রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রস্তাবিত পাঁচ দফার আলোকে মিয়ানমারের প্রতি চাপ বৃদ্ধির জন্য রোটারি ইন্টারন্যাশনালকে সোচ্চার হওয়ার তাগিদ দিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার ঢাকা সফররত রোটারি ইন্টারন্যাশনালের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান পল এ নেটজেল স্পিকারের কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে শিরীন শারমিন চৌধুরী তাকে এ তাগিদ দেন।

স্পিকার বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন থেকে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা চরম বঞ্চিত। তাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ প্রায় সকল মৌলিক অধিকার হরণ করা হয়েছে। তারা সমাজের দরিদ্রতম জনগোষ্ঠী। দিশেহারা রোহিঙ্গরা যখন ঠিকানার খোঁজে দিকবিহীন, তখনই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের ভূমিতে তাদের আশ্রয় দিয়ে সূচনা করলেন মানবতার নবদিগন্ত।

তিনি আরো বলেন, রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে স্থায়ী প্রত্যাবাসনে রোটারি ইন্টারন্যাশনাল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

মানবেতর জীবনযাপনকারী রোহিঙ্গা নারী ও শিশুদের জন্য সহযোগিতার হাত সম্প্রসারণে রোটারি ইন্টারন্যাশনালের প্রতি আহ্বান জানান স্পিকার।

শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে রোটারি ইন্টারন্যাশনাল সরকারের পাশাপাশি আর্তমানবতার সেবায় নানামূখী ভুমিকা রেখে আসছে। রোটারির কার্যক্রম কোনোভাবেই বিচ্ছিন্ন নয় বরং সংসদ, বেসরকারি অন্যান্য সংস্থা ও সরকারের সেবামূলক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে কার্য পরিচালনা করলে তার সার্বিক সুফল জনগণ ভোগ করবে।

স্পিকার রোটারি কার্যক্রমের সঙ্গে সংসদ সদস্যদের সম্পৃক্ত করার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন, এতে জনগণের প্রতিনিধিদের মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ের জনগণ উন্নয়নের আওতায় আসবে। অর্জিত হবে কাঙ্ক্ষিত টেকসই উন্নয়ন।

এ সময় পল এ নেটজেল বলেন, বিশ্বকে পোলিওমুক্ত করতে রোটারি ইন্টারন্যাশনাল অব্যাহতভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশে এ কার্যক্রমের আওতায় ২০০ কোটি টাকার কার্যক্রম চলমান। এ ধারাবাহিকতায় সুপেয় পানি, স্যানিটেশন, ক্যানসার হসপিটাল, প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন ও আর্সেনিক দূরীকরণে রোটারি ক্লাব বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করছে। রোঙ্গিাদের আবাসন ও অন্যান্য সেবার জন্য রোটারি ইন্টারন্যাশনাল ইতোমধ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও সহযোগিতার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেন।

রোটারি ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিক্ট-৩২৮১ এর গভর্নর রোটারিয়ান এফ এইচ আরিফ, ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের (আইইউবি) ফ্যাকাল্টি মেম্বার রোটারিযান কান্তারা কে খান, রোটারিয়ান পিডিজি সাফিনা রহমান ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।