×

জাতীয়

কম্বোডিয়ার উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা ত্যাগ

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০১৭, ১০:৫১ এএম

তিন দিনের সরকারি সফরে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ কম্বোডিয়ার উদ্দ্যেশ্যে রওনা হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা ৩৫ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ঢাকা ছাড়ে বলে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের আমন্ত্রণে এই সফরে যাচ্ছেন। তার এই সফরে এশিয়ার এ দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরো জোরদার হবে বলে আশা করছেন। এই সফরে দুই দেশের মধ্যে দুটি চুক্তি ও নয়টি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার কথা রয়েছে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী আগেই জানিয়েছেন। প্রায় সাড়ে তিন বছর পর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দ্বিতীয়বারের মত কম্বোডিয়া যাচ্ছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের আমন্ত্রণে। সফরকালে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নেবেন। কম্বোডিয়ার রাজা নরোদম সিহামনির সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী নম পেন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাকে অভ্যর্থনা জানাবেন কম্বোডিয়ার মিনিস্টার ইন ওয়েটিং এবং কম্বোডিয়ায় বাংলাদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত সাদিয়া মুনা তাসনিম। বিমানবন্দর থেকে মোটর শোভাযাত্রা করে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে হোটেল সোফিটেলে নিয়ে যাওয়া হবে। কম্বোডিয়া সফরে তিনি এ হোটেলেই থাকবেন। শেখ হাসিনা বিকালে নম পেনের স্বাধীনতা স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন এবং গণহত্যা জাদুঘর পরিদর্শন করবেন। কম্বোডিয়ার প্রয়াত রাজা নরোদম সিহানুকের রাজকীয় স্মৃতি মূর্তিতেও শ্রদ্ধা জানাবেন তিনি। সফরের প্রথম দিনই কম্বোডিয়ায় বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূতের দেওয়া এক নৈশভোজে যোগ দেবেন শেখ হাসিনা। কম্বোডিয়ায় বসবাসকারী বাংলাদেশিরাও ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। সোমবার দুই প্রধানমন্ত্রীর একান্ত আলোচনা ও দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর তাদের উপস্থিতিতে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকগুলো সই হওয়ার কথা। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আগেই জানিয়েছেন, বিমান চলাচল ও দুই দেশের শীর্ষ বাণিজ্যিক সংগঠনের মধ্যে সহযোগিতা সংক্রান্ত দুটি চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবার। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কম্বোডিয়ার রাজা নরোদম সিহানুকের সঙ্গে রাজকীয় স্রোতা এবং কম্বোডিয়ান সিনেট প্রেসিডেন্ট সে চুহুম ও ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি প্রেসিডেন্ট হেং সেমারিনের সঙ্গে পৃথকভাবে সাক্ষাৎ করবেন। তিন দিনের সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী ৫ ডিসেম্বর বিকেলে দেশে ফিরবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী গত বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এই সফর দুই দেশের বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ করবে। দুই দেশের মধ্যে বেসামরিক বিমান চলাচল, যৌথ ট্রেড কাউন্সিল গঠন, ২০৩০-এর মধ্যে এসডিজি বাস্তবায়ন সম্পর্কিত সহযোগিতা, শ্রম ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা, পর্যটন খাতে সহযোগিতা এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও সংস্কৃতি সংরক্ষণ, বাণিজ্য সম্প্রসারণ, দুই দেশের বাণিজ্য সংস্থাগুলোর মধ্যে সহযোগিতা এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) এবং কম্বোডিয়ার রয়্যাল একাডেমির (আরএসি) মধ্যে একাডেমি সম্পর্কে বৃদ্ধি সম্পর্কিত চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হতে পারে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ঢাকার কূটনৈতিক অঞ্চলে বারিধারা পার্ক রোড কম্বোডিয়ার প্রয়াত রাজা নরোদম সিহানুক এবং নমপেনের একটি সড়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নামে নামকরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App