×

মুক্তচিন্তা

জগলুল ভাই, এভাবে কাঁদিয়ে চলে গেলেন কেন?

Icon

মুক্তচিন্তা কলাম লেখক

প্রকাশ: ২৮ নভেম্বর ২০১৭, ০৭:৫৩ পিএম

পেশার দিক দিয়ে জগ্লুল ভাই আকাশচুম্বী বরেণ্য ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছিলেন। পারিপার্শ্বিক ও সামাজিক দিক থেকে তিনি ছিলেন ঢাকার একজন বরেণ্য ব্যক্তিত্ব। তার পিতা নাসিরউদ্দিন চৌধূরী ছিলেন যুক্তফ্রন্ট সরকারের আইনমন্ত্রী, আর তার শ্বশুর হাবিবুল্লাহ বাহার চৌধুরীও ছিলেন একজন কিংবদন্তিতুল্য মানুষ, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের বন্ধু এবং পাকিস্তানের একজন ডাকসাইটে মন্ত্রী। যে সব উপাদান থাকলে একজনের ঘাড়ে সৌভাগ্য ভর করে তার সবকিছুই জগ্লুল ভাইয়ের ছিল। একজন হাইকমিশনার কিংবা একজন অ্যাম্বাসেডর হওয়ার সব সম্ভাবনাই তার মাঝে ছিল। এর জন্য যে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা দরকার তার কমতিও ছিল না জগ্লুল ভাইয়ের মধ্যে।

With the magnificent portrait of the father of the nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman behind her,  a weeping Sheikh Hasina expressed her deep gratitude to the leaders & workers of Bangladesh Awami League for unanimously electing her as the President of the oldest political party of the country, that was instrumental for building independent & sovereign Bangladesh.

১৯৮১ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের এক ক্রান্তিকালে ঢাকায় বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে অনুষ্ঠিত কাউন্সিল অধিবেশনে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে সর্বসম্মতিক্রমে দলের সভাপতি নির্বাচিত করার সময় তিনি দিল্লিতে অবস্থান করছিলেন। দলের নেতৃত্ব গ্রহণে সম্মতিদানের পর তিনি প্রথম সাক্ষাৎকারটি দিয়েছিলেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থাকে (বাসস)। তখন বাসস’র দিল্লি প্রতিনিধি ছিলেন জগ্লুল আহ্মেদ চৌধুরী। দিল্লি থেকে তিনি শেখ হাসিনার যে সাক্ষাৎকার পাঠিয়েছিলেন তার ভ‚মিকা দিয়েই লেখাটা শুরু করেছি। আর জগ্লুল ভাই তার লেখাটি শেষ করেছিলেন এই বলে I have nothing to loose further. I have accepted the post of the President of Awami league & agreed to make politics not to go to power or become the Prime Minister. I have bowed to bring smile on the faces of the millions of twilling masses by translating into reality the unfinished task of building Sonar Bangla which was the dream of my father. I am ready to make supreme sacrifices & if need be I shall shed my last drop of blood like my father, mother, brother & victims of  August Tragedy.’

ওই সময় বাসস’র প্রধান সম্পাদক ছিলেন সাংবাদিকতা পেশার বিরাট ব্যক্তিত্ব আবুল হাসেম। সেদিন শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকারের ডেসপাসটি হাতে পেয়ে আমাদের কয়েকজনকে তার রুমে ডাকেন। জগ্লুল ভাইয়ের ডেসপাসটি হাতে নিয়ে হাসেম ভাই বললেন, ‘জগ্লুলের ‘ফ্লাওয়ারি ল্যাঙ্গুয়েজে ভরা এই লেখা পেয়ে আমি বিব্রত’। দেশের তৎকালীন পরিস্থিতি সম্পর্কে আমরা সবাই ওয়াকিবহাল ছিলাম। সপরিবারে জাতির জনককে হত্যা করার পর আত্মপ্রচারণার গিলাফ দিয়ে জাতির আপদমস্তক ঢেকে দেয়া হয়েছিল। ছলচাতুরির কফিনে দাফন করা হয়েছিল ইতিহাস, ঐতিহ্য, আমাদের যা কিছু অহঙ্কার, যা কিছু গর্বের সব কিছু। জাতির জনকসহ সব জাতীয় নেতাদের চরিত্র হননের মাধ্যমে তাদের নির্বাসনে পাঠানোর চেষ্টা চলছিল। অন্যদিকে জাতির খলনায়কদের ইতিহাসে অভিষিক্ত করার পাঁয়তারা করা হয় এবং এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে কিছু ভাড়াটে বুদ্ধিজীবীও নিয়োগ দেয়া হয়।

