×

ফিচার

থিয়েটার অলিম্পিকে বাংলাদেশের নাটক

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯ নভেম্বর ২০১৭, ০১:১৯ পিএম

ভারতের ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামার (এনএসডি) আয়োজনে ‘অষ্টম থিয়েটার অলিম্পিক’ অনুষ্ঠিত হবে। ২০১৮ সালের ১৭ ফেব্রæয়ারি থেকে ৮ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ৫০ দিন ধরে ভারতের বিভিন্ন শহরে চলবে বিশ্ব থিয়েটারের এই আন্তর্জাতিক আসর। এবারের থিয়েটার অলিম্পিকে মঞ্চস্থ হবে পৃথিবীর সেরা পাঁচশটি নাটক। ভারতের বিভিন্ন শহরে নাটকগুলো প্রদর্শিত হবে। এছাড়াও থাকছে ২৭টি অ্যাম্বিয়েন্স পারফরম্যান্স। ১৯৯৩ সালে শুরু হওয়া থিয়েটার অলিম্পিকে প্রতিবারই একটি মূল ভাবনা নির্বাচিত করা হয়। প্রথম আসরে মূল ভাবনা ছিল ‘ট্র্যাজেডি’। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ‘অষ্টম থিয়েটার অলিম্পিক’র মূল ভাবনা ‘ফ্ল্যাগ অব ফ্রেন্ডশিপ’। থিয়েটার অলিম্পিকে প্রথমবার অংশ নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে আয়োজকদের কাছ থেকে আমন্ত্রণ পেয়েছে বাংলাদেশের ৭টি নাটক। এর মধ্যে রয়েছে থিয়েটার আর্ট ইউনিটের নাটক মর্ষকাম, থিয়েটারের (নাটক সরণি) বারামখানা, ফেইমের ক্যালিগুলা, বিবর্তনের (যশোর) মাতব্রিং, সুবচন নাট্য সংসদের মহাজনের নাও, প্রাচ্যনাটের কিনু কাহারের থেটার, প্রাঙ্গণেমোরের ঈর্ষা। থিয়েটারের অলিম্পিকে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করতে যাচ্ছে যে নাটকগুলো; তার কিছু তথ্য নিয়েই সাজানো হয়েছে এই প্রতিবেদন। বারামখানা সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের মনের মানুষ উপন্যাস অবলম্বনে থিয়েটার (নাটক সরণি) ২০১০ সালে মঞ্চে নিয়ে আসে নাটক ‘বারামখানা’। নাট্যরূপ দিয়েছেন পান্থ শাহরিয়ার, নির্দেশনা দিয়েছেন ত্রপা মজুমদার। লালনের জীবন, সাধনা ও সমসাময়িক লালনচর্চাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে এই নাটকের কাহিনী। মর্ষকাম চলমান বৈশ্বিক রাজনীতির সবচেয়ে ক্ষমতাধর পরাশক্তির পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে লেখা এই নাটক মর্ষকাম। আনিকা মাহিনের লেখা এই নাটকটি ২০১৬ সালের ১ নভেম্বর মঞ্চে আনে থিয়েটার আর্ট ইউনিট। দলটির ১৯তম প্রযোজনা এটি। এই নাটকের নির্দেশনা দিয়েছেন রোকেয়া রফিক বেবী। ক্যালিগুলা চট্টগ্রামের ফেইম নাট্যকলা বিভাগ ২০১০ সালে মঞ্চে আনে ‘ক্যালিগুলা’। নাটকটির নির্মাণ ভাবনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন অসীম দাশ। ফেইম নাট্যকলা বিভাগের ২২তম প্রযোজনা এটি। নাটকের গল্পে দেখা যায়, অসম্ভবকে সম্ভব করার আকাক্সক্ষায় উন্মত্ত স¤্রাট ক্যালিগুলা। তার কাছে তুচ্ছ সাধারণের প্রাণ। সমতার পৃথিবী গড়ে তোলার রক্তাক্ত প্রয়াস অবশেষে রূপ নেয় করুণ পরিণতিতে। মাতব্রিং গারো সম্প্রদায়ের ওপর ভিত্তি করে সাধনা আহমেদের লেখা নাটক ‘মাতব্রিং’ মঞ্চে আসে ২০১৬ সালে। বিবর্তন (যশোর) প্রযোজিত এই নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন ইউসুফ হাসান অর্ক। ব্যক্তিক প্রেম সামাজিক ও অর্থনৈতিক আগ্রাসনে কীভাবে ক্ষয়ে যায়, তার মর্মস্পর্শী বিবরণের সঙ্গে ভ‚মিদস্যুদের দখলের ফলে ওই জনপদে যে সামাজিক ও অর্থনৈতিক সংকট দেখা দেয়, তা দেখিয়েছেন নাট্যকার। মহাজনের নাও মরমী সাধক শাহ আবদুল করিমের জীবন ও দর্শননির্ভর নাটক মহাজনের নাও। সুবচন নাট্য সংসদের আলোচিত এই নাটকটি ২০১০ সালের ১৮ জুন প্রথম মঞ্চে আসে। নাটকটি লিখেছেন শাকুর মজিদ ও নির্দেশনা দিয়েছেন সুদীপ চক্রবর্তী। এটি সুবচন নাট্য সংসদের ৩৩তম প্রযোজনা। বাংলাদেশ, ভারত, কোরিয়া, লন্ডনে নাটকটি মঞ্চায়ন প্রশংসিত হয়েছে। এরই মধ্যে শতাধিক প্রদর্শনী হয়েছে এই নাটকটির। কিনু কাহারের থেটার প্রাচ্যনাট প্রযোজিত ‘কিনু কাহারের থেটার’ বাংলাদেশের দর্শকের মাঝে খুবই প্রশংসিত হয়েছে। ২০১৪ সালে নাটকটির প্রথম মঞ্চায়ন হয়। নিয়মিতভাবে দেশের বিভিন্ন মঞ্চে নাটকটির প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মনোজ মিত্রের লেখা এ নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন কাজী তৌফিকুল ইসলাম ইমন। ঈর্ষা সৈয়দ শামসুল হক রচিত কাব্যনাটক ‘ঈর্ষা’। এই নাটকটি প্রাঙ্গণেমোর মঞ্চে নিয়ে আসে ২০১৩ সালে। নির্দেশনা দিয়েছেন অনন্ত হিরা। অভিনয় করছেন নূনা আফরোজ, রামিজ রাজু ও অনন্ত হিরা। মঞ্চ পরিকল্পনা করেছেন শাহীনুর রহমান, আলো জিল্লুর রহমান, সঙ্গীত রামিজ রাজু ও পোশাক পরিকল্পনা করেছেন নূনা আফরোজ। নাটকটিতে সংলাপ মাত্র ৭টি ও চরিত্র ৩টি। নাটকটির সবচেয়ে বড় সংলাপের ব্যাপ্তি ৩৬ মিনিট আর সবচেয়ে ছোট সংলাপটি ১৬ মিনিটের।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App