×

মুক্তচিন্তা

উৎপাদক ও রপ্তানিকারকের দেশে

Icon

মুক্তচিন্তা কলাম লেখক

প্রকাশ: ২৫ নভেম্বর ২০১৭, ০৭:০৬ পিএম

ল্যাপটপের কোনো ক্লোন দেশে তৈরি হচ্ছিল না। তবে ব্যতিক্রম হচ্ছে সরকারের টেলিফোন শিল্প সংস্থার দোয়েল ল্যাপটপ। দুর্ভাগ্যজনকভাবে দোয়েল তার প্রথম চালানে বদনাম কামাই করে। পণ্যের গুণগত মান নিয়ে ব্যাপক প্রশ্ন ওঠে। এর বাইরেও দোয়েলের ব্যবস্থাপনা নিয়ে অসংখ্য প্রশ্ন দেখা দেয়।

একদিন প্রতিদিন

এক. খবরটি সবার চোখে না-ও পড়ে থাকতে পারে। এই সপ্তাহে বা সামনের সপ্তাহে বা ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মাঝেই বাংলাদেশে উৎপাদিত স্মার্টফোন বাজারে আসছে। একটি মডেলের পর অন্তত আরো দুটি মডেল বাজারে ছাড়া হবে। এরপর এই প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশে তৈরি ফিচার ফোন এবং কম্পিউটারও বাজারে ছাড়বে। আমরা এখন সেই মাইলফলকের যুগে পা রেখেছি।

আমদানি, উৎপাদন ও রপ্তানির পুরো বিষয়টি শিল্প ও বাণিজ্যকেন্দ্রিক। প্রধানত কৃষিভিত্তিক দেশ হওয়ার ফলে আমাদের শিল্পায়ন ছিলই না বলা যায়। কৃষিপণ্যের আড়তদারির বাইরে আমরা বাণিজ্যও বুঝতাম না। শিল্প কলকারখানা তো আমাদের ছিলই না। কৃষিপণ্য উৎপাদন ও বিদেশি পণ্যের ট্রেডিং ছিল আমাদের মূল ব্যবসা। কাপড় কাচা সাবান থেকে শুরু করে সব পণ্য আমরা আমদানিই করেছি। কৃষির পরে দুনিয়াতে শিল্প বিপ্লবের সূচনা, বিকাশ ও তিনটি স্তর পার হলো। এরই মাঝে আমরা পৌঁছে গেছি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সময়কালে। একে দুনিয়াবাসী ডিজিটাল বিপ্লবও বলে থাকে। মনে করা হয় নতুনতম প্রযুক্তি এই শিল্প বিপ্লবের মূল চালিকাশক্তি হিসেবে গণ্য হবে। যে স্বপ্ন নিয়ে এই দেশটাকে আমরা স্বাধীন করেছি সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হলে আমাদের যেমন করে কেবল কৃষিপণ্যে সীমিত থাকলে চলবে না তেমনি আমদানিকারক থাকলেও চলবে না। এখন আমাদের সময় হয়েছে আমদানিকারক থেকে উৎপাদক ও রপ্তানিকারকের দেশে পরিণত হওয়ার।

গত কয়েক বছর ধরেই বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম বলে আসছে যে, শিল্প বিপ্লবের চতুর্থ স্তরটা একদমই ভিন্ন মাত্রা নিয়ে এসেছে। তারা মনে করেন যে, ১৭৮৪ সালে আবিষ্কৃত বাস্পীয় ইঞ্জিন, ১৮৭০ সালের বিদ্যুৎ, ১৯৬৯ সালের ইন্টারনেট ও ১৯৯১ সালের ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের ওপর ভর করে শিল্প বিপ্লবের চারটি স্তর বিকশিত হয়েছে। তাদের ধারণা মতে, মানুষ তার হাতে যখনই যে হাতিয়ার বা প্রযুক্তি পেয়েছে তার ওপর ভর করেই শিল্প বিপ্লবের চাকাকে সামনে নিচ্ছে।  The First Industrial Revolution used water and steam power to mechanize production. The Second used electric power to create mass production. The Third used electronics and information technology to automate production. Now a Fourth Industrial Revolution is building on the Third, the digital revolution that has been occurring since the middle of the last century. It is characterized by a fusion of technologies that is blurring the lines between the physical, digital, and biological spheres.