‘জয়বাংলা’,  ‘বঙ্গবন্ধু’ প্রভৃতি শব্দ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এ সময় জগ্লুল ভাইয়ের দিল্লি থেকে পাঠানো ওই ডেসপাসটি পেয়ে বাসস’র প্রধান বিব্রত হবেন, এটাই স্বাভাবিক। আমাদের কোনো কোনো বন্ধু এমনকি যারা মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে ছিলেন তারাও ‘জাতির জনক’সহ কয়েকটি শব্দ ডেসপাস থেকে বাদ দেয়ার পক্ষে মত দেন। হাসেম ভাই চিন্তাযুক্ত অবস্থায় আমাদের দিকে তাকালেন, দেখলাম তার দু’চোখ জ¦লজ¦ল করছে। অতি শান্ত কণ্ঠে হাসেম ভাই সিদ্ধান্ত দিলেন ‘জগ্লুল ডেসপাসটি যেভাবে পাঠিয়েছে সেভাবেই যাবে’। পরবর্তী সময়ে জগ্লুল ভাই নিজেও বাসস’র প্রধান সম্পাদক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক হয়েছিলেন।

মিলিটারি শাসনের সেই দুঃসহ দিনগুলোতে বাসস থেকে শেখ হাসিনার এমন একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশ করা কেবল হাসেম ভাইয়ের মতো নির্ভীক, নির্লোভ আপসহীন ব্যক্তিদের পক্ষেই সম্ভব ছিল। এর অনেক বছর পর জগ্লুল ভাইয়ের সক্রিয় সহযোগিতায় কলম্বো স্কলারশিপে নয়াদিল্লিস্থ ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউশন অব মাস কমিউনিকেশনে (আইআইএমসি) এজন্সি জার্নালিজমের ওপর একটি ডিপ্লোমা কোর্সে অংশ নিতে যাই। আমার সঙ্গে ছিলেন তৎকালীন এনা’র রিপোর্টার ও বর্তমানে দিল্লিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস মিনিস্টার ফরিদ হোসেন। আমরা দীর্ঘ ১০ মাস জগ্লুল ভাই, তার স্ত্রী তাজিন বাহার চৌধুরী ও পরিবারের অন্যান্যের সঙ্গে কাটিয়েছি। সেই সব দিনের  স্মৃতিকথা লিখতে গেলে একটা মোটাসোটা বই হয়ে যাবে। তাই অতি সংক্ষেপ দুই-একটা কথা বলতে চাই, যার মধ্য দিয়ে জগ্লুল ভাইয়ের হৃদয়ে বহমান বন্ধুবাৎসল্য, মানুষের প্রতি ভালোবাসা, উদার আন্তরিকতা সর্বোপরি তার পেশাগত গুণাবলিও প্রকাশ পাবে। জগ্লুল ভাইয়ের মুখে প্রায়ই জননেত্রী শেখ হাসিনার অনেক গল্প শুনতাম। আমাকে একদিন খুব গোপনে বললেন ‘আগামীকাল অন্তত ঘণ্টা দুয়েক আগে ছুটি নিয়ে ইনস্টিটিউটের মেইন গেটে দাঁড়িয়ে থাকবে’। আমি কোনো প্রশ্ন করিনি। পরদিন বেলা দু’টার দিকে একটি স্কুটার নিয়ে জগ্লুল ভাই গেট থেকে আমাকে তুলে নিয়ে যান। হাতে একটি খাবারের প্যাকেট। এক পর্যায়ে জিজ্ঞাসা করলাম ‘কোথায় যাচ্ছি জগ্লুল ভাই’? বললেন ‘তোমাকে একটা সারপ্রাইজ দেব।’ এক সময় আমাদের বেবিট্যাক্সিটি একটি আবাসিক কলোনিতে ঢুকল। দেখলাম অনেক লোকের ভিড়। তাদের অনেকেই জগ্লুল ভাইকে চেনেন। শুনলাম একজন সিনিয়র সাংবাদিক মারা গেছেন। তার শেষকৃত্যের আয়োজন চলছে। জগ্লুল ভাইয়ের মুখ মলিন হয়ে গেল। তিনি আমাকে একটি সারপ্রাইজ দেবেন বলেছেন, আমি আরো কৌতূহলী হলাম। জগ্লুল ভাই কলোনির পাশের একটি বহুতল ভবন দেখিয়ে বললনে ‘এই বাসায় জননেত্রী শেখ হাসিনা থাকেন। কাল সকালেই তিনি ঢাকা ফিরে যাবেন স্থায়ীভাবে।’ আমরা বাসার সামনে গেলে জগ্লুল ভাই নিরাপত্তাকর্মীদের হাতে তার আইডেন্টিটি কার্ডটি দিলেন। এরপর আমরা দাঁড়িয়ে থাকি, হঠাৎ জানালা দিয়ে আমাদের দেখেন ড. ওয়াজেদ মিয়া। জগ্লুল ভাইকে দেখে তিনি বললেন, ‘হ্যালো জগ্লুল, উই আর প্যাকিং আওয়ার ল্যাগেজেস- প্লিজ কাম লেটার’। আমাদের আর কোনো গত্যন্তর রইল না, ফিরে আসলাম। এভাবে ভগ্নিপতির অসহযোগিতার জন্য নেত্রীর সঙ্গে একটি ঐতিহাসিক সাক্ষাৎকার থেকে বঞ্চিত হলাম। জগ্লুল ভাই বললেন আপা শুনলে খুব কষ্ট পাবেন।

