×

পুরনো খবর

ছবির শুরু আছে শেষ নেই

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯ নভেম্বর ২০১৭, ১২:৫২ পিএম

আটকে আছে কোটি কোটি টাকার পুঁজি। শুরু হয়েও ছবি শেষ হচ্ছে না। ক্যানবন্দি হয়ে ধুঁকছে হাজার হাজার ফুট রিল। ডিজিটাল হওয়ার পর মুহুর্মুহু নতুন ছবির ঘোষণা। মহরতের স্থিরচিত্র ব্যাঙ্গের হাসি হাসছে। সম্পাদনা কক্ষে জমছে ফুটেজের পাহাড়। অসমাপ্ত ছবির মিছিল কেবলই দীর্ঘ হচ্ছে। শত ছবির থমকে যাওয়ার গল্প বলছেন মাহফুজুর রহমান
শাবানার স্বপ্নের ছবি ‘বেগম রোকেয়া’। নায়িকার নিজের ব্যানারের ছবি। ঘটা করে মহরত করেছিলেন সুভাষ দত্ত। সেও প্রায় বছর কুড়ি পার হলো। শাবানা চলচ্চিত্র ছাড়লেন। সুভাষ দত্ত চলে গেলেন পরপারে। ‘বেগম রোকেয়া’ কাজীর গরু হয়ে রয়ে গেলেন কিতাবে। এমন বহু ছবি শুরু হয়। কিন্তু শেষ হয় না। একটা সময় কোনো ছবি, সাধারণ হোক কিংবা আলোচিত হোক, শুরু হলে তার শেষ না হওয়ার ঘটনা মর্মবেদনার কারণ হতো। কারণ তখন এরকম ঘটনা ঘটতো কালেভদ্রে। আজকাল ছবি শুরু হয়ে শেষ না হওয়ার ঘটনা ডালভাত হয়ে গেছে। এখন কোনো ছবি শুরু থেকেই বরং তৈরি করে বিভ্রান্তিÑ এর শেষ হবে তো! অসংখ্য ছবি এফডিসিতে, রেকডির্ং স্টুডিওতে, রেস্টুরেন্টে জমকালো মহরত করে এগোতে পারেনি শুটিং পর্যন্ত। অজস্র ছবি কয়েক শিফট শুটিং করে যেতে পারেনি এডিটিং টেবিল পর্যন্ত। আর কিছু ছবি স্রেফ ঘোষণায় সীমাবদ্ধ। পত্রিকার পাতায় মোটা মোটা হরফে নতুন ছবির চোখ ধাঁধানো খবর। তারপর দিন যায়, মাস যায়, ছবির ক্যামেরা চালু হয় না। চলচ্চিত্রে পুঁজির প্রবাহ এখনো বইলেও মূলত পুঁজি সংকটে অসমাপ্ত থেকে যাচ্ছে বহু ছবি। এক লট, দুই লট শুটিং করে কোনো প্রযোজকের ট্যাকের জোর ফুরিয়ে যাচ্ছে। কোনো প্রযোজক মহরত করেই পুঁজির শঙ্কায় ভাগছেন চলচ্চিত্রের আঙিনা ছেড়ে। অঙ্কুরেই মারা যাচ্ছে শত শত ছবি। কোনো ছবির গল্প লেখা হলেও কখনো মহরত দেখার ভাগ্য হয় না তার। কোনো ছবির গান হয় কিংবা অ্যালবাম হয়, হয় না শুটিং। কোনো ছবি আউটডোরে বিশাল ইউনিট নিয়ে শুটিং করে ঢাকায় পৌঁছেই চিরদিনের জন্য খতম। এসব ছবির জন্য খরচ হচ্ছে পত্রিকার দিস্তার পর দিস্তা। শিল্পীরা, টেকনিশিয়ানরা পাচ্ছেন মোটা অঙ্কের সাইনিং মানি। কিন্তু প্রযোজকের অনিচ্ছায়-অনাগ্রহে ভাটা পড়ছে কাজে। মিলছে না শিল্পীদের শিডিউল। অথবা প্রযোজক কুলিয়ে উঠতে পারছেন না ব্যয়ের বহর। কোথাও আবার প্রযোজকের প্রলোভনের ফাঁদে পা দেয়ার গল্প। দিনশেষে মোদ্দা দাঁড়াচ্ছে এইÑ প্রযোজক আসছেন শত শত, আসছে কোটি কোটি টাকা পুঁজি, সেই প্রযোজকরা পুঁজিসমেত যাচ্ছেন হারিয়ে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এফডিসিতে নির্মাতাদের ৫ কোটি টাকার উপরে বকেয়া আছে। নির্মাতারা ছবি শেষ করে মুক্তি দিচ্ছেন না। সেলুলয়েড যুগ থেকে ডিজিটাল যুগে প্রবেশের পর আটকে যাওয়া অনেক