There are three reasons why today’s transformations represent not merely a prolongation of the Third Industrial Revolution but rather the arrival of a Fourth and distinct one: velocity, scope, and systems impact. The speed of current breakthroughs has no historical precedent. When compared with previous industrial revolutions, the Fourth is evolving at an exponential rather than a linear pace. Moreover, it is disrupting almost every industry in every country. And the breadth and depth of these changes herald the transformation of entire systems of production, management, and governance.”

(https://www.weforum.org/agenda/2016/01/the-fourth-industrial-revolution-what-it-means-and-how-to-respond)

কিন্তু আমাদের অংশগ্রহণ এই চার স্তরের শিল্প বিপ্লবের কোথাও কি আছে? প্রথম-দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্তরে তো আমরা নেই। ১৯৬৯ সালের ইন্টারনেট বা ১৯৯১ সালে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের স্তরটাতে আমরা নিজেরা সরাসরি যুক্ত হই ২০০৬ সালে যখন আমরা প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলে যুক্ত হই। এর আগে ইন্টারনেট-ই-মেইল এসব শব্দের সঙ্গে আমাদের পরিচয় থাকলেও হাতে গোনা কিছু মানুষ ছাড়া আর কারো মাথায় এসব বিষয় প্রবেশ করেনি। বরং একে তথ্যপ্রযুক্তির বিষয় হিসেবে আলাদা করে দেখা হতো। ২০০৮ সালে আমাদের দেশে মাত্র ১২ লাখ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ছিল। ইন্টারনেটনির্ভর কোনো শিল্পায়নের সঙ্গে আমাদের কোনো ধরনের সম্পৃক্ততাই ছিল না। ফলে আমরা শিল্প কলকারখানার উৎপাদকের জায়গাতে যেতেই পারছিলাম না।

২০১৭ সালে ইন্টারনেটের অবস্থাটি অবশ্য আশাব্যঞ্জক। প্রায় সাড়ে সাত কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী আমাদের। তবে ইন্টারনেটকে শিল্প-কলকারখানা-শিক্ষা ও সরকারের জন্য ব্যবহারের গতিটা পশ্চিমা বা শিল্পোন্নত দেশের চাইতে বহুগুণ কম। দেশটাকে ডিজিটাল করার ক্ষেত্রে আমাদের অগ্রগতি অভাবনীয়। কিন্তু আমাদের শুরুটা দেরিতে ছিল বলে অগ্রগতির সূচকে আমরা উন্নত দেশগুলোর চাইতে পিছিয়ে। পশ্চাৎপদ শিক্ষা, শিল্পায়নের অভাব, ঔপনিবেশিক শাসন ১৯৭১ সালে দেশটি স্বাধীন হওয়ার পর এই দেশটাতে যত শিল্প কলকারখানা ছিল তার সবই জাতীয়করণ করা হয়েছিল। যার অন্যতম কারণ ছিল যে, সেইসব কারখানার মালিকরা কেউ বাংলাদেশের অধিবাসী ছিল না। সেক্টর কর্পোরেশনগুলোর জন্ম হয়েছিল সে জন্য। সেই সময়ে আমরা কাপড় কাচার সাবানও নিজেরা বানাতে পারতাম না। তবে বিগত দিনগুলোতে ধীরে ধীরে আমরা শিল্প কলকারখানার দিকে এগিয়ে আসছি। আমাদের নিত্যপণ্যের উৎপাদনে আমরা বেশ অগ্রসর। ওষুধ, পোশাক রপ্তানিসহ দেশের নিত্যপণ্যের অনেক ক্ষেত্রে আমাদের অর্জন প্রশংসনীয়।

কম্পিউটার বিষয়টা আরো ভিন্ন মাত্রার। সেই ১৯৬৪ সালে বাংলাদেশে কম্পিউটার আসে বাইরে থেকে। সেই থেকেই কম্পিউটারের সব কিছু আমরা আমদানিই করে আসছি। অন্যদিকে সুইডেনের ভলবো কোম্পানির জন্য আমরা সফটওয়্যার বানিয়ে দিলেও নিজের দেশের সফটওয়্যারের বাজারটা প্রায় সব ক্ষেত্রেই বিদেশিদের হাতে চলে গেছে। বিশেষ করে সরকারের বড় বড় কাজ ও ডিজিটাল রূপান্তরের কাজগুলো আমরা নিজেরা করার সুযোগ পাই না। সফটওয়্যারের জন্য ৫ বছর ধরে ১০ বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা ও ১ বিলিয়ন ডলার নগদ থাকার শর্ত জুড়ে দেয়া হয়। যন্ত্রপাতি কেনার সময় বলা হয়, আন্তর্জাতিকভাবে সুখ্যাত ব্র্যান্ড হতে হবে। উভয় ক্ষেত্রেই বাংলাদেশি কোনো প্রতিষ্ঠান টেন্ডারে অংশ নিতে পারে না। এর বাইরে ছিল শুল্ক জটিলতা। এই ধারাবাহিকতায় ব্যতিক্রম ঘটান দেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা।

