চলতি বছরের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও ইবতেদায়ি (পিইসি) পরীক্ষা রবিবার (১৯ নভেম্বর) থেকে শুরু হচ্ছে। সপ্তাহের প্রথম দিন বেলা ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে ইংরেজি বিষয়ের পরীক্ষা। দেশের ৭ হাজার ২৬৭টি এবং বিদেশের ১২টি কেন্দ্রে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা চলবে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূ্ত্রে জানা গেছে, এ বছর প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ৩০ লাখ ৯৬ হাজার ৭৫ জন। এর মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীতে ২৮ লাখ চার হাজার ৫০৯ এবং ইবতেদায়িতে দুই লাখ ৯১ হাজার ৫৬৬ জন। গত বছর অংশ নিয়েছিল ৩২ লাখ ৩০ হাজার ২৮৮ জন। এ হিসেবে এবার পরীক্ষার্থী কমেছে ১ লাখ ৩৪ হাজার ২১৩ জন। দেশের ভেতরে ৭ হাজার ২৬৭টি এবং দেশের বাইরে ১২টি কেন্দ্রে এই পরীক্ষার্থীরা অংশ নেবে। প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নেওয়া পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্র ১২ লাখ ৯৯ হাজার ৯৮৫ জন এবং ছাত্রী ১৫ লাখ চার হাজার ৫২৪ জন। এবার ছাত্রীর সংখ্যা ছাত্রের চেয়ে ২ লাখ চার হাজার ৫৩৯ জন বেশি। এ ছাড়া ইবতেদায়ির পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৫৩ হাজার ১৫২ এবং ছাত্রী ১ লাখ ৩৮ হাজার ৪১৪ জন। এ পরীক্ষাতেও পরীক্ষার্থী কমেছে ৮ হাজার ১৪৯ জন। এবার প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ২ হাজার ৯৫৩ জন এবং ইবতেদায়িতে ৩৭৯ জন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন পরীক্ষার্থী রয়েছে। তারা নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে ২০ মিনিট বেশি পাবে। এদিকে প্রশ্নপত্র ফাঁসরোধে এবার থেকে পরীক্ষাকেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরীক্ষা শুরুর পাঁচ মিনিট আগে প্রশ্নপত্র সরবরাহ করবে এবং এ সময় কোনো পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল ব্যবহার করা যাবে না বলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়। এ ব্যাপারে গত বুধবার সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে গত বছর থেকে দেশের ৬৪ জেলাকে বিশেষ আটটি অঞ্চলে ভাগ করে আট সেট প্রশ্ন ছাপিয়ে প্রাথমিক ও ইবেতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা নিচ্ছে সরকার। পরীক্ষার দায়িত্ব পালনে অবহেলা বা অনিয়মের ক্ষেত্রে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করা হবে।