×

জাতীয়

দক্ষিণ এশিয়ায় অন্তঃআঞ্চলিক বিনিয়োগ বাড়াতে হবে: ড. আতিউর

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৫ নভেম্বর ২০১৭, ০৭:৩৪ পিএম

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান বলেছেন, বিশ্ব অর্থনীতির ক্রমবর্ধমান অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সংযুক্তি বৃদ্ধিই হতে পারে উত্তরণের পথ। বুধবার কাঠমুন্ডুতে দশম দক্ষিণ এশিয়া অর্থনৈতিক শীর্ষ সম্মেলনে “আনলিশিং দি পটেনশিয়াল অফ ইন্ট্রা-রিজিওনাল ইনভেস্টমেন্ট” শিরোনামে একটি অধিবেশনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

তিন দিনব্যাপী এই সম্মেলন নেপালের কাঠমুন্ডুতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ভারত থেকে অধ্যাপক ইন্দ্রনীল মুখার্জি এবং নেপালের রবি শঙ্কর সাইনজু এই অধিবেশনে নিবন্ধ উপস্থাপন করেন। এছাড়াও নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ এবং বাংলাদেশ থেকে বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ প্যানেল আলোচক হিসেবে অংশ নিয়েছেন। অধ্যাপক মুখার্জি তাঁর বক্তব্যে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আঞ্চলিক যুক্ততা বাড়াতে এবং বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরির যে উদ্যোগগুলো বাংলাদেশ নিয়েছে তার বিশেষ প্রশংসা করেন।

ড. আতিউর রহমান বলেন, পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, নাফটা এবং আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর তুলনায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো অনেকটা পিছিয়ে আছে। কাজেই পারস্পরিক সহযোগিতা ও সংযুক্তি বাড়ানোর জন্য দক্ষিণ এশিয়ায় অন্তঃআঞ্চলিক বিনিয়োগ ব্যাপক মাত্রায় এবং যত দ্রুত সম্ভব বাড়াতে হবে।’

তিনি বলেন ভারতের মোট বিনিয়োগের মাত্র ১.৫ শতাংশ করেছেন দক্ষিণ এশীয় বিনিয়োগকারিরা। আর বাংলাদেশে যে ১,৬০০ বিনিয়োগ প্রকল্প রয়েছে তার মধ্যে মাত্র মাত্র ১৬৯টি দক্ষিণ এশীয় (প্রধানত ভারত ও শ্রীলঙ্কার বিনিয়োগ)। অন্য দিকে নেপালেও মোট বিদেশি বিনিয়োগের মাত্র ২৬ শতাংশ আসছে দক্ষিণ এশিয়া থেকে (প্রধানত ভারতীয় বিনিয়োগ)। ড. আতিউর বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশগুলোর মধ্যে উলম্বভাবে বিস্তৃত উৎপাদন প্রক্রিয়া বাড়াতে হবে ব্যাপক মাত্রায়। তবে এই অঞ্চলের সরকারগুলোর মধ্যে পরস্পরকে সহযোগিতা করার এক অভূতপূর্ব রাজনৈতিক ইচ্ছা দৃশ্যমান।

এ সময় তিনি বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপালের মধ্যে সড়ক ও জল পথে যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্য নেয়া বিভিন্ন উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেন। এই মূহুর্তে পরিবহন, বাণিজ্য সহজীকরণ এবং জ্বালানী খাতে পারস্পরিক সহযোগিতার ওপর জোর দেয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন যে এসবের পাশাপাশি অন্তঃআঞ্চলিক বিনিয়োগ বৃদ্ধির চেষ্টাও এখন যথেষ্ট গুরুত্ব পাচ্ছে।

সার্কের অকার্যকর হয়ে থাকার প্রেক্ষাপটে ভারতের নেতৃত্বে বিবিআইএনের আওতায় এই উপ-অঞ্চলে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির যে উদ্যোগগুলো নেয়া হয়েছে সেগুলোর প্রশংসা করেছেন। ড. আতিউর মনে করেন ইন্দো-বাংলাদেশ গ্রিড কানেকশনের মাধ্যমে ভারত থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ আমদানী আঞ্চলিক সহযোগিতাভিত্তিক প্রকল্পের আদর্শ উদাহরণ। এই উপ-অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস আরও জোরদার হলে ভবিষ্যতে নেপাল ও ভুটানও এই গ্রিডে যুক্ত হতে পারে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App