ছবির নির্মাতা ছবি শেষ করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। প্রচÐ মন্দা বাজারে নতুন করে পুঁজি ঢালার বিপক্ষে এসব ছবির নির্মাতারা। এর বাইরে অশ্লীল জামানায় শুরু হওয়া ছবির নির্মাতারা বদলে যাওয়া পরিস্থিতিতে পুঁজি ফিরিয়ে আনার লড়াইয়ে নামতে অনাগ্রহী। এজন্য অনেক ছবি ক্যানবন্দি হয়ে কাতরাচ্ছে প্রযোজনা অফিসে। সেলুলয়েডে নির্মিত এসব ছবি কখনো মুক্তির আলো দেখবে কিনা কেউ জানে না। এছাড়া ক্যারিয়ার ধরে রাখতে কিংবা পড়ন্ত ক্যারিয়ার চাঙ্গা করতে আছে ফাঁকা আওয়াজের ঘোষণাও। প্রায়ই নতুন ছবির ঘোষণা দিয়ে অবস্থান টিকিয়ে রাখার অপকৌশল রপ্ত করেছেন কেউ কেউ। কেউ কেউ প্রযোজকেরদের নজর কাড়তেই নতুন গল্প, নতুন গান নিয়ে চালান শূন্য মহড়া। আর সবশেষে সেন্সর বোর্ডের কোপানলে পড়া ‘রানা প্লাজা’, ‘নমুনা’র মতো কিছু ছবি, যারা দিন গুনছে অপমৃত্যুর। ‘শেষ হইয়াও হইলো না শেষ’ অবস্থা কয়েকটি ছবির। শুটিং শেষ হয়েও নূর হোসেন বলাই পরিচালিত শাকিব খান অভিনীত ‘অপমানের জ্বালা’, আবু সাঈদ খানের ‘আসবো না ফিরে’, জীবন রহমানের ‘কাকনদাসী’, বি এইচ নিশানের ‘মন যারে চায়’, রানা হামিদের ‘ছলনাময়ী নারী’, সাজেদুর রহমান সাজু পরিচালিত ‘অন্তরে প্রেমের আগুন’ ছবিগুলো মুক্তি পাচ্ছে না। শান্তি চৌধুরী পরিচালিত ‘মায়ানগর’, দেওয়ান নাজমুল পরিচালিত ‘নাকফুল’, আজাদী হাসানাত ফিরোজ পরিচালিত ‘প্রেমের নদী’, বাবুল রেজা পরিচালিত ‘নবীন কমিশনার’ ছবিগুলো আটকে আছে। মান্নার আকস্মিক মৃত্যুতে আটকে যায় বেশ কিছু ছবি। যার মধ্যে জাহিদ হোসেনের ‘লীলামন্থন’ সেন্সর বোর্ডে আটকে আছে। এম এম সরকার পরিচালিত ‘বৃষ্টির চোখে আগুন’ শেষ হয়নি। পরে পরিচালকও প্রয়াত হোন। পরিচালক মতিউর রহমান বাদল ও আবিদ হাসান বাদলের মৃত্যুর কারণে আটকে গেছে ‘জনতার ডাক’ এবং ‘পাগলের বিয়ে’। অনিমেষ আইচের পরিচালক হওয়ার কথা ছিল ‘না মানুষ’ ছবিতেই। মৌসুমী হামিদকে নিয়ে যাত্রা হয়েছিল এর। কিন্তু কিছুদিন শুটিংয়ের পর বন্ধ হয়ে যায়। আহমেদ নাসির পরিচালিত ‘লাভ ইন কোরিয়া’ বহু বছর ধরেই শুটিং অসামপ্ত। নূর মোহাম্মদ মণি পরিচালিত ‘কিস্তির জ্বলা’ ৫ বছরেও শেষ হয়নি। গান রেকর্ডিং করেও তিন বছরে জাকির হোসেন রাজু কোনো কিনারা করতে পারেননি ‘সোনার কাজলে’র। শংখদাস গুপ্তের ‘হ্যালো অমিত’ শুটিং বন্ধ কয়েক বছর আগেই। আটকে যাওয়া ছবির তালিকায় আরো রয়েছে ছটকু আহমেদের ‘তোমাকেই খুঁজছে বাংলাদেশ’, এম এ রহিমের ‘সুন্দরী গুলবাহার’, মোহাম্মদ আসলামের ‘ভালোবাসা ডটকম’ ইত্যাদি ঘোষণা দিয়েও শুরু হয়নি ‘মুসাফির টু’র কাজ। শফিকুল ইসনলাম ভৈরবী শেষ করতে পারেননি ‘শুয়াচান পাখি’, ডায়েল রহমানের ধরতে পারেননি ‘দুদ মিয়া’। ঘোষণা দিয়েও পপিকে নিয়ে ‘দেহ’ বানাতে পারেননি সালমান হায়দার। ওয়াজেদ আলী সুমন ব্যর্থ হয়েছেন শুভ-পরীকে নিয়ে ‘দরদিয়া’ বানাতে। বাপ্পি-তানহাকে নিয়েও পারেননি ‘জানবাজ’ শুরু করতে। শাহিন সুমনের ‘প্রবাসী ডন’ আর ‘পাগলের মতো ভালোবাসি’ আছে আটকে। আশিকুর রহমান পারেননি ‘ম্যাডাম ফুলি টু’ বানাতে। অনিশ্চয়তায় হাবুডুবু খাচ্ছে ‘নূরজাহানের প্রেম’, প্রয়াত এনায়েত করিমের ‘বউ পাগল’, রেজা পরিচালিত ‘কেন আমি সন্ত্রাসী’, এমএ আউয়াল পিন্টুর ‘কালো বিড়াল’ ও ‘তুষের আগুন’, মাসুম পারভেজ রবেলের ‘লড়াকু সন্তান’, আইনুলের ‘সাহসী কন্যা’ ইত্যাদি। মোহাম্মদ হোসেন প্রযোজিত পরিচালিত ‘নষ্ট ছেলে’র মতো অশ্লীলতা যুগের আরো কিছু ছবি কোনদিন মুক্তি পাবে না দর্শকরুচি পরিবর্তন হয়েছে বলে। এগুলোর বাইরে অনুদান পাওয়া ডজনখানেক ছবি ঝিমিয়ে আছে। ‘হাডসনের বন্ধুক’, ‘যৈবতী কন্যার মন’ ইত্যাদি অনুদানের ছবিগুলো কবে সরকারি অনুদানের সঙ্গে বাইরের পুঁজি যোগ করে শেষ হবে তা কেউ জানে না। নাকি সরকারি অর্থ লোপাট হয়ে যাবে তাও কেউ ঠিক করে বলতে পারছে না। অন্যদিকে ব্যক্তিগত পুঁজির ছবি বলে নানা সময় ঘোষিত ছবিগুলোর পরিণতি কী হবে তাও কারো অনুমেয় নয়। এসব নামসর্বস্ব ছবির মধ্যে রয়েছে নীলাঞ্জনা, আদম, নষ্ট হওয়ার কষ্ট, টাকার খেলা, আল্লাহ রাখলে মারে কে, চাইলাম যারে পাইলাম তারে, প্রিয়তমা আমি দাড়ি তুমি কমা, বিচার আমি করব, কেন আমি আসামি, কালো বিড়াল, জলে ভাসা পদ্ম, আমার পিরানের কোনো মাপ নাই, মন যারে চায়, মধুুর জীবন, প্রজন্ম এক্স, বিন্দু বিন্দু ভালোবাসা, স্বজনহারা, প্রিয়া শুধু আমার, ভালেলাগার চেয়ে একটু বেশি, প্রবাসী ডন, ভালোবাসা ছাড়া কেউ কি বাঁচে, অনেক দৃষ্টি কেড়ে তুমি এলে, অসম প্রেম, মারুফ টাকা ধরে না ইত্যাদি। জায়েদ খান ২০১৩ সালে মোস্তাফিজুর রহমান বাবু পরিচালিত ‘তোমার প্রেমে পড়েছি’র কাজ শুরু হয়। ছবিটির কাজ ওই বছরের পর আর হয়নি। শুটিং হওয়ার কথা ছিল মালয়েশিয়াতে। ২০১৩ সালেই ‘লাভ ইন মালয়েশিয়া’ নামে একটি ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন জায়েদ। এরও শুটিং হওয়ার কথা ছিল মালয়েশিয়ায়। রহস্যময় কারণে মনতাজুর রহমান আকবর পরিচালিত ছবিটির কাজ অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। জায়েদকে নিয়ে ‘আগুনের চোখে প্রেম’ নামে একটি ছবির কাজ আকবর শুরু করেছিলেন ২০১৩ সালের ফেব্রæয়ারিতে। মালয়েশিয়ায় এর শুটিং হয়েছিল। গত বছর অসমাপ্ত শুটিং শেষের উদ্যোগ নিয়েও ছবিটি শেষে করা যায়নি। ২০১৩ সালে ‘বিয়ে হলো বাসর হলো না’র কাজ আরম্ভ করেন জায়েদ। পরিচালক রকিবুল আলম রকিব কিছুদিন শুটিংয়ের পর আর ছবিটির কাজ শেষ করতে পারেননি। একই পরিচালকের ‘মনের রাজা’ (জায়েদ খান-পিয়া বিপাশা) ছবিটি গত বছর শুরু হয়েছে ঠিকই, কিন্তু শেষ হওয়ার সম্ভাবনা সদূর পরাহত। গত বছর মাসুম পারভেজ রুবেল এফডিসিতে মহরত করেন ‘মিশন সিক্স’ ছবির। এর নায়ক হিসেবে মহরতে এসেছিলেন জায়েদ খান। মহরতেই ছবি