‘আমরা বাংলাদেশে কম্পিউটার বানাবো এবং সেই কম্পিউটার বিদেশে রপ্তানি করবো।’ স্বপ্ন, ইচ্ছা, নির্দেশনা বা আদেশ যাই বলি না কেন, এটি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বাংলার স্বর্ণকন্যা শেখ হাসিনার বক্তব্য। ৬ আগস্ট ২০১৫ ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের বৈঠকে তিনি এই ঘোষণা প্রদান করেন। এমন স্বপ্নটা তিনি ২০১১ সালেও দেখেছিলেন, যখন তিনি বাংলাদেশের নিজস্ব পণ্য দোয়েল ল্যাপটপের উদ্বোধন করেন। পরনির্ভরশীল একটি দেশকে স্বনির্ভর করার এমন অদম্য ইচ্ছা বাংলাদেশের আর একজন মাত্র সরকারপ্রধানের ছিল। তিনি তারই পিতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। দুর্ভাগ্যক্রমে বঙ্গবন্ধু সেই পরিমাণ সময় পাননি যাতে তিনি বাংলাদেশকে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশে পরিণত করতে পারেন। তবে আমাদের সৌভাগ্য যে, বঙ্গবন্ধুকে হারানোর একুশ বছর পর আমাদের সোনার মেয়ে শেখ হাসিনা সরকার পরিচালনার দায়িত্ব পালন করা শুরু করেন। শুধু কম্পিউটার বানানোর স্বপ্নের কথা কেন বলব, তথ্যপ্রযুক্তির সব খাতে সমৃদ্ধি বা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলা, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন কিংবা নিজের টাকায় পদ্মা সেতু বানানোর যেসব দুঃসাহসী কাজ তিনি করে চলেছেন তাতে তার দেখানো পথেই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রচিত হবে- এটি বলতে আমার নিজের কোনো দ্বিধা নেই। দেশবাসীরও নেই।

২০১৫ সালের ৬ আগস্ট অনুষ্ঠিত পুনর্গঠন করা ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের দ্বিতীয় সভায় তিনি কম্পিউটার বানানোর ও রপ্তানির কথা বলেন। যদিও সভার কার্যবিবরণীতে এই প্রসঙ্গ নেই। তবুও যেহেতু আমি সেই সভাতে উপস্থিত ছিলাম, সেহেতু এর প্রেক্ষিতটির বিবরণ আমি দিতে পারি। সেদিন অনেক সময় ধরে তথ্যপ্রযুক্তির সামগ্রিক বিষয় নিয়ে প্রাণবন্ত আলোচনা হচ্ছিল। চমৎকার এজেন্ডা ছিল সভার। এজেন্ডার বিপরীতে প্রধানমন্ত্রী বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্তও দিচ্ছিলেন। সভা প্রায় শেষ স্তরে ছিল। আমি তার অনুমতি নিয়ে বিবিধ আলোচ্যসূচিতে একটি বিষয়ের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করার সুযোগ পাই। আমি তাকে জানাই যে, আমরা শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের কথা বলছি। প্রধানমন্ত্রী আপনি নিজে প্রত্যাশা করেন যে, আমাদের সব ছাত্রছাত্রী ল্যাপটপ হাতে নিয়ে স্কুলে যাবে। আপনি যদি সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপায়িত করতে চান তবে এখনকার পরিস্থিতিতে আপনাকে কমপক্ষে ৪ কোটি ডিজিটাল ডিভাইস আমদানি করতে হবে। প্রতিটি ল্যাপটপের দাম যদি ৩০ হাজার টাকা করেও হিসাব করেন তবে একটু ভেবে দেখুন এর ফলে আমরা কী পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা এই খাতে বিদেশে পাঠাবো। আমাদের উচিত আমদানিকারক থেকে উৎপাদক হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করা। আমার প্রস্তাবনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী কোনো মন্তব্য করার আগেই অনেকে বললেন, বাইরে থেকে আমদানি করলে কম্পিউটারের দাম কম পড়ে। আমরা দোয়েল করে ব্যর্থ হয়েছি সেটিও অনেকে বললেন। আমাদের দক্ষতা নেই। মান নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নেই। প্রধানমন্ত্রী সবাইকে উজ্জীবিত করে তখন বলেন যে, আমরা কম্পিউটার বানাবো এবং রপ্তানিও করবো। তিনি সেই দিনই টেশিসের দায়িত্ব আমার হাতে দেয়ার নির্দেশও দিলেন। ঘটনাচক্রে বিষয়টি সেই সভার মিনিটস-এ আসেনি। তবে প্রধানমন্ত্রীর এই স্বপ্নটি আমার মতো আরো অনেকের কাছে একটি প্রয়োজনীয় ও বাস্তবিক উদ্যোগ বলে মনে হয়।