আগেই বলেছি ১০ মাসের স্মৃতিচারণ এই অল্প পরিসরে সম্ভব নয়। শুধু এই একটি ঘটনা, যা প্রতিদিন প্রতিবার সাক্ষাৎ হলেই জগ্লুল ভাই বলতেন। দিল্লিতে প্রতি রোববারই আমরা সকাল সকাল জগ্লুল ভাইয়ের বাসায় চলে আসতাম। আমি, ফরিদ আর পিআইডির মাহবুব। আর একজন ভদ্রলোক ছিলেন গাঙ্গুলি বাবু। বাংলাদেশ ব্যাংকে চাকরি করতেন। তিনি ট্রেনিং প্রোগ্রামে দিল্লি গিয়েছিলেন। হঠাৎ একদিন জগ্লুল ভাইয়ের তিন-চার বছরের ছেলে নাভিদ নিখোঁজ হয়। সবাই সন্ধানে বের হন। আমরা এক একজন এক একদিকে ছুটলাম। প্রায় আধা ঘণ্টা হাঁটার পর আমি দূর থেকে দেখলাম সবুজ জামা পরা নাভিদ প্যান্টের পকেটে হাত ঢুকিয়ে নিঃসঙ্কোচে সামনের দিকে হেঁটে যাচ্ছে। আমি দৌড়ে গিয়ে নাভিদকে বুকের মাঝে জাপটে ধরলাম। আল্লাহর কাছে হাজার শোকর আর তিন/চার মিনিট পরই নাভিদ বড় রাস্তায় গিয়ে পড়ত। তখন নাভিদকে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর হতো। তাকে কোলে নিয়ে বাসায় যখন ফিরলাম তখন সবার সে কী আনন্দ! খুশিতে ভাবী কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন। এরপর জগ্লুল ভাইয়ের বাসায় গেলে নাভিদকে দেখে তিনি  জিজ্ঞাসা করতেন, ‘আজিজ চাচ্চু তোমাকে কি করেছিল?’ আধো আধো বোলে নাভিদ বলত, ‘আমি দিল্লিতে হারিয়ে গেলে চাচ্চু আমাকে খুঁজে পেয়েছিল’।