শেষ। তারপর কোনো খবর নেই। একইভাবে ‘মিশন সিআইডি’র শুটিং ‘শেষ’ করে এফডিসিতে জায়েদ ‘মিশন সিআইডি টু’র শুটিং মহরত করেছিলেন ২০১০ সালের ৩১ অক্টোবর। দুটি ছবি কবে শেষ হয়েছে, শেষ হলে কেন মুক্তি পাচ্ছে না, এসবের কোনো হদিস নেই। নিরব ২০১১ সালের মার্চে ঘোষণা এসেছিল নিরব-কেয়াকে নিয়ে ‘ওয়ান ফোর থ্রি’ নির্মাণের। ছবিটি আর নির্মিত হযনি। অনিমেষ আইচের ‘না মানুষ’ ছবিতে সিমলার সঙ্গে আইটেম গান করেছিলেন নিরব। ছবিটি বন্ধ হয়ে যায় আচমকাই। আহমেদ আলী মÐল পরিচালিত ‘প্রবাসীর প্রেম’ ২০১৩ সালে আফ্রিকায় কিছুদিন শুটিংয়ের পর বন্ধ আছে। এতে পিয়ার সঙ্গে জুটি গড়েছিলেন নিরব। কাছকাছি সময়ে কলকাতার অঞ্জন দত্তের ‘মন বাকসো’র জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন নিরব। তার কলকাতাযাত্রা শুরুতেই হোঁচট খায়। ২০১৬ সালের ১৯ জুলাই এফডিসিতে মহরত হয় রফিক শিকদার পরিচালিত ‘আমি শুধু তোর হবো’র। আলোচিত এ মহরতে নিরবের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ছবিতে তার নায়িকা মম। কিন্তু কিছুদন পরই ছবিটি নানা জটিলতায় পড়ে বন্ধ হয়ে যায়। নতুন একটি জুটির অপমৃত্যু ঘটে। এর আগেও নিরব-ববি জুটির অপমৃত্যু ঘটেছিল ২০১২ সালে। ওই বছরের ২৮ নভেম্বর শ্রæতি রেকর্ডিং স্টুডিওতে মহরত হয় সেলিম রেজা পরিচালিত ‘না বলা ভালোবাসা’র। অনুষ্ঠানে ছিলেন নিরব ও ববি। ওখানে দুজনের ফটোশুটই সার। আর সাইফ চন্দন পরিচালিত ‘টার্গেট’-এ নিরবের জুটি ছিলেন অমৃতা। এটিরও শুটিং বিলম্বিত। তিন বছরেও নির্মতা কাজ শেষ করতে পারেননি। অমৃতার সঙ্গে নিরবের ‘অন্তরে অন্তরে’ রিমেকের ঘোষণা হৈচৈ ফেলেছিল। আতিক রহমান নামে ছবির পরিচালক পরে পিছু হটেন। কিছুদিন পরপরই নতুন ছবির ঘোষণা আসে নিরবকে নিয়ে। সেসব ছবি সিনেমা হল পর্যন্ত পৌঁছায় না। তমা ২০১৪ সালে একসঙ্গে তিনটি ছবি নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিল প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান দ্য রেইন পিকচার্স। রেইনের প্রথম ছবির নাম ‘লাভলী’ (মন বোঝে না)। আরেফিন শুভ ও তমা মির্জাকে নিয়ে এ ছবির শুটিং শ্রীলঙ্কায় শুরু হয়েছিল। আউটডোরে যাওয়ার আগের দিন সোহানুর রহমান সোহান পরিচালনার চেয়ার থেকে সরে যান। তখন রেইন পিকচার্সের কর্ণধার ফয়েজুল ইসলাম শাহিন নিজেই আউটডোরে পরিচালক ও চিত্রগ্রাহকের দায়িত্ব পালন করেন। দেশে ফিরে তিনি ছবি শেষ করার দায়িত্ব দেন শাহাদাৎ হোসেন লিটনকে। ছবিটির শুটিং শেষ হওয়ার আগেই ফয়েজুল ইসলাম শাহিন ঘটা করে ‘মিশন আমেরিকা’ ও ‘বয়ফ্রেন্ড গার্লফ্রেন্ড’ নামের দুটি ছবির মহরত করেন। ‘মিশন আমেরিকা’ পরিচালনার দায়িত্ব দেন আশিকুর রহমানকে এবং ‘বয়ফ্রেন্ড গার্লফ্রেন্ড’ ছবি পরিচালনার দায়িত্ব নেন তিনি নিজেই। ছবি দুটির নায়ক যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশি শায়ের