজয় ছিনিয়ে আনবো ইনশাআল্লাহ। এবং সিটির যে উন্নয়ন করেছি তার ধারাবাহিকতা রক্ষা করবো।’

জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান প্রতীক পাওয়ার পর সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজীয় হবো। কারণ এটা এরশাদের লাঙ্গলের ঘাঁটি। এরশাদপ্রিয় মানুষ আমাকে ভোট দেবে। তাছাড়া মানুষ গত পাঁচ বছরে উন্নয়ন বঞ্চিত হয়েছে। সিটির বর্ধিত এলাকায় কোন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। ড্রেন, কালভার্ট, সড়ক সংস্কারসহ সকল কাজে অনিয়ম হয়েছে। তাই মানুষ অপেক্ষা করছে ২১ ডিসেম্বরের ভোটের। ওই দিনই ব্যালটের মাধ্যমে দেখিয়ে দেবে রংপুরের মানুষ উন্নয়ন চায়, চাটুকারিতা নয়।

অন্যদিকে বিএনপির প্রার্থী বাবলা সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই সেনা মোতোয়েনের দাবি করছি।’

এদিকে আগামী ২১ ডিসেম্বরের নির্বাচন সুষ্ঠু অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র সরকার। দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এবারের নির্বাচনে ৩ লাখ ৮৩ হাজার ৯৫৮ জন ভোটার ১৯৩টি কেন্দ্রে ভোট দেবেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App