×

জাতীয়

৮০ লাখ মানুষ ফুসফুসের দীর্ঘমেয়াদী রোগে আক্রান্ত

Icon

কাগজ অনলাইন প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ নভেম্বর ২০১৭, ০৭:৩৭ পিএম

ক্রনিক অবসট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজেস (সিওপিডি) রোগসহ হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, স্ট্রোক ইত্যাদি মারাত্মক রোগের অন্যতম প্রধান কারণ ধূমপান। তাই ধূমপান পরিহারের মাধ্যমে সিওপিডিসহ অনেক রোগ অনেকাংশেই প্রতিরোধ করা সম্ভব।

সিওপিডি বা ক্রনিক অবসট্রাকটিভ লাংস ডিজিজ হচ্ছে ফুসফুসের একটি দীর্ঘমেয়াদি ও মারাত্মক রোগ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, পৃথিবীতে আনুমানিক ৩০ কোটি মানুষ এই রোগে আক্রান্ত। বাংলাদেশে আনুমানিক ৮০ লাখ মানুষ এ রোগে আক্রান্ত। এ রোগটি বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর চতুর্থ প্রধান কারণ।

বিশ্ব সিওপিডি দিবস উপলক্ষে বুধবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডি ব্লকের ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের ক্লাসরুমে আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বক্ষব্যাধি বিভাগ এ সেমিনারের আয়োজন করে।

সেমিনারের বক্তারা বলেন, ধূমপান এ রোগের আক্রান্ত হওয়ার প্রধান কারণ। এছাড়া জীবাশ্ম-জ্বালানি হতে উৎপন্ন ধোঁয়া, যেমন: কয়লা, কাঠ, শুকনো পাতা ইত্যাদি হতে উৎপন্ন ধোঁয়া; কলকারখানা ও যানবাহনে সৃষ্ট ধোঁয়া; ধুলাবালি ও বায়ুদূষণজনিত কারণ এবং রাসায়নিক পদার্থের কারণে দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসকষ্ট, কাশি, কফ ইত্যাদি এ রোগের প্রধান লক্ষণ। এ রোগের প্রকাশ বিভিন্ন প্রকারের হতে পারে। চিকিৎসকের মাধ্যমে সঠিক প্রকৃতি নির্ণয় ও চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ণয়ের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ইনহেলার ও অন্যান্য ওষুধ সেবনের মাধ্যমে এ রোগ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। যেহেতু এ রোগ সম্পূর্ণভাবে নির্মূল হয় না, তাই প্রতিরোধই সর্বোত্তম পন্থা। এ রোগটি প্রতিরোধের জন্য ধূমপান পরিহার করা, ধুলাবালি ও ধোঁয়া যথাসম্ভব এড়িয়ে চলা ও নিয়মিত ব্যায়াম করা প্রয়োজন।

সেমিনারের আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের এ এবং বি ব্লকের মধ্যবর্তীস্থলে বটতলা থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়। এ রোগটির বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে এবং প্রতিরোধ ও চিকিৎসার বিষয়ে র‌্যালি এবং সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. এ এস এম জাকারিয়া স্বপন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল।

সভাপতিত্ব করেন বক্ষব্যাধি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ কে এম মোশাররফ হোসেন। প্যানেল এক্সপার্ট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ, অধ্যাপক ডা. মো. আবদুর রহিম, অধ্যাপক এম এ জলিল চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান।

প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডা. মো. আবু রায়হান, ডা. আহমেদ ইমরান কবির। মডারেটর হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডা. শারমিন আকতার। এছাড়া মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. আবদুর রহিম, পরিচালক (পরিদর্শন) অধ্যাপক ডা. এ.কে.এম সালেক, সহযোগী অধ্যাপক ডা. সুনীল কুমার বিশ্বাসসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App