আজিজ। শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরসহ পাঁচটি দেশে ‘লাভলী’র শুটিং হয়েছিল বলে তখন তমা জানিয়েছিলেন। ওই তিনটি ছবি মাঝপথে বন্ধ হয়ে গেলে অক‚ল পাথারে পড়ে যান তমা। তার ক্যারিয়ার তখন থেকেই পড়তির দিকে। সেই ক্যারিয়ার তিনি এখনো চাঙ্গা করতে পারেননি। মিষ্টি ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে কাজ শুরু হয় ‘ভালোবেসে ছুুঁঁয়ে দিলাম’ ছবির। পরে যার নাম পরিবর্র্তন করে রাখা হয় ‘আমার প্রেম তুমি’। যৌথ প্রযোজনার ছবিটিতে অভিনয় করছেন সোহম ও মিষ্টি জান্নাত। থাইল্যান্ডে ছবির খানিকটা শুটিংও হয়। দুই বছর ধরে ছবিটির কোনো আপডেট পাওয়া যাচ্ছে না। আদৌ ছবিটি শেষ হবে কিনা তাও জানা যাচ্ছে না। ‘আমার প্রেম তুমি’র কাজ অসমাপ্ত রেখেই আরো একটি যৌথ প্রযোজনার ছবির ঘোষণা দেন মিষ্টি। ‘তুই আমার রানী’ নামে এ ছবির প্রযোজকও মিষ্টি। ছবিটি যৌথভাবে পরিচালনা করার কথা ছিল বাংলাদেশের সজল আহম্মেদ ও কলকাতার ‘বেপরোয়া’ খ্যাত পীযূষ সাহার। মিষ্টির বিপরীতে ‘বেপরোয়া’র অভিনেতা সূর্য অভিনয় করছেন। ২০১৬ সালের মে মাসে কিছুদিন পশ্চিমবঙ্গে শুটিংয় হয়েছে ‘তুই আমার রানী’র। ছবিটির কাজ হুট করে বন্ধ হয়ে যায় ‘আমার প্রেম তুমি’র মতোই। ‘নকশীকাঁথার খোঁজে’ নামে আরেকটি যৌথ প্রযোজনার ছবিতে মিষ্টি চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন বলে জানালেও সেটাকে ফাঁকা আওয়াজ বলেই মনে হয়েছে। মিম ২০১২ সালে রাজধানীর একটি পাঁচতারা হোটেলে রিপন মিয়া পরিচালিত ‘তুমি সন্ধ্যারও মেঘমালা’র অডিও অ্যালবামের প্রকাশনা অনুষ্ঠিত হয়। ছবিটি সেই অনুষ্ঠান থেকে আর মুক্ত আলোয় বেরিয়ে আসতে পারেনি। বারবার নির্মাণ হওয়ার কথা শোনা গেলেও আর কখনো নির্মিত হয়নি ছবিটি। এতে মিমের বিপরীতে ইমনের অভিনয় করার কথা ছিল। ২০১৫ সালের শুরুর দিকে যৌথ প্রযোজনায় নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল ‘ফার্স্ট জানুয়ারি’। আশীষ কুমার নামে জনৈক কলকাতাবাসী পরিচালকের নির্দেশনা দেয়ার কথা ছিল। এতেও মিমের বিপরীতে ইমনের অভিনয় করার কথা ছিল। ‘ফার্স্ট জানুয়ারি’ পরে আর নির্মিত হয়নি। কিংবা কাজ এগোলেও কতদূর এগিয়েছিল তা জানা যায়নি। ২০১৫ সালের মাঝমাঝিতে ঘোষণা আসে ‘রকে’র। শফিক হাসান ছিলেন পরিচালনার দায়িত্বে। কলকাতার ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত ও অরিন্দমের অভিনয় করার কথা ছিল। জানানো হয়েছিল, অরিন্দমের বিপরীতে অভিনয় করবেন মিম। ভারতে ‘রকে’র খানিকটা শুটিং হয়েছে বলেও গুজব আছে। এমনকি ‘রক’ নিয়ে চীনেও যাওয়ার কথা ছিল মিমের। কিন্তু ছবিটি আর কখনো তৈরি হবে না বলে অনুমান করা যায়। আঁচল বিজ্ঞাপন নির্মাতা নাবিল আশরাফ ২০১২ সালে নবাগতা আঁচল, অ্যানি খান ও নাঈমকে নিয়ে শুরু করেন ‘ভালোবাসা রংধনু’র শুটিং। একই বছর ‘ভালোবাসার রঙ’ মুক্তি পেয়ে গেলেও পাঁচ বছরে শেষ হয়নি আচলের প্রথম দিকের ছবিটি। এর মধ্যে ‘মন জ্বলে’-তে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন। ওই ছবিটি দেবাশীষ শুরু করতেই পারেননি। ২০১৩ সালের ৩০ আগস্ট শ্রæতি রেকর্ডিং স্টুডিওতে মহরত হয়েছিল শাহিন খান পরিচালিত (শাহিন সুমনের ‘শাহিন’) ‘কেউ কথা রাখেনি’র। এতে আঁচলের নায়ক ছিলেন ইমন। জাহিদ খান নামে এক নবাগতকেও পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়েছিল। মালয়েশিয়ায় শুটিং হওয়ার কথা ছিল। এত বছর পেরিয়ে গেলেও ছবির কাজ এতটুকু এগোয়নি। আর কখনো নির্মাণ হবে না বলেই ধারণা করা যায়। শাকিব খান কিছুদিন পরপরই শাকিব খানকে নিয়ে নতুন নতুন ছবি নির্মাণের খবর আসে। কিন্তু এসব ছবি কখনোই শুটিং ফ্লোরে নামে না। এখনকার বেশির ভাগ নির্মাতাই শাকিবেক মাথায় নিয়ে গল্প লেখেন। চুক্তিবদ্ধ হওয়ার আগেই শাকিবকে নিয়ে ছবি বানানোর ঘোষণা দিয়ে দেন নির্মাতা। পরে শাকিব ছবি করতে রাজি না হলে ওসব ছবি ঘোষণায়ই হারিয়ে যায়। তবে এর বাইরেও কিছু ছবি আছে যেগুলোতে শাকিব অভিনয় করেছেন কিন্তু ছবির অগ্রগতি একটা পর্যায়ে গিয়ে থেমে গেছে। এম এ রহিম পরিচালিত ‘রানা দ্য ফাইটার’ এমনই একটা ছবি। ২০১৫ সালে কিছুদিন শুটিং হওয়ার পর ছবিটির কাজ চিরতরে থেমে গেছে। মনতাজুর রহমান আকবর পরিচালিত ‘মাই ডার্লিং’ শাকিব-অপুর শিডিউল জটিলতায় আটকে আছে। এর নির্মাণ কবে শেষ হবে তা কেউ জানে না। ছবির কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৪ সালে। একইভাবে জি সরকার পরিচালিত ‘লাভ ২০১৪’ বছরের পর বছর ঘুরছে শাকিব খানের শিডিউলের আশায়। প্রতি বছর ছবির নাম পাল্টে যায়। ‘লাভ’-এর সঙ্গে যুক্ত হয় নতুন সাল ২০১৫, ১৬, ১৭ ইত্যাদি। প্রায় ১২ বছর ধরে ক্যানবন্দি হয়ে আছে নজরুল ইসলাম খান পরিচালিত ‘স্বপ্নের বিদেশ’। শাকিব-শাবনূর অভিনীত ছবিটি সেলুলয়েড যুগে শুরু। ডিজিটাল যুগ এলেও ছবিটি শেষ হয়নি। মৌসুমী, ফেরদৌস, শাকিব খান ও জনাকে নিয়ে ‘চোখ যে মনের কথা বলে’র কাজ অনেকদূর এগিয়েছিল। তারপর বন্ধ হয়ে যায়। আর শাকিব খান নিজে ‘প্রিয়ারে’ নামে ছবি করার ঘোষণা দিয়েও পরে পিছিয়ে গেছেন। ইমন প্রযোজক নাজিমউদ্দিন চেয়ারম্যান একসঙ্গে ১০ ছবি নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলেন বছর দশেক আগে। প্রযোজকের মৃত্যু হলে তার যে ছবিগুলো অনিশ্চিত হয়ে পড়ে তার মধ্যে একটি ইমন অভিনীত ‘অবুঝ ভালোবাসা’। পপি, পূর্ণিমার পর তিনি শাবনূরের সঙ্গে ‘অবুঝ ভালোবাসা’য় জুটিবদ্ধ হয়েছিলেন। সেই ছবি শেষ মুহূর্তে গিয়ে আটকে যায়। যা মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। নবাগতা দীপালির সঙ্গে ‘পায়রা’ ছবিটি ২০১২ সালে শুটিং শুরু হয়েও মাঝপথে দম বন্ধ হয়ে মারা যায়। আঁচলের সঙ্গে ‘কেউ কথা রাখেনি’ ছবিটিও মাঝ রাস্তায় প্রাণ হারায়। আর