পেশার দিক দিয়ে জগ্লুল ভাই আকাশচুম্বী বরেণ্য ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছিলেন। পারিপার্শ্বিক ও সামাজিক দিক থেকে তিনি ছিলেন ঢাকার একজন বরেণ্য ব্যক্তিত্ব। অনেক মন্ত্রী, আমলা ছিলেন জগ্লুল ভাইয়ের বন্ধু-সুহৃদ। তার পিতা নাসিরউদ্দিন চৌধূরী ছিলেন যুক্তফ্রন্ট সরকারের আইনমন্ত্রী, আর তার শ্বশুর হাবিবুল্লাহ বাহার চৌধুরীও ছিলেন একজন কিংবদন্তিতুল্য মানুষ, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের বন্ধু এবং পাকিস্তানের একজন ডাকসাইটে মন্ত্রী। যে সব উপাদান থাকলে একজনের ঘাড়ে সৌভাগ্য ভর করে তার সবকিছুই জগ্লুল ভাইয়ের ছিল। একজন হাইকমিশনার কিংবা একজন অ্যাম্বাসেডর হওয়ার সব সম্ভাবনাই তার মাঝে ছিল। এর জন্য যে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা দরকার তার কমতিও ছিল না জগ্লুল ভাইয়ের মধ্যে। একটি ঘটনার কথা বলি। ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ‘বজলুর রহমান স্মৃতি সংসদ’। উদ্দেশ্য বজলুর রহমান পদক বিতরণ। প্রধান অতিথি ছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। এই পদক বিতরণের জন্য গঠিত জুরি বোর্ডের সদস্য ছিলেন জগ্লুল আহ্মেদ চৌধুরী। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে জুরি বোর্ডের সদস্যদের পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। জগ্লুল ভাইয়ের নাম ঘোষণা করলে প্রধানমন্ত্রী বেশ উৎসাহ নিয়ে তার দিকে তাকালেন। অনুষ্ঠান শেষে প্রধানমন্ত্রী অডিটরিয়াম ত্যাগ করলে জগ্লুল ভাইসহ আমরা কয়েকজন আলাপচারিতায় ব্যস্ত হয়ে পড়ি। হঠাৎ একজন এসএসএফ অফিসার এসে সালাম দিয়ে জগ্লুল ভাইকে বললেন ‘স্যার, আপনাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সালাম জানিয়েছেন’। জগ্লুল ভাই বিস্মিত হয়ে বললেন, ‘আপনি মনে হয় ভুল করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হয়তো অন্য কারো কথা বলেছেন।’ তখন এসএসএফ কর্মকর্তা জোর দিয়ে বলেন, ‘না স্যার, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনাকেই ডেকেছেন’। এরপর জগ্লুল ভাই তাকে অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রীর গাড়ির কাছে যান। গাড়ির ভেতর থেকেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহাস্যে জগ্লুল ভাইকে জিজ্ঞাসা করেন ‘কি খবর, কোনো যোগাযোগ নেই। বন্ধুদের ভুলে যাওয়া ঠিক নয়।’ জগ্লুল ভাই অজস্র কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আমাদের কাছে ফিরে আসেন। এবার জগ্লুল ভাইয়ের  করুণ মৃত্যুর কথায় আসি। মৃত্যু মানেই বেদনাদায়ক, মৃত্যু মানে শোক, কান্না। তবুও মানুষকে এই পৃথিবীর মায়া ছাড়তে হয়। কিন্তু কোনো কোনো অস্বাভাবিক মৃত্যু মানুষকে অনেক বেশি করে আলোড়িত করে, স্তম্ভিত করে। ঢাকা ক্লাব থেকে কারওয়ান বাজারে অবস্থিত একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের টকশোতে জগ্লুল ভাইয়ের অংশ নেয়ার কথা ছিল। টিভি কর্তৃপক্ষ নিয়মমাফিক তার জন্য গাড়ি পাঠানোর কথা বললে জগ্লুল ভাই বলেন- ‘দূর, গাড়ির প্রয়োজন নেই। রমনা থেকে কারওয়ান বাজার ৫ মিনিটেরও পথ নয়। আমি একটা বাসে চড়ে চলে আসি। তোমরা আমাকে ফেরার পথে বাসায় পৌঁছে দিও।’ কারওয়ান বাজার পৌঁছলে বাস কন্ডাক্টর তার স্বভাব অনুযায়ী চলন্ত বাস থেকে ধাক্কা মেরে নামিয়ে দিলে জগ্লুল ভাই তাল সামাল দিতে না পেরে বাসের সাইডে বাড়ি খেয়ে গুরুতর আহত হন। কয়েকজন পথচারী তাকে ধরাধরি করে নিকটের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেখানে জখমপ্রাপ্ত রোগীর চিকিৎসা হয় না বলায় তাকে অন্য একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ইতোমধ্যে তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয় এবং কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। জগ্লুল ভাইয়ের সহকর্মীরা, সুশীল সমাজ এবং আত্মীয়-স্বজন এই মর্মান্তিক দুঃসংবাদ জানার পর বেদনায় ভেঙে পড়েন। তাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটে। কিন্তু নিয়তির কাছে পরাজয় স্বীকার করা ছাড়া মানুষের অন্য কোনো উপায় থাকে না। আজো জগ্লুল ভাইয়ের কথা মনে পড়লে হৃদয়-মন কেঁদে ওঠে। আর চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করে ‘জগ্লুল ভাই আপনি এমন করে আমাদের কাঁদিয়ে গেলেন কেন?’

আজিজুল ইসলাম ভুঁইয়া : সম্পাদক, বাংলাদেশের খবর ও বাংলাদেশ নিউজ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App