আশির দশক থেকে এখন অবধি বাংলাদেশি ব্র্যান্ডের কিছু কম্পিউটারের খবর আমরা জানি। কয়েকটির কথা আমি স্মরণ করতে পারি। বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সাবেক মহাসচিব মুনিম হোসেন রানার এক্সেস পিসি, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সাবেক সভাপতি জনাব সবুর খানের ডেফোডিল পিসি, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সদ্য সাবেক সভাপতি জনাব এ এইচ এম মাহফুজুল আরিফের সিএসএম, ফ্লোরা লিমিটেডের ফ্লোরা পিসি ও আনন্দ কম্পিউটার্সের আনন্দ পিসিসহ অনেকেই নানা নামে ক্লোন পিসি বাজারজাত করেছেন। বেসরকারি ক্রেতাদের ডেস্কটপ পিসির বাজারটা প্রধানত ক্লোন পিসির দখলে। যদিও আমাদের নিজস্ব একটি ব্র্যান্ড গড়ে ওঠেনি তথাপি ডেস্কটপ পিসির জগতে আমাদের নিজেদের হাতে সংযোজন করা পিসির দাপটই প্রধান। কেবলমাত্র সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো গুণগত মানের নামে ব্র্যান্ড পিসি কিনে থাকে। এই হীনমন্যতার জন্য কোনো দেশীয় ব্র্যান্ড বিকশিত হতে পারেনি। তবে বেসরকারি খাতে ব্র্যান্ড ডেস্কটপ পিসি কেউ কিনেই না। ল্যাপটপ যখন জনপ্রিয় হতে থাকে তখন ডেস্কটপ পিসির এই বাজারটি সংকুচিত হতে থাকে। ল্যাপটপের কোনো ক্লোন দেশে তৈরি হচ্ছিল না। তবে ব্যতিক্রম হচ্ছে সরকারের টেলিফোন শিল্প সংস্থার দোয়েল ল্যাপটপ। দুর্ভাগ্যজনকভাবে দোয়েল তার প্রথম চালানে বদনাম কামাই করে। পণ্যের গুণগত মান নিয়ে ব্যাপক প্রশ্ন ওঠে। এর বাইরেও দোয়েলের ব্যবস্থাপনা নিয়ে অসংখ্য প্রশ্ন দেখা দেয়। কিন্তু পরবর্তীতে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো দোয়েল ল্যাপটপ কিনে অনেক ক্ষেত্রে ব্র্যান্ড ল্যাপটপের চাইতেও ভালোভাবে ব্যবহার করতে সক্ষম হয়। কিন্তু সেই যে একবার বদনাম কামাই করা হলো, তার ফলে দোয়েল বেসরকারি ক্রেতাদের কাছে কোনো আকর্ষণই তৈরি করতে পারেনি। অন্যদিকে সরকারি কেনাকাটায় প্রথমেই বলা হয়ে থাকে যে, আন্তর্জাতিকভাবে বিখ্যাত ব্র্যান্ড হতে হবে। দোয়েল সেই সীমা অতিক্রম করতে পারে না, কারণ সেটি আন্তর্জাতিক খ্যাতি জোগাড় করতে পারেনি। বাজারজাতকরণে এই প্রতিষ্ঠানটির চরম দুর্বলতাও এ জন্য চরমভাবে দায়ী। এই বিষয়টি আমরা অন্য কোনো সময়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করতে পারি।

ঢাকা, ২৪ নভেম্বর ১৭ মোস্তাফা জব্বার : তথ্যপ্রযুক্তিবিদ ও কলামিস্ট। [email protected]

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App