মিমের সঙ্গে ‘তুমি সন্ধ্যারও মেঘমালা’র তো সেই কবেই পঞ্চত্বপ্রাপ্তি ঘটেছে। আইরিন বাপ্পির সঙ্গে আইরিন জুটি বাঁধতে চেয়েছিলেন সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘লাভার বয়’ ছবিতে। ২০১৫ সালের জুলাইতে শুটিং হওয়ার কথা থাকলেও আজো শুটিং হয়নি ছবিটির। মিলনের বিপরীতে ‘টার্গেটের’র শুটিং শুরু হয়েছিল ২০১৫ সালে। সেই ছবিটিও শেষ হচ্ছে না। গত বছর জসীমউদ্দিন নামে এক প্রবাসী প্রযোজক-পরিচালকের ‘আমেরিকান ড্রিম’-এ সাইমনের সঙ্গে কয়েকদিন শুটিং করেছিলেন আইরিন। ছবিটি নানামুখী বাধায় বন্ধ হয়ে যায়। এটি আদৌ কোনোদিন ছবিঘরে যাবে না বলে অনুমান করা যেতে পারে। তার প্রথম চুক্তিবদ্ধ ছবির নায়ক আরজুর বিপরীতে গাজীউর রহমান পরিচালিত ‘এই তুমি সেই তুমি’র কাজ শেষ হয়ে গেলেও অজানা কারণে মুক্তি পাচ্ছে না। জয়া আহসান অনুদানপ্রাপ্তির প্রায় দুই বছর পর ২০১৫ সালের ২২ মার্চ নুরুল আলম আতিক শুরু করেন ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’র শুটিং। কোনো রকম ঘোষণা ছাড়াই এর শুটিং স্থগিত করে আতিক শুরু করে দেন ‘পেয়ারার সুবাসে’র শুটিং। গত বছরের জুনে ‘পেয়ারার সুবাস’র শুটিং হয়। ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’ ও ‘পয়ারার সুবাস’ এই দুই ছবিতেই অভিনয় করছেন অভিনেত্রী জয়া আহসান। প্রথমটিতে তিনি পদ্ম চরিত্রে আর দ্বিতীয়টিতে পেয়ারার চরিত্রে অভিনয় করছেন। অর্থ সংকটেই আতিকের এই দুটি ছবি আটকে আছে। ফলে অনিশ্চিত হয়ে গেছে জয়ার সঙ্গে দর্শকদের মোলাকাতের ক্ষণটি। একই রকম অর্থ সংকটে পড়ে আছে জয়া অভিনীত মাহমুদ দিদারের ‘বিউটি সার্কাস’। এটিও অনুদানের ছবি। আর জয়ার নিউ লুক প্রকাশ করে তুমুল আলোচিত ‘পারলে ঠেকা’ গভীর জলে নিমজ্জিত। কখনো শ্বাস নিতে পারবে কি না জানেন না নির্মাতা সামুরাই মারুফও। মাহি ‘ময়না’তে গত বছর চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন মাহি। ছবিটি আদৌ নির্মিত হবে কিনা জানা নেই। ‘ধামাকা’তেও চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন মাহি। এতেও মাহি থাকছেন না। আর ২০১২ সালের ‘ফিরিয়ে দাও আমার প্রেম’ মাঝপথে চিরতরে বন্ধ হয়ে গেছে। জাজ মাল্টিমিডিয়া থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর এই সংস্থার নির্মাণ পরিকল্পনাধীন ‘পুলিশগিরি’ (দাবানল) ও ‘পাষাণে’ও আর কাজ করা হয়নি তার। সালাহউদ্দিন লাভলু এ ব্যানার থেকে ‘কোর্ট ম্যারেজ’ নামে একটি ছবি করার কথা শুনিয়েছিলেন। ‘কোর্ট ম্যারেজ’ হয়নি। হয়নি তার বহুল আলোচিত প্রজেক্ট ‘ওয়ারিশ’ও। যাতে মাহি কাজ করবেন বলে জানিয়েছিলেন জাজের মালিক আব্দুল আজিজ। ‘পাষাণ’ পরে মিমকে নিয়ে নির্মিত হলেও কাজ থেমে থেমে হচ্ছে। মাহি অভিনীত আরেকটি ছবি, গত বছর শুটিং হওয়া ‘গোলাপতলীর কাজল’ শেষ হবে না বলে ইন্ডাস্ট্রিতে চাউর আছে। সাইমন এতে মাহির নায়ক। এমনকি বহুল আলোচিত ‘হারজিত’ও শেষ হবে কি না তার ঠিক নেই। এ ছবিরও কিছুদিন শুটিং হয়েছে। সাইমন এফ আই মানিক ২০১৪ সাইমন ও পরীকে নিয়ে ঘোষণা দেন ‘সারপ্রাইজ’ নির্মাণের। দুই বছরে কোনো অগ্রগতি নেই। মানিক গত বছর আসিফ নূরকে এই থমকে যাওয়া ছবির সাইনিং মানি দিয়ে গণমাধ্যমে ছবি প্রকাশ করেন। এরপর আবার সেই আগের অবস্থা। ‘ধ্বংসমানব’ নামে একটি ছবি ২০১৪ সালেই শুরু করেছিলেন সাইমন। এটি সম্প্রতি সেন্সর পেয়েছে। মুক্তি কবে পাবে জানা নেই। যেমনভাবে এ জে রানা পরিচালিত সাইমন-সারা অভিনীত ‘তোমার জন্য মন কান্দে’ ২০১৪ সালে সেন্সর পেয়ে আজো মুক্তি পায়নি। সাইমন অভিনীত ‘মন জ্বলে’ও অনিশ্চিত। অনিশ্চিয়তার খাতায় আরো নাম আছে ‘গোলপতলীর কাজলে’র। এই তালিকায় আরো আছে মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের ‘ভালোবাসি হয়নি বলা’। শাবনূর উত্তম আকাশ পরিচালিত দুটি ছবি ‘লাইলী মজনু’ এবং ‘তুমি সুন্দর তাই চেয়ে থাকি’তে আমিন খানের বিপরীতে অভিনয় করার কথা ছিল শাবনূরের। প্রযোজক মারা যাওয়ায় ছবি দুটি আর হয়নি। একই প্রযোজকের ‘অবুঝ ভালোবাসা’র কাজ শেষে হলেও মুক্তি দিতে পারছেন না নির্মাতা মোস্তাফিজুর রহমান বাবু। আর পরিচালক এম এম সরকার মারা যাওয়ার পর ‘পাগল মানুষ’ও অনিশ্চিত অবস্থায় পড়ে আছে। নজরুল ইসলাম খান পরিচালিত আট-দশ বছর আগের ছবি ‘স্বপ্নের বিদেশে’র প্রযোজকের কোনো হদিস নেই বলে ছবিটি চিরতরে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। একইভাবে ২০১০ সালে শুরু হয়েও শাবনূরের অস্ট্রেলিয়ায়-ঢাকা বিষয়ক জটিলতায় হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম মোস্তাফিজুর রহমান মানিক পরিচালিত ‘এমনও তো প্রেম হয়’। পপি পপির ক্যারিয়ার হুমকির মুখে পড়েছে একের পর এক ছবি আটকে যাওয়ায়। সাদ্দাম হোসেনের ‘বিয়ে হলো বাসর হলো না’ (সহশিল্পী জায়েদ খান), নারগিস আকতারের ‘শর্টকাটে বড় লোক’ (সহশিল্পী মাহফুজ আহমেদ), জাহিদ হোসেনের ‘লীলামন্থন’ (সহশিল্পী মান্না), কামরুজ্জামান রতনের ‘আদরের ভাই’ (সহশিল্পী আমিন খান) ও কামরুজ্জামান কামুর ‘দি ডিরেক্টর’ (সহশিল্পী মারজুক রাসেল) ইত্যাদি ছবিগুলো আটকে আছে। কোনোটির শুটিং থেমে আছে। কোনোটি সেন্সরে আটক। কোনোটির যাত্রা অনিশ্চিত। ‘মন খোঁজে বন্ধন’ নামে একটি ছবি ২০১২ সালে মহরত করলেও পরে থমকে যায়। কেয়া বাবুল রেজা পরিচালিত ‘কাটা দাগ’, লেলিন হায়দার পরিচালিত ‘মিশন সিআইডি’ এবং মোস্তাফিজুর রহমান বাবু পরিচালিত ‘তোমার প্রেমে পড়েছি’Ñ এই তিনটি ছবি নিয়ে ২০১৩ সালে ব্যস্ত ছিলেন কেয়া। তিনটিতেই নায়ক ছিলেন জায়েদ খান। অবিশ্বাস্য হলে সত্যি তিনটি ছবির একটিরও কাজ শেষ হয়নি। ২০১১ সালে শুরু হওয়া পল্লী মালেক পরিচালিত ‘ওয়ান থ্রি ফোর’ও শেষ